৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে আল্টিমেটাম ফখরুলের

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৩২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩

কোনো ছলচাতুরি করে লাভ নেই, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। চিকিৎসকরা বলছেন তাকে অতি দ্রুত চিকিৎসার জন্য বাহিরে নিয়ে যেতে হবে। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ দেন। না হলে এ দেশের মানুষ আপনাদের (সরকার) নিষেধাজ্ঞা দেবে।

তিনি বলেছেন ‘খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দিন, শুধু আমেরিকা নয়, দেশের জনগণও আপনাদের স্যাংশনস দিচ্ছে, তাই তত্ত্বাবধাযক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।’

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যখন দেখলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে জিততে পারবে না, তখনই তারা সংসদে তা বাতিল করেছে।

ফখরুল বলেন, আজকে গায়ের মধ্যে আগুন লেগেছে। বাইডেন সঙ্গে সপরিবারে ছবি তুলে খুব দেখেছিল। বলেছিলেন আর আমেরিকা যাবেন না, অথচ তিনি আমেরিকা থাকা অবস্থায় ভিসানীতি কার্যকর করা হলো। ভিসানীতি বাংলাদেশের মতো একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য অপমানজনক। আওয়ামী লীগের জন্য তাও আমাদের দেখতে হলো বলেও মন্তব্য করেন।

কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তা একটা বেআইনি সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দমন পীড়ন করছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

Nagad

এদিন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে যোগ দিতে দুপুরের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগের দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন দলটির নেতাকর্মীরা।

এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর টানা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এরমধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলার জিনজিরা, কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুরের টঙ্গীতে সমাবেশ, ২১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেটে রোডমার্চ, ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুর পলওয়ে মার্কেট-সংলগ্ন মাঠে এবং যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে সমাবেশ, ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল থেকে পিরোজপুর পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।

এ ছাড়া ২৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নয়াবাজার, ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগের রোডমার্চ, ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জনসমাবেশ, ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকায় মহিলা সমাবেশ, ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমজীবী কনভেনশন, ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলায় রোডমার্চ, ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ, ৩ অক্টোবর ফরিদপুর বিভাগে রোডমার্চ এবং সমাবেশ, ৪ অক্টোবর ঢাকায় পেশাজীবী কনভেনশন এবং ৫ অক্টোবর কুমিল্লা, ফেনী, মিরসরাই ও চট্টগ্রামে রোডমার্চ পালন করবে দলটি।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিভিন্ন কুঞ্জে কুঞ্জে আমলারা মিটিং করে বেড়াচ্ছে-যেকোন মূল্যে গুম খুন করেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। গুম খুন-দুর্নীতির সাথে জড়িত সরকার কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এতোটা মরিয়া যে, যতটা আওয়ামী লীগও মরিয়া না।

সারাদিন. ২৪ সেপ্টেম্বর