আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২৩

আবার বাড়তে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম

আবার বাড়তে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম। রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে অন্তত ১০০ টাকা বেড়েছে। গতকাল শনিবার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা।বিভিন্ন জেলা–উপজেলার বাজারে দাম আরও বেশি। বগুড়ার মতো উৎপাদন এলাকায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এই পণ্যের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত ঈদুল আজহার ঠিক পরপর কাঁচা মরিচের দর প্রতি কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তারপর ধীরে ধীরে দাম কমে আসে। সূত্র: প্রথম আলো

শঙ্কার অক্টোবর শুরু

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনড় অবস্থান এবং দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে রাজনীতিতে নানা ধরনের শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। ফলে এ বিষয় নিয়ে এত দিন যে সংকট চলছিল তা অক্টোবরে আরো ঘনীভূত হতে পারে বলে প্রচার আছে।
চলতি অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ কিংবা নভেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় বিএনপি চাচ্ছে তফসিল ঘোষণার আগেই আন্দোলনের মাধ্যমে সাফল্য পেতে।আর আওয়ামী লীগ চাচ্ছে যেকোনোভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করতে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

দেশজুড়ে বাড়ছে সহিংসতা
♦ কথায় কথায় সংঘর্ষ, গ্রামে গঞ্জে হামলা, মামলা বিরোধ ♦ সহিংসতাপ্রবণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ২২

রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে সহিংসতা বাড়ছে। শহর-নগর বা গ্রামে-গঞ্জে কথায় কথায় হামলার ঘটনা ঘটছে। এতে হত্যা, আহত, বাড়িঘর ভাঙচুরসহ জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। মামলা-পাল্টা মামলা হচ্ছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বেশির ভাগ সহিংসতার ঘটনা ঘটায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটা এসব ঘটনার বেশির ভাগ বীভৎস ও রোমহর্ষক। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপন স্বজনরাই বেছে নিচ্ছেন খুনের মতো নিকৃষ্ট পথ। স্বামী খুন করছে স্ত্রীকে, স্ত্রী খুন করছে স্বামীকে, মা খুন করছে সন্তানকে, সন্তান খুন করছে মা-বাবাকে, স্বামী পুড়িয়ে মারছে স্ত্রীকে, ভাই খুন করছে ভাইকে। খুনের পরে বীভৎস লাশগুলো নাড়িয়ে দিচ্ছে মানুষের বিবেক। মূলত সামাজিক অবক্ষয়ের কারণেই সহিংসতা বাড়ছে। চলতি মাসেও দেশের বিভিন্ন জেলায় হত্যা, ধর্ষণসহ সহিংস ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত ২৪০টি দেশ ও অঞ্চলের সংঘাত ও সহিংসতার তথ্য সংগ্রহ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান দ্য আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের (এসিএলইডি) একটি তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২২ নম্বরে। সম্প্রতি প্রকাশিত এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মিয়ানমার। এরপরই রয়েছে যথাক্রমে সিরিয়া, মেক্সিকো, ইউক্রেন ও নাইজেরিয়া। তালিকার শেষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তালিকায় বাংলাদেশের আগে ২১ নম্বরে রয়েছে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া। আর বাংলাদেশের পরে ২৩ নম্বরে রয়েছে কেনিয়া। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।

Nagad

এলএনজি-নির্ভরতায় আর্থিক ঝুঁকিতে জ্বালানি খাত
অল্প গ্যাসে বিশাল ব্যয়
মাত্র ২৪ শতাংশ এলএনজির জোগান দিতে মোট গ্যাসের ৭৮ শতাংশের অর্থ ব্যয় * আমদানিতে ডুবছে দেশ এলএনজি কিনতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি

গত ৫ বছরে দেশে শুধু এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৮৫ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। যদিও এই সময়ে দেশের পুরো গ্যাস ক্রয় ব্যবদ ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অথচ মোট গ্যাসের মাত্র ২৪ শতাংশ পাওয়া গেছে এই এলএনজি থেকে। কিন্তু ব্যয় করতে হয়েছে ৭৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ গ্যাসের সমান দাম। এরপরও ব্যয়বহুল এই আমদানি বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার।আগামী দিনে আরও তিনগুণ এলএনজি আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সালের পর এলএনজি আমদানি ১০.৫০ মিলিয়ন টন পার ইয়ার (এমটিপিএ) ছাড়ানোর ব্যবস্থা চূড়ান্ত। এই আমদানির জন্য প্রথমবারের মতো আইটিএফসি থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার চুক্তি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অতি ব্যয়বহুল এই এলএনজি-নির্ভরতা দেশকে বড় বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? অথচ দেশে গ্যাস সরবরাহের বেশির ভাগই আসে স্থানীয়ভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে। এর মধ্যে শুধু মার্কিন কোম্পানি শেভরন উত্তোলন করছে মোট গ্যাসের ৫০ শতাংশ আর স্থানীয় কোম্পানিগুলো থেকে পাওয়া যাচ্ছে ২৬ শতাংশ। শেভরনের গ্যাস ক্রয়ে বছরে ব্যয় মাত্র ১৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ অর্থ। আর স্থানীয় কোম্পানিগুলোর পেছনে বছরে ব্যয় হয় ৫ শতাংশের কিছু বেশি। এরপরও জ্বালানি বিভাগ দৌড়াচ্ছে ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানির দিকে। ইতোমধ্যে কাতার এনার্জি কোম্পানি থেকে প্রতিবছর অতিরিক্ত ২৪ কার্গো এলএনজি আমদানির চুক্তি করেছে। আগামী ১৫ বছর এই কোম্পানি থেকে এলএনজি কিনবে সরকার। সূত্র: যুগান্তর

অক্টোবরেই ভোট রাজনীতির এসপার-ওসপার
অক্টোবরেই ভোট রাজনীতির হিসাব এসপার-ওসপার করতে মরিয়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগেই যে কোনো মূল্যে রাজনৈতিক সংকটের নিষ্পত্তি চাইছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। সবকিছু ঠিক থাকলে নভেম্বরেই জাতীয় নির্বাচনের তপশিল আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়েও আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে বরাবরের মতো বিপরীতমুখী অবস্থান। এ নিয়ে আওয়ামী লীগে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হলেও বিএনপি বেশ উল্লসিত। এ পরিস্থিতিতে আগামী দিনের নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মনোভাবের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দুই দল।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রসঙ্গ নিয়ে দুই দলের দূরত্ব বেড়েছে আরও। খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর বিষয়ে সরকারের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারছে না বিএনপি। আবার তাঁকে বিদেশ পাঠাতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটামের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও নেতাকর্মীর নীরবতাকে বিএনপির দুর্বলতা হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ। সূত্র: সমকাল

হাওরের বুকে শিল্পের থাবা

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রাকৃতিক বিস্ময় হাওরের ওপর অত্যাচারের যেন শেষ নেই। ধান-মাছের এই বিপুল ভান্ডার রক্ষার নামে একদিকে চলে স্থায়ী-অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণে সীমাহীন দুর্নীতি; যার কারণে যখন-তখন হাওরডুবিতে ঘটে ফসলহানি। পাশাপাশি আরেক দিকে চলে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের নামে অবৈজ্ঞানিকভাবে যত্রতত্র বাঁধ-রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের ধুম; ফলে পরিবেশ-প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে মরতে বসেছে হাওর। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে শেষমেশ সরকারপ্রধান হুকুম দিয়েছেনে ‘হাওরে আর কোনো সড়ক নয়।’ এই পরিস্থিতিতে দেশ রূপান্তরের চোখে ধরা পড়েছে আরেক অশনিসংকেত। এবার শিল্পপতিদের চোখ পড়েছে হাওরে। কোথাও কোথাও থাবাও পড়তে শুরু করেছে। তেমনি সব ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে ভাটি অঞ্চলের প্রবেশদ্বার হবিগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় গুঙ্গিয়াজুরী হাওরে। এখানে গড়ে উঠেছে মুরগির ডিম ও কম্পোস্ট সার উৎপাদনের কারখানা। তৈরি হচ্ছে ফ্লাওয়ার মিল, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ শিল্প। হাওরের ‘লিলুয়া’ বাতাসে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে কারখানার দুর্গন্ধ। ‘চান্নি পসর রাইতে’ এখন আর শোনা যায় না বাউলকণ্ঠের দরদি সুর। প্রায় দিনই শিল্পপতিদের আনাগোনার অশুভ পদধ্বনি শুনতে পান হাওরবাসী।অথচ যেকোনো ধরনের স্থাপনা তৈরি বা উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য হওরের স্বাভাবিক পরিবেশ ও জীবনাচরণ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে দৃষ্টি রাখার নির্দেশনা আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। গত ১৮ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে হাওর অঞ্চলের সড়কগুলো এলিভেটেড করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর থেকে হাওরাঞ্চলে কোনো সড়ক করতে হলে এলিভেটেড পদ্ধতিতে করতে হবে, যাতে সেখানকার জীববৈচিত্র্য রক্ষা পায়। সরকারপ্রধানের এমন নির্দেশের পরও থামেনি হাওর ধ্বংসের তৎপরতা। সূত্র: দেশ রুপান্তর

নভেম্বরে আসছে জাতীয় ডেবিট কার্ড

এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে জাতীয় ডেবিট কার্ড চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত বিদেশি কার্ড প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা হ্রাস ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কমাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আটটি ব্যাংক নিয়ে এর পাইলটিং কার্যক্রম করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য এটি চালু হবে। পরবর্তীকালে টাকা-রুপিতে লেনদেনের সুবিধা পাওয়া যাবে।বর্তমানে ব্যাংকগুলোর ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের সেবার বেশির ভাগই বিদেশি ভিসা, এমেক্স অথবা মার্স্টারকার্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তাই ‘টাকা পে’ নামে ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড চালু করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই কার্ড ব্যবহার করে দেশের ভেতরে কেনাকাটা করা যাবে। সূত্র: ইত্তেফাক

দুর্গাপূজায় থাকছে না বড় কর্মসূচি
বিএনপির পরিকল্পনায় অলআউট আন্দোলন

শারদীয় দুর্গাপূজার পর চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার চিন্তা করছে বিএনপি। তার আগে ঢাকায় মহাসমাবেশ বা বড় ধরনের কর্মসূচি থেকে সরকারকে পদত্যাগ করতে সময়সীমা বেঁধে (আলটিমেটাম) দিতে পারে দলটি। দাবি না মানলে পূজার পর অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে ‘অলআউট আন্দোলন’ শুরু করতে চান তারা। মধ্য অক্টোবরে ঢাকায় যুব ও ছাত্র কনভেনশন আয়োজনের চিন্তা রয়েছে দলটির। তবে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপূজার সময়ে বড় কোনো কর্মসূচি রাখবে না বিএনপি। মার্কিন ভিসা নীতি কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নভেম্বরের শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগেই আন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায় দলটির হাইকমান্ড। কোনো কারণে ওই সময়ের মধ্যে দাবি আদায় সম্ভব না হলে তপশিল ঘোষণার পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত দুদিনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ (নুর), এনডিএম এবং গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) সঙ্গে পৃথক বৈঠকে সরকারবিরোধী চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলন নিয়ে এমন প্রাথমিক চিন্তাভাবনার কথা জানায় বিএনপি। একদফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের চূড়ান্ত ধাপের কর্মসূচি নির্ধারণে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যুগপতের শরিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। সূত্র: কালবেলা

মেট্রোরেল, ফ্লাইওভারসহ এত মেগা প্রকল্পের পরেও ঢাকা কেন ধীরগতির শহর

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর হলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। সংস্থাটির তালিকায় শীর্ষ ২০ ধীরগতির শহরের মধ্যে আরো আছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা এবং কুমিল্লা। অথচ যানজট নিরসন করে শহরকে গতিময় করতে ২০১২ সালের পর থেকে গত এক দশকে সড়ক, সেতু, মেট্রোরেল, উড়ালসড়কসহ নানা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।এই সময়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ এবং মেট্রোরেলের একটি রুটের একাংশ ছাড়াও শহরের মধ্যে ছোট বড়ো অন্তত সাতটি নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে সরকার।কিন্তু তাতে কোন কোন জায়গায় কমে আসলেও শহরের সার্বিক যানজট অনেক বেড়েছে, এবং কোন কোন জায়গায় ফ্লাইওভারের ওপরেও দীর্ঘ সময়ের যানজট দেখা যাচ্ছে প্রায়শই। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

ব্যাংকিং চ্যানেলে হয়রানির অজুহাতে হুন্ডিতে ঝুঁকছেন প্রবাসীরা

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ প্রবাসীই টাকা পাঠান হুন্ডিতে (অবৈধ পথে টাকা পাঠানো)। হয়রানি, টাকা পেতে দেরি হওয়াসহ নানা অভিযোগে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানোয় অনীহা তাদের। বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোয় সরকারের প্রণোদনার পরও হুন্ডিতে ঝুঁকছেন তারা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিরসরাইয়ে ১৬ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার মানুষ জীবিকার তাগিদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তবে এ উপজেলায় যত সংখ্যক প্রবাসী আছেন সে তুলনায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসছে না। ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো ও পরিবারের পক্ষ থেকে সেটা তোলার প্রক্রিয়াকে ঝামেলা মনে করেন তারা। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি হুন্ডিকে জনপ্রিয় করছেন।মিরসরাই উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শাকিলা জান্নাত নিশাত জাগো নিউজকে বলেন, উপজেলার কতজন মানুষ প্রবাসে থাকে তার সঠিক হিসাব আমাদের কাছে নেই। তবে এরই মধ্যে আমরা প্রবাসীদের ওপর জরিপ করেছি। এ এলাকার প্রায় প্রতিটি পরিবারেই দু-একজন প্রবাসী রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মিরসরাইয়ে প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসী রয়েছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য জানা যাবে জরিপের রিপোর্ট আসার পর। রিপোর্ট আসতে আরও কিছু সময় লাগবে। এছাড়া, ২০২২ সালে আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী এ উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার মোট জনসংখ্যা চার লাখ ৭১ হাজার ৭৫২ জন। সূত্র: জাগো নিউজ