ডেঙ্গু রোগীদের অযথা ঢাকায় না আনার নির্দেশনা
রাজধানীর তুলনায় ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। অনেকে অযথা অনেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে ঢাকায় নিয়ে আসছেন। এতে ওই রোগীর মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে। সে জন্য অযথা কাউকে ঢাকায় না পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিশেষ নির্দেশনায় এ অনুরোধ জানানো হয়।


এতে বলা হয়, দেশের সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। যে যেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন সেখানেই চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মনিটরিংয়ের জন্য দেশের প্রত্যেকটি হাসপাতালেই র্যাপিড রেসপন্স টিম তৈরির নির্দেশেনা দেওয়া হয়েছে।
স্যালাইন সংকট প্রসঙ্গে নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি হাসপাতালগুলোতে কোনও স্যালাইন সংকট নেই, সংকটকালের জন্য আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিজি ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনসহ যারা দেশে স্যলাইন ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে যুক্ত আছেন, বিশেষ করে বিভিন্ন ফারমাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে আমরা দফায় দফায় বসে হিসাব করে দেখেছি, সবার কাছে যথেষ্ট পরিমাণ স্যলাইন আছে, তারপরও এডিশনাল রিজার্ভ রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল (১৮ সেপ্টেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ঢাকার তুলনায় ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রসঙ্গে আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত সব রোগীর জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন হয় না। তারপরও কিছু ক্লিনিক যাদের আইসিইউ সুবিধা নেই, তবু রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে তারা আইসিইউতে রাখে। এসব বিষয়ে অধিদপ্তর নজর রাখছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডেঙ্গু রোগীদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আইভি ফ্লুইড দেওয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সময়ে এসে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছি কেউ যদি স্যালাইনের দাম বেশি রাখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের স্যালাইনের সংকট হয়নি। বাংলাদেশে মজুত থাকলেও সংকট দেখা দেয়। আর্টিফিশিয়াল যারা সংকট তৈরি করতে চায়, তারা যেন সেটি করতে না পারে সে জন্য ব্যবস্থা হিসেবে আমরা বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেই। আমরা এ পর্যন্ত ৩ লাখ স্যালাইন আমদানি করেছি।’