আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
সাঁড়াশি অভিযানের ৪ বছর
ক্যাসিনোর জায়গা নিল অনলাইন জুয়ার অ্যাপ
ক্যাসিনোকাণ্ডে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চার বছর আগের অভিযানে শুরু হয়েছিল তোলপাড়। এতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ক্যাসিনো কারবার। তবে ক্যাসিনোর জায়গা দখল করেছে অনলাইন জুয়ার অ্যাপ। একের পর এক অ্যাপ বা ওয়েবসাইট খুলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন চক্র। ঘরে বসেই ডিজিটাল মাধ্যমে অনলাইন জুয়া খেলছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের শুরুতেই গ্রেপ্তার করা হয় তৎকালীন যুবলীগ নেতা খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ৪৯টি অভিযান চালায় পুলিশ ও র্যাব। ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে মোট ৫৭টি মামলা হয়। এর মধ্যে ৫১টির অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালেদ ও সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলার তদন্ত এখনও চলছে। এদিকে ক্যাসিনো কারবারে সংশ্লিষ্ট অনেকেই জামিনে মুক্ত হয়ে রাজনীতিতে ফেরার উপায় খুঁজছেন। সূত্র: সমকাল


সর্বজনীন পেনশন
এক মাসে গ্রাহক ১৩ হাজার, সাড়া নেই প্রবাস কর্মসূচিতে
গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ১২ হাজার ৮৮৯ জন গ্রাহক চাঁদা পরিশোধ করেছেন। এখন পর্যন্ত বেশি সাড়া প্রগতি কর্মসূচিতে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করে গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ১২ হাজার ৮৮৯ জন বাংলাদেশি চাঁদা পরিশোধ করেছেন। গত ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পেনশন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর এক মাসে নতুন এই কর্মসূচির প্রতি যে সাড়া পাওয়া গেছে, বিশ্লেষকেরা তাকে ‘যথেষ্ট নয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। বহুল প্রতীক্ষিত এ কর্মসূচির উদ্বোধনের দিন থেকেই সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সেদিনই জাতীয় পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে অন্তত ৮ হাজার মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করেছিলেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৭০০ জন আবেদনের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে সেদিন চাঁদা পরিশোধ করেন। মানুষ এখন মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে, ফলে নতুন একটি কর্মসূচিতে যেতে চাইছে না। কিস্তি দিতে গেলে বর্তমান পরিস্থিতিতে তার ওপর একধরনের বোঝা তৈরি হবে।জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বলেন, পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে অনেকে নিবন্ধন করলেও চাঁদা পরিশোধকারীদের সংখ্যা গতকাল সকাল পর্যন্ত ছিল ১২ হাজার ৮৮৯ জন। কর্মকর্তারা বলেন, যাঁরা কিস্তির চাঁদা পরিশোধ করেছেন, কেবল তাঁরাই পেনশন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন বা এনরোলমেন্ট করেছেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।গত এক মাসে পেনশন স্কিমে সব মিলিয়ে ৭ কোটি ৫৮ লাখ ৭১ হাজার টাকার কিস্তি পরিশোধ করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সূত্র: প্রথম আলো
বিধির ফাঁক গলে কর্মীরা রাজনীতিতে মুখ দিচ্ছেন
রাজশাহীর চারঘাট থানার ওসি মাহবুবুল আলমের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে গতকাল রবিবার। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন করতে মন্ত্রী আমাকে গাইবান্ধা থেকে চারঘাট থানায় নিয়ে এসেছেন।’ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এই সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে—গত ১১ সেপ্টেম্বর এমন বক্তব্য দেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইমরান আহমেদ। গত ১৫ আগস্ট কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো. ফারুক হোসেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে আবারও নির্বাচনে জয়ী করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি ‘মিনতি’ জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
একই দিনে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি শ্যামল চন্দ্র ধর আওয়ামী লীগকে নিজের দল উল্লেখ করে আগামী নির্বাচনে দলকে জেতানোর আহ্বান জানান। তাঁদের তিনজনকেই পরে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্র থেকে প্রত্যাহার করা হয়। সূত্র: কালের কণ্ঠ
ডেটলাইন অক্টোবর
আগামী তিন মাস কঠিন চোখে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ♦ আছে নাশকতার আশঙ্কা ♦ বিরোধীদের কঠোর কর্মসূচির হুমকি
অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর। আগামী এই তিন মাসকে কঠিন চোখে দেখছে সরকার। নির্বাচনের আগের এ সময়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিরোধী দলগুলোর নানা পরিকল্পনা ভাবিয়ে তুলছে সরকারের নীতিনির্ধারকদের। সম্প্রতি একাধিক সংস্থার গোপনীয় প্রতিবেদনে তাদের পরিকল্পনার বিষয়টি উঠে এসেছে। বিশেষ করে অক্টোবর মাস টার্গেট করে বিরোধী দলগুলোর নানা আয়োজনের বিপরীতে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ নির্দেশনা এরই মধ্যে পুলিশ সদর দফতর থেকে সব ইউনিট, মহানগর, রেঞ্জ এবং জেলা পর্যায়ে পৌঁছানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এবং দেশের অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব বাহিনীকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অক্টোবর এবং নভেম্বরকে কেন্দ্র করে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন প্রশ্নে একটা সমঝোতায় আসতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
সংসার চালাতে গলদ্ঘর্ম নিম্ন ও মধ্যবিত্তের
ব্যয় মেটাতে সঞ্চয়ে টান
কেউ কেউ বাধ্য হয়ে শহর ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছেন গ্রামে
নিত্যপণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে একধরনের বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে বেড়েছে সব ধরনের সেবার মূল্য। সংসার চালাতে রীতিমতো গলদ্ঘর্ম অবস্থা নিম্ন ও মধ্যবিত্তের। পরিস্থিতি এমন-একজন ব্যক্তি মাসে ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করেও চার থেকে পাঁচজনের সংসারের ব্যয় বহন করতে পারছেন না। যারা কিছুটা সঞ্চয় করেছিলেন, তারাও জমানো টাকা ভাঙছেন। আর নিম্ন-আয়ের মানুষের অবস্থা আরও খারাপ। জীবনসংগ্রামে বেঁচে থাকার তাগিদে কেউ কেউ বাধ্য হয়ে শহর ছেড়ে গ্রামে আশ্রয় নিচ্ছেন। আবার অনেকে পরিবার-পরিজন গ্রামে পাঠিয়ে নিজে শহরে থাকছেন। সবমিলিয়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে সঞ্চয় ভাঙার পাশাপাশি ধারদেনা করাটা এখন একরকম স্থায়ী সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। এছাড়া খেটে খাওয়া মানুষের অর্থাৎ যারা দিন এনে দিন খান, তাদের কষ্টের সীমা নেই। এদিকে বছরের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিনি কিনতে ক্রেতার ৪০ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে। প্রতি ডজন (১২ পিস) ডিম কিনতে বেশি খরচ হচ্ছে ২৪ টাকা। কেজিপ্রতি দেশি মুরগি ১০০ এবং ব্রয়লার মুরগি ১০ টাকা বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এছাড়া কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৪৫, রসুন ১৮০, হলুদ ১৬০, আদা ২৮০ এবং মাছ ও গরুর মাংস ১০০ টাকা বেশি দাম দিয়ে ক্রেতার কিনতে হচ্ছে। এছাড়া সব ধরনের সেবার দামও বেড়েছে লাগামহীনভাবে। মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের ব্যবধানে বিদ্যুতের দাম তিন দফায় ৫ শতাংশ করে ১৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। দুই দফায় বিভিন্ন খাতে গ্যাসের দাম বেড়েছে প্রায় শতভাগ। সুত্র: যুগান্তর
সংবিধানে অটল থাকলে নির্বাচনের বিকল্প নেই
কেউ আসুক বা না আসুক নির্বাচনের বাইরে আর কিছুই ভাবছে না আওয়ামী লীগ
১ নভেম্বর থেকে ৯০ দিনের হিসাব শুরু
নভেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তপসিল, গঠিত হতে পারে নির্বাচনকালীন সরকার
তবে সংসদ ভেঙে দেওয়া হলে নির্বাচন পেছাতে পারে
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিসহ দলটির মিত্র জোট-দলগুলো সরকারের পদত্যাগ দাবিতে এক দফার আন্দোলনরত। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বলছে বিএনপি ও তাদের বন্ধুবলয়। আর কিঞ্চিত পরিমাণও অস্পষ্টতা না রেখে আওয়ামী লীগের পরিষ্কার অবস্থান-সংবিধান অনুযায়ীই যথাসময়ে নির্বাচন। রাজনীতির ময়দানের প্রধান দুই প্রতিপক্ষের বিপরীত অবস্থানে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে জনমনেও হরেক প্রশ্ন। রাজনীতির বাইরে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের তৎপরতা জনমনে সৃষ্ট প্রশ্নকে আরও জটিল করে তুলছে। ঘুরেফিরে সর্বত্র একটাই প্রশ্ন, কী হতে যাচ্ছে? রাজনীতি, কূটনীতি, ভূরাজনীতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অভিন্ন মত, বিদ্যমান সংবিধান অটল থাকলে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই।বর্তমান একাদশ সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সংসদে বলেছেন, ‘অক্টোবরে চলতি সংসদের আরেকটি অধিবেশন বসবে। সেটিই হবে শেষ অধিবেশন। এরপর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।’ সরকারপ্রধানের এই বক্তব্যের সারকথা, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে সরকার ও আওয়ামী লীগ। সূত্র: ইত্তেফাক
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হলেন ১৩ হাজার মানুষ
সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর প্রথম মাসে যুক্ত হয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার মানুষ। কিস্তি হিসেবে সরকারের তহবিলে জমা হয়েছে সাড়ে ৭ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ আগস্ট এই স্কিম উদ্বোধনের এক মাস পর গতকাল রোববার পর্যন্ত তৈরি হিসাবে এসব তথ্য পাওয়া যায়।জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পেনশন স্কিমে প্রথম মাসে মানুষের বেশ ভালোই সাড়া মিলেছে। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২ হাজার ৯৭২ জন তাঁদের প্রথম কিস্তির চাঁদা জমা দিয়েছেন। চাঁদা জমা হয়েছে ৭ কোটি ৬৭ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা। সূত্র বলেছে, এ পর্যন্ত যুক্ত ব্যক্তিদের প্রায় অর্ধেকই প্রগতি স্কিমের বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী। তাঁদের সংখ্যা ৬ হাজার ২০০ জন। পেনশনের বাকি তিন স্কিমের মধ্যে ‘প্রবাস’ শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য, ‘সুরক্ষা’ স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য এবং ‘সমতা’ নিম্ন আয়ের অসচ্ছল মানুষের জন্য। সরকারের লক্ষ্য, ১০ কোটি মানুষকে পেনশন স্কিমের আওতায় আনা। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
কবিগুরুর শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ বা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় স্থান পেয়েছে। রোববার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই শান্তিনিকেতনজুড়ে খুশির হাওয়া বইছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ রকম একটি খবর পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের জন্য গর্বের বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছেন, বিশ্বভারতীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রতিটি মানুষের কাছে এটি একটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়।শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে নথিভুক্ত করতে সুপারিশ করেছিল ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের উপদেষ্টা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস। এ বিষয়টি নিয়ে চলতি মাসেই সৌদি আরবের রিয়াদে ৪৫তম বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সভাও হয়। এরপরই টুইট করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা করে ইউনেস্কো। ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তরফে শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল ইউনেস্কোর কাছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ২০২১ সালের সংস্থার ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখে যায়। সূত্র: সমকাল
প্রতিনিধি, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার
পানি ঢেলে রেলপথ সোজা রাখার চেষ্টা
গত কয়েক দিন ধরেই চলছে দাবদাহ। প্রচণ্ড তাপে রেলপথ বাঁকা হওয়ার আশঙ্কায় আখাউড়া-সিলেট রেলপথের টিলাগাঁও ও মনু রেলস্টেশন এলাকায় রেলপথে পানি দেয়া হচ্ছে। রেলপথ ঠাণ্ডা করে দিনের বেলা ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করানো হচ্ছে। ফলে দিনের বেলা সিলেট পথে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে। গত দুই দিন ধরেই রেলওয়ের গণপূর্ত বিভাগের গ্যাংম্যানরা কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ও মনু রেলস্টেশন এলাকার বেশ কিছু স্থানের রেলপথে পানি দিয়ে রেলপথ ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করছেন। এ খরতাপের মধ্যে রেলপথ ঠাণ্ডা না রাখলে তা বাঁকা হয়ে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দিনের বেলা সিলেট পথে চলাচলকারী ট্রেনগুলোতে শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আন্তঃনগর ট্রেনগুলো মাঝপথে বসে থাকছে। ফলে যাত্রার সময় ও দুর্ভোগ বাড়ছে যাত্রীদের।
রোববার সিলেট অভিমুখী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ও সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নুজহাত রহমান জানান, ট্রেনটি বেলা আড়াইটায় শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মনু রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় প্রবেশের আগে মাঝপথে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন থামানো হয়। ১৫ মিনিট পর আবার তা সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
পরিকল্পনাবিদ ছাড়াই মহাপরিকল্পনা!
পরিকল্পনাবিদ ছাড়াই ১২টি উপজেলা শহরের (নন-মিউনিসিপ্যাল) মহাপরিকল্পনার দরপত্র মূল্যায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এ ছাড়া পছন্দের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে যোগসাজশে দরপত্রের শর্ত লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটেছে। এসব অনিয়মের বিনিময়ে প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১৩ জুলাই সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) পরিচালক বরাবর কয়েকটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ জমা পড়েছে। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, কারিগরি প্রস্তাব মূল্যায়ন-প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অস্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে সরকারের ক্রয়নীতি পিপিআর-২০০৬ ও ২০০৮ যথাযথভাবে অনুসরণ না করে শেলটেক কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেডকে ৫টি প্যাকেজের সব কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহাপরিকল্পনা প্রণয়নকাজের জন্য বাছাই করা প্রতিষ্ঠান শেলটেকের কারিগরি প্রস্তাবের পরামর্শকের সিভিতে প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী (পে-রোল) জনবল হিসেবে দেখানো হয়েছে। অথচ তাদের অনেকেই স্থায়ীভাবে বিদেশে বসবাস করেন। আবার অনেকে দেশে সরকারি চাকরিও করছেন। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, সংক্ষুব্ধ পরামর্শ প্রতিষ্ঠানগুলো সিপিটিইউর পাশাপাশি স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বরাবরও তাদের অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ন্যাচারাল রিসোর্সেস প্ল্যানার্স লিমিটেড (এনআরপি), বাংলাদেশ, আইসিএসবি কনসালট্যান্সি সার্ভিসেস এলএলপি, ভারত, গ্লোবাল সার্ভে কনসালট্যান্টস (জেএসসি), বাংলাদেশ, সার্কেল টেকনোলজি লিমিটেড, বাংলাদেশ। এসব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। সূত্র: দেশ রুপান্তর