আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩

বেশি দামে ডলার বিক্রি: শাস্তির মুখে ১০ ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান

ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রি করায় বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে এসব ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধানকে জরিমানা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য এসব ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধান দায় এড়াতে পারেন না বলে ব্যাংকগুলোর কাছে গত সোমবার পাঠানো চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ট্রেজারি বিভাগ ব্যাংকের টাকা ও ডলারের চাহিদা-জোগানের বিষয়টি নিশ্চিত করে থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকে ট্রেজারি বিভাগের প্রধান পদে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন।বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ১০ ব্যাংক হলো মার্কেন্টাইল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক। শাস্তির আওতায় আসা ব্যাংকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।একই অভিযোগে গত বছরের আগস্টে একসঙ্গে দেশি-বিদেশি ছয়টি ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখতে পারেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সূত্র: প্রথম আলো

গুদাম থেকে বাজার পর্যন্ত তদারকির নির্দেশ

দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে বাজারে কঠোর নজরদারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গুদাম থেকে বাজার পর্যন্ত (সাপ্লাই চেইন) তদারকি করতে বলা হয়েছে তাঁদের। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী বাজার থেকে এসব পণ্য যেন মজুদ করতে না পারেন, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। টিসিবির পণ্যও যেন নির্ধারিত ব্যক্তির কাছে সঠিক দামে বিক্রি করা হয়, সে বিষয়ে তদারকি করতে হবে। সরকার নির্ধারিত পণ্যের দাম বাস্তবায়নের বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বৈঠকে উপস্থিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকারের নির্দেশনার পর বাজারে পণ্যের দাম কমার কোনো প্রভাব নেই। এ জন্য সারা দেশে সমন্বিতভাবে বাজারে নজরদারিতে জোর দেওয়া হয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

এডিস মশার ভয়াল থাবা : আরও ৭ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে তছনছ বহু পরিবার

এডিস মশার ভয়াল থাবায় জনজীবন বিপন্ন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ডেঙ্গুর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। চোখের সামনে চিরতরে চলে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ। মা-বাবার সামনেই হারিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রিয় সন্তান। না-ফেরার দেশে চলে যাচ্ছে শিশু-কিশোর ও স্কুল-কলেজের শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী। হারিয়ে যাচ্ছে তাদের বাবা-মা ও পরিবারের সব স্বপ্ন। ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীসহ সাতজন মারা গেছেন। সরকারি হিসাবে চলতি বছরের নয় মাসে এক দিন থেকে ২৫ বছর বয়সি ৮১ হাজার ৪১৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এবং ২২১ জন মারা গেছেন। শরীরের রক্ত পানি করে তিলে তিলে গড়ে তোলা সন্তানদের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না অভিভাবকরা। এসব করুণ মৃত্যু একেকটি পরিবারকে তছনছ করে দিচ্ছে। তিন মাসে ডেঙ্গুতে যেসব শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ভাইবোনের মৃত্যু অনেকের নজর কেড়েছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৯ বছরের শিশু আরাফাত হোসেন রাউফ ও ৬ বছরের ইসনাত জাহান রাইদার মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। ওরা ছিল পিঠাপিঠি। ছিল দুজনের খুনসুটি। স্থানীয় আইকন একাডেমির কেজি ও নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল তারা। ১৮ আগস্ট রাউফ ও ২৫ আগস্ট রাইদার জীবন কেড়ে নেয় ডেঙ্গু। রাজধানীর মিরপুর পাইকপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও রাবেয়া আক্তার দম্পতি প্রাণের দুই সন্তানকে হারিয়ে এখনো স্বাভাবিক হতে পারেননি। যে বাসায় রাউফ-রাইদার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা, সেই বাসাটি এখন বিরানভূমি। সূত্র: যুগান্তর

Nagad

তিন মাসে বেড়েছে ৩৩৬২ কোটিপতি
কোটি টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ১ লাখ ১৩ হাজার

দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার বেশি জমা রয়েছে, এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের (হিসাব) সংখ্যা এখন ১ লাখ ১৩ হাজার। এসব অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে দেশের ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ৪৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কোটিপতি অ্যাকাউন্টধারীর এই সংখ্যা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছর মার্চ প্রান্তিকে আমানতকারীদের মোট অ্যাকাউন্ট ছিল ১৪ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৬টি। তাতে মোট জমা ছিল ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। ১ কোটি টাকার বেশি আমানতের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ১৯২টি। এ হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ৩ হাজার ৩৬২টি আর এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭টি। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ১ কোটি এক টাকা থেকে ৫ কোটি টাকার আমানতকারীর অ্যাকাউন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৭৭২টি। এসব অ্যাকাউন্টে জমা ছিল ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। ৫ কোটি থেকে ১০ কোটির ১২ হাজার ২৪৫টি অ্যাকাউন্টে জমা ছিল ৮৬ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। এ ছাড়া ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট সংখ্যা রয়েছে ৪ হাজার ৮১টি, ১৫ থেকে ২০ কোটির মধ্যে ১ হাজার ৮৬৫টি, ২০ থেকে ২৫ কোটির মধ্যে ১ হাজার ২৭৬টি, ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৯০৯টি আমানতকারীর অ্যাকাউন্ট। ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৫০৭টি এবং ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৩৫৩টি, ৪০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ৭২২টি। এ ছাড়াও ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ১ হাজার ৮২৪টি। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার ১৯২টি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

শিক্ষাক্রম হবে কর্মসংস্থানমুখী
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচি বদলে যাচ্ছে
প্রতিটি বিষয় পড়ানো হবে কমপক্ষে ১৩২ ক্রেডিট
নতুন সিলেবাসে দেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস, ইংরেজি, আইসিটি, সফটস্কিল অবশ্যপাঠ্য হবে

বদলে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম। গতানুগতিক ধারা পরিবর্তন করে দক্ষতাভিত্তিক এবং বিভিন্ন উন্নত দেশের সঙ্গে মিল রেখে কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষাক্রম তৈরি করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের কারিকুলাম পরিমার্জন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সম্মান পর্যায়ের শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
সম্মান পর্যায়ের ৩১টি বিষয়ের শিক্ষাক্রম যুগোপযোগী করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩১টি কর্মশালা করা হচ্ছে। স্বনামধন্য ৩১টি কলেজের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং দক্ষ শিক্ষকদের সমন্বয়ে টিম গঠন করে কর্মশালা হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কর্মশালাগুলো তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য টিম পাঠানো হয়। কলেজ শিক্ষকদের পাঠদানের অভিজ্ঞতা এবং কী ধরনের শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত হতে পারে, কীভাবে শিক্ষকরা যথোপযুক্তভাবে ক্লাসে পাঠদান করতে পারেন, সে বিষয়ে সম্যক ধারণা পাওয়ার জন্য দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সূত্র: সমকাল

যাদের হাতে নির্বাচনী প্রশাসন

সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনে রদবদলের সুযোগ নেই সরকারের। তাই এর আগেই নির্বাচনী প্রশাসনে ধাপে ধাপে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রশাসনে চলছে পদোন্নতি ও রদবদল। ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রশাসন সাজাতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে বদলি-পদায়ন হয়েছে। অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব পদে বড় পদোন্নতি হয়েছে। নির্বাচনের আগে অবসরে যাওয়া কয়েকজন সচিবেরও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের ২৬ জন, ২৫তম ব্যাচের ২০ জন এবং ২৭তম ব্যাচের ১৮ জন ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিসিএসের ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তারা নিয়োগ পেয়েছিলেন ২০০৫ সালে, ২৫তম ব্যাচ ২০০৬ সালে এবং ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তারা নিয়োগ পেয়েছিলেন ২০০৮ সালে। জানা যায়, নির্বাচনের সময় ডিসিরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকেন। তাদের যে কোনো কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ থেকে শুরু করে বাতিলের ক্ষমতাও থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও থাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা তথা ডিসির অধীনে। নির্বাচনের সময় সমন্বয়কারীর ভূমিকায়ও থাকেন ডিসিরা।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন তাদের দুটি ব্যাচের কর্মকর্তারা নিয়োগ পেয়েছিলেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে। আর সে সময় বিসিএস নিয়ে বেশ বিতর্ক ছিল। বিসিএসে ছিল নানা ধরনের তদবির। ২৪ ও ২৫তম ব্যাচ দুটি বিএনপির সময়ে নিয়োগ পেলেও ২৭তম ব্যাচ নিয়োগ পেয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। কারণ বিএনপির শেষ সময়ে ২৭তম ব্যাচের নিয়োগে বড় ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকায় তা বাতিল হয়। পরে ফের পরীক্ষা নিয়ে ২০০৮ সালে এ ব্যাচের নিয়োগ দেয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তবে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ছিল ২৪তম ব্যাচের নিয়োগ নিয়ে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

মেঝেতেও জায়গা নেই
অবৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনায় মশা ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠছে: কীটতত্ত্ববিদ

অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিনে দিনে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। ভয়াবহতার চিত্রটি বোঝা যায় হাসপাতালে গেলে। রাজধানীর প্রতিটি হাসপাতালে এখন ডেঙ্গু রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। এক বেডে দুইয়ের অধিক ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। মেঝেতেও জায়গা নেই। হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা।এদিকে কোনো কোনো হাসপাতালে চিকিৎসকদের চেম্বারে পর্যন্ত এক্সট্রা বিছানা দিয়ে রোগী রাখা হয়েছে। এমনকি কোথাও কোথাও রোগী রাখতে হচ্ছে হাসপাতালের বারান্দাতেও। রোগীর স্যালাইন বেঁধে রাখা হচ্ছে জানালার গ্রিলে কিংবা কলাপসিবল গেইটে। এই ভয়াবহতার মধ্যে রোগীরা কেবল চিকিত্সকের চোখের সামনে থাকবেন এজন্য একটু জায়গা চেয়ে যেখানে সুযোগ পাচ্ছেন সেখানেই বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর উদ্বেগ নিয়ে শয্যা পাশে বসে আছেন স্বজনরা। সূত্র: ইত্তেফাক

সরকারের দাম কাগজে, আলু-পেঁয়াজ বিক্রি বাড়তি দামেই

সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে কোথাও আলু-দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না। দাম বেঁধে দেওয়ার পাঁচ দিন পর গতকাল মঙ্গলবারও রাজধানীতে খুচরায় প্রতি কেজি আলু ৪৫-৫০ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও দামে তেমন প্রভাব পড়েনি। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনেও দামের একই রকম চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, সরকারের নির্ধারণ করা দামে তো তাঁরাই কিনতে পারছেন না। লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন না।রামপুরা বাজারের দোকানি আবু তাহের গতকাল বিকেলে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা এবং আলু ৪৫ টাকা দাম চাইলেন। সরকার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৬৫ টাকা বেঁধে দিলেও বাড়তি দাম চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বললেন, ‘আমি সরকারি মাল বিক্রি করি না। আমার কাছে মেমো আছে। মোবাইল কোর্ট আইলে মেমো দেখাই দিমু।’ সূত্র: আজকের পত্রিকা।

রক্ষকই ভক্ষণ করছেন সুন্দরবন
ঘুষের বিনিময়ে বিষ দিয়ে মাছ শিকারে সহায়তা, বোর্ড লাইসেন্স সার্টিফিকেট (বিএলসি) নবায়ন ও অনুমতিপত্র দিতে কয়েকগুণ বেশি অর্থ গ্রহণ, জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, মারধরসহ বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) শ্যামা প্রসাদ রায়। তার কর্মকাণ্ড নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সভায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বন বিভাগ। ফলে স্থানীয়দের পাশাপাশি হুমকিতে পড়েছে সুন্দরবন। কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনটির আওতায় খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার সংলগ্ন সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে। কয়রা থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট কয়রার বিনাপানি স্লুইস গেট এলাকা থেকে ৫২০ কেজি, ৮ আগস্ট কয়রায় শাকবাড়ীয়া নদীর তীর থেকে ২০০ কেজি, ৭ আগস্ট বেদকাশী থেকে ৫০ কেজি, ৬ আগস্ট দেউলিয়া বাজার থেকে ১৩০ কেজি, ১৯ জুলাই ৩১০ কেজি বিষ দিয়ে ধরা চিংড়ি মাছ আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া কয়রা থেকে গত ২২ আগস্ট হরিণের মাথা ও ১৯ জুলাই ৫৩ কেজি হরিণের মাংস আটক করে স্থানীয় থানা পুলিশ। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে পণ্য আমদানিই কি সমাধান?

বাংলাদেশে ডিমের দাম সরকারের বেঁধে দেয়া সীমার মধ্যে রাখার উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর, সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিবেশী ভারত থেকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি পেয়েছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।এর আগে জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে টানা কয়েক সপ্তাহ কাঁচা মরিচের কেজি ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল বাজারে। দাম কমাতে সরকারের নির্দেশনা, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান – কোন পদক্ষেপেই যেন ঝাল কমছিল না মরিচের। শেষ পর্যন্ত জুলাই মাসে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। ওই মাসের তিন তারিখে ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচামরিচের ট্রাক বাংলাদেশের সীমান্তে ঢোকার সাথে সাথে পাইকারি ও খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করে।
একদিনেই কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় নেমে আসে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।