রবি-দৃষ্টি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন চবি ও প্রেসিডেন্সি স্কুল

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩

রবি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও দৃষ্টি চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বিতর্ক প্রতিযোগীতা। এতে ফাইনালে  রাউন্ডে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে রবি দৃষ্টি ডিবেট চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২৩ এর ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।  

‘নিরাপদ ইন্টারনেট সুরক্ষিত ও সম্ভবনাময় আগামী’ র্শীষক বিতর্কের ফাইনাল রাউন্ডে সরকারি দল হিসেবে যুক্তি উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আর বিরোধী দল হিসেবে যুক্তি উপস্থাপন করেন খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এতে শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়েছেন  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসিব খান, ডিবেটার অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন কুয়েটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির রাহাত।  

অন্যদিকে ২৯তম স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুলকে পরাজিত করে স্কুল পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। স্কুল পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়েছে বাওয়া স্কুলের নুহা আলম।

এইবারের আয়োজনের বেস্ট প্রোমিজিং স্কুল নির্বাচিত হয় চিটাগং আইডিয়াল হাই স্কুল। বেস্ট মডারেটর অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা মোমেনা বেগম।

Nagad

প্রতিযোগিতা শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বাসসের ব্যুরো প্রধান কলিম সরওয়ার, দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল, রবি আজিয়াটা লিমিটেড এর ক্লাষ্টার ডিরেক্টর আশরাফুল কবির রিয়াদ ও বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের সভাপতি আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শুকরানা।  

দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সিনিয়র সহ সভাপতি বনকুসুম বড়ুয়া নুপুর, সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাবের শাহ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না, যুগ্ম সম্পাদক কাজী আরফাত ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্না মজুমদার।  

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পেরেছি। এই নিয়ে তর্ক করার কোন সুযোগ নেই। অনেকে এটা নিতে তর্ক করে যা অবাক লাগে। তারা অনেকেই আবার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত। বিতার্কিকদেরকে স্বাধীনতার স্বপক্ষে যুক্তির মাধ্যমে এ তর্কের অবসান ঘটাতে হবে।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ইন্টারনেট এখন হাতের মুঠোয়। ইন্টারনেটের সুফল এদেশের জনগণ ভোগ করছে। যার ফলে তথ্য প্রযুক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। আগামীর বিতার্কিকরা তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ও নৈতিক ব্যবহার করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিবে এটাই আমাদেও প্রত্যাশা।

বিশেষ অতিথি কলিম সরওয়ার বলেন, ১৭ কোটি মানুষের ১৬ কোটিই জানে না আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স কি জিনিস। কিন্তু পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে বাংলাদেশের তরুণেরা দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্রুত সময়ে দেশকে অনেক এগিয়ে দিয়েছ তারমধ্যে অন্যতম যোগাযোগ প্রযুক্তি। কিছু জিনিস লালন করি পালন করি, দায়িত্ববোধ, নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও দায়বদ্ধতা। যা নিজে ধারণ করে সমাজ উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়তে পারবো।  

দৃষ্টির প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল বলেন, বিতার্কিকদের চিন্তায় হয়ত কোনো কিছুই অসম্ভব না, তারা সবকিছুরই পক্ষ বিপক্ষ ভাবতে সক্ষম হয়। সবাই সঠিক হয় না, আবার সব সঠিকই গ্রহণ করতে হয় না, এভাবেই লার্নিং ইন্সপিরেশন তৈরি করে বিতার্কিকরা।

অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য, এবারের বিতর্ক প্রতিযোগিতা চট্টগ্রামের পাশাপাশি কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটিতেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে সারাদেশের ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। যা আগামী ২৯ তারিখ সমাপ্তি হবে।