৯/১১ হামলা: ২২ বছর পর নিহত দুইজনের পরিচয় শনাক্ত

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২ হাজার ৭৫৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৪৭ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গিয়েছিল। দীর্ঘ ২২ বছর পর পরিচয় শনাক্তের সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও দুইজনের নাম। তবে আজও অজ্ঞাতপরিচয় সহস্রাধিক ভুক্তভোগী।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’, ‘আল জাজিরা’, ‘সিএনএন’র প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেহাবশেষের ডিএনএ পরীক্ষায় ওই দুইজনের পরিচয় মিলেছে। তারা দু’জন নারী-পুরুষ-পরিবারের অনুরোধে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি নিউ ইয়র্ক প্রশাসন।

নিউ ইয়র্কের চিফ মেডিকেল এগজামিনার জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে এ নিয়ে ১ হাজার ৬৪৯ জনকে শনাক্ত করা গেছে।

মার্কিন প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রথাগত ডিএনএ পরীক্ষার পরিবর্তে ‘নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং টেকনলজি’ ব্যবহার করা হয়েছে।

নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, “আশা করছি স্বজন হারানো মানুষরা এবার এই আশ্বাস পাবেন, দ্রুত বাকিদের পরিচয়ও খুঁজে বের করা হবে।”

‘নাইন-ইলেভেন’
সেই দিনটি ছিল ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার। যুক্তরাষ্ট্রে চারটি যাত্রীবাহী প্লেন ছিনতাই করে সেগুলো দিয়ে আঘাত হানা হয় নিউইয়র্কের দুইটি আকাশচুম্বী ভবনে (টুইন টাওয়ার)। এটি ছিল শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাগুলোর মধ্যে একটি। শুধু মার্কিনিদের জন্যই নয়, গোটা বিশ্ব চমকে গিয়েছিল ঘটনার ভয়াবহতায়।

দুটি প্লেন বিধ্বস্ত করা হয় নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ভবনে। প্রথম প্লেনটি আঘাত হানে নর্থ টাওয়ারে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে। দ্বিতীয় প্লেনটি সাউথ টাওয়ারে বিধ্বস্ত করা হয় এর কয়েক মিনিট পরেই, সকাল ৯টা ৩ মিনিটে।

হামলায় দুটি ভবনেই আগুন ধরে যায়। ভবন দুটির ওপরের তলাগুলোতে মানুষজন আটকা পড়ে যায়। শহরের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। দুটি ভবনই ছিল ১১০ তলা। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো বিশাল ধুলার ঝড় তুলে মাটিতে গুঁড়িয়ে পড়ে।

তৃতীয় প্লেনটি পেন্টাগনের সদর দপ্তরের পশ্চিম অংশে আঘাত হানে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির উপকণ্ঠে ছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর বিশাল এই পেন্টাগন ভবন।

এরপর সকাল ১০টা ৩ মিনিটে চতুর্থ প্লেনটি আছড়ে পড়ে পেনসিলভেনিয়ার একটি মাঠে। ছিনতাই হওয়া চতুর্থ প্লেনের যাত্রীরা ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পর সেটি বিধ্বস্ত করা হয়।

সারাদিন/১১ সেপ্টেম্বর/এমবি