কাগজপত্র বিহীন, কর ফাঁকি দিয়ে অনুমতি ছাড়া অ্যাম্বুলেন্স বানালো হিরো আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩

উপহার হিসেবে পাওয়া একটি মাইক্রোবাসকে অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে রোগী পরিবহনের জন্য দিয়েছেন হিরো আলম। পেয়েছেন জনপ্রিয়তা কিন্তু সেই অ্যাম্বুলেন্সের নেই কাগজপত্র, দেওয়া হয়নি কর-নেওয়া হয়নি অ্যাম্বুলেন্সের অনুমতি। ‘নোয়া ১৯৯৮’ মডেলের মাইক্রোবাসটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই। ২০১৩ সালের ১৮ মার্চের পর থেকে ওই গাড়ির কর বকেয়া আছে। সেই গাড়িটি শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের বানদীঘি গ্রামে হিরো আলমের বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়।

এর আগে, হিরো আলমকে মাইক্রোবাসটি উপহার হিসেবে দেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের শিক্ষক মুখলিছুর রহমান। পরবর্তীতে হিরো আলম জানতে পারেন, গাড়িটিকে রাস্তায় নামতে বিআরটিএকে দিতে হবে চার লাখ ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে গাড়িটির বিপরীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পাওনা প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। মাইক্রোবাসকে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে কোনো অনুমতিও নেননি তিনি।

এদিকে ফিতা কেটে অ্যাম্বুলেন্স–সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করে হিরো আলম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা হিরো আলম বলেন- অ্যাম্বুলেন্সটি বগুড়া সদর, কাহালু ও নন্দীগ্রামের দরিদ্র রোগী পরিবহনে নিয়োজিত থাকবে। মানুষের ভালোবাসায় আজ আমি আলম থেকে হিরো আলম হয়েছি। মাইক্রোবাসটি আমি ব্যবহার করতে পারতাম অথবা বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু, আমি চেয়েছি এলাকার দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবায় এটি কাজে লাগুক। সেই জন্য আজ এই অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করলাম।

তিনি আরও বলেন, “এটি ৯৯৯ এর আওতায় সেবা দেবে। অ্যাম্বুলেন্সচালকের বেতন-ভাতা ও জ্বালানি খরচের জন্য সামর্থ্যবান রোগীদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা হারে ভাড়া নেওয়া হবে। যদি না দেন, তাহলে হিরো আলম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সেটাও পরিশোধ করা হবে।”

হিরো আলম ঢাকা-১৭ এবং বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।

বকেয়া ও অনুমতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হিরো আলম বলেন, ‘আরও দুটি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার কথা আছে। সব কটি পেলে বিআরটিএর বকেয়া শোধ করব। আর বকেয়া শোধ করার পর অনুমোদন নেওয়া হবে। হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রথম দিকে সপ্তাহে তিন দিন করে ছয় দিন কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় অ্যাম্বুলেন্সটি থাকবে। পরবর্তী সময় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে রাখা হবে। গরীব রোগীরা প্রয়োজনমতো অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করতে পারবেন।

Nagad

সারাদিন. ১১ সেপ্টেম্বর