আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
চট্টগ্রামে আসামির খাবারের টাকা যাচ্ছে পুলিশের পকেটে
আড়াই বছরে আসামিদের দুপুরের খাবার বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ১৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। বাস্তবে খাবার দেওয়া হয় না।
‘ভাই কিছুই খাইনি। অনেক ক্ষুধা লেগেছে। পারলে কিছু খাবার এনে দেন’। কথাগুলো চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানার মারধরের একটি মামলার গ্রেপ্তার আসামি সৈয়দ আলাউদ্দিনের। গত ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টা ৩৮ মিনিটে চট্টগ্রাম আদালতের মহানগর হাজতখানার ভেতর থেকে পুলিশ কনস্টেবল আবদুল কাইয়ুমকে এ কথা বলেন তিনি। সেদিন বিকেল পাঁচটার দিকে অভুক্ত অবস্থায় আলাউদ্দিনকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। শুধু সৈয়দ আলাউদ্দিন নন, গ্রেপ্তারের পর আদালতে আসা আসামিরা তাঁদের জন্য সরকারি বরাদ্দ থাকা দুপুরের খাবার পান না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিন ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত অন্তত ৫২ জন আসামি এবং তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা খাবার না পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।হাজতখানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরাও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। অথচ আসামিদের নামে প্রতি মাসে সরকারি কোষাগার থেকে বিল তুলে নেওয়া হচ্ছে। গত আড়াই বছরে (২০২১ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত) আসামিদের দুপুরের খাবার (খোরাকি) বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ১৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। সূত্র: প্রথম আলো


রাজধানীতে জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
যেভাবেই হোক নির্বাচন হবেই
♦ উন্নয়ন চাইলে নৌকা, ধ্বংস চাইলে বিএনপি-জামায়াত ♦ আগামী নির্বাচনে বিএনপির নেতাটা কে? ♦ অনশনের নামে নাটক করছে বিএনপি ♦ রিজার্ভের টাকা জনগণের সেবায় খরচ করেছি ♦ কেমন ছেলে সে অসুস্থ মাকে দেখতে আসে না
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেভাবেই হোক নির্বাচন এদেশে হবেই। জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে। আমার একটাই কথা, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই। তিনি বলেন, নৌকা দেশের স্বাধীনতা দিয়েছে। নৌকা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণেই পানির কষ্ট নেই। মানুষ সুখে আছে। উন্নয়ন চাইলে নৌকা, আর ধ্বংস চাইলে বিএনপি-জামায়াত।
গতকাল বিকালে রাজধানীর কাওলা সিভিল এভিয়েশন মাঠে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। গত শনিবার এ সমাবেশটি হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তারিখ পরিবর্তন করে গতকাল এ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টা থেকেই সিভিল এভিয়েশন মাঠে মিছিলের ঢল নামে। বিকাল সোয়া ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগে পুরো মাঠ উপচে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারণ্যে হয়। লাল রঙের টি-শার্ট পরে নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে জনসভা লালে লাল হয়ে যায়। রং-বেরঙের টুপি-গেঞ্জি পরে, ব্যানার-ফেস্টুন-প্লাকার্ড হাতে নিয়ে মানুষের স্রোতে জনসভাটি রীতিমতো জনসমুদ্রে রূপ নেয়। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে তারা (বিএনপি) সবকিছু ধ্বংস করে দেবে। দেশের জনগণ কী ধ্বংস চায়, যুদ্ধাপরাধীদের কথা শুনতে চায়? চায় না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
ডেঙ্গুর প্রকোপ চার-পাঁচ বছর থাকতে পারে
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরো চার-পাঁচ বছর মানুষকে ভোগাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, প্রতিবছর রোগের প্রকোপ ও মৃত্যু বাড়বে। চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু বেশি হওয়ার পেছনে তিনটি কারণের কথা জানিয়েছেন গবেষকরা। প্রথমত, ডেঙ্গু ভাইরাসের ধরন ডেন-২ সেরোটাইপে বেশি আক্রান্ত হওয়া; দ্বিতীয়ত, একই ব্যক্তির একাধিকবার ডেঙ্গু হওয়া ও ডেঙ্গুর ভুল নেগেটিভ ফল বেশি আসা।গতকাল শনিবার বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের এক অনুষ্ঠানে গবেষকরা এসব তথ্য জানান। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগ এবং বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এবং আইসিডিডিআরবির সহযোগিতায় শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণের রোগতাত্ত্বিক সেরোটাইপ নির্ধারণের ওপর একটি গবেষণা করা হয়।এ ব্যাপারে শিশু হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জানুয়ারি থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত শিশু হাসপাতালে এক হাজার ৬৪৯ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নেয়। এর মধ্যে ৭২২ জন ভর্তি রোগীর ওপর আমরা ছোট আকারে গবেষণা করে দেখেছি, ৩৯ জনের বা ৫.৪ শতাংশের দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ
ব্যাংক খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গত ৫ বছরে
দেশের ব্যাংক খাতে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেয়ার সংস্কৃতিটি বহুদিনের। তবে গত পাঁচ বছরে এ চিত্র অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, এ সময়েই দেশের ব্যাংক খাতের ক্ষত গভীর হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ‘দুর্দশাগ্রস্ত’ ঋণের অর্ধেকের বেশি সৃষ্টি হয়েছে গত পাঁচ বছরে। ২০১৮ সাল শেষেও ব্যাংকগুলোর দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়া এ ঋণের পরিমাণ চলতি বছরের জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৩ হাজার ৩০৯ কোটি টাকায়। সে হিসাবে পাঁচ বছরের ব্যবধানে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১২১ শতাংশের বেশি। দেশের ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের ২৬ দশমিক ৭৯ শতাংশই এখন দুর্দশাগ্রস্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত পাঁচ বছরে প্রভাবশালীরা দেশের ব্যাংক খাত থেকে নামে-বেনামে কয়েক লাখ কোটি টাকার ঋণ বের করে নিয়েছেন। এসব ঋণ এখন ফেরত আসছে না। খেলাপির ঝুঁকিতে পড়ছে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিতরণকৃত ঋণ। এ কারণে পুনঃতফসিল করে ঋণগুলো নিয়মিত দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাঁচ বছরের ব্যবধানে দেশের ব্যাংক খাতে পুনঃতফসিলকৃত ঋণের স্থিতি বেড়েছে ১৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। সূত্র: বণিক বার্তা।
কিংস পার্টি’ বিএনএম
এক কক্ষের কার্যালয় তারও খোলে না তালা
বরগুনার বেতাগী উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কের পাশে দোতলা ভবনের নিচতলায় এক কক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) রাজনৈতিক কার্যালয়। প্রায় এক বছর আগে স্থাপিত হলেও কালেভদ্রে কিছু সময়ের জন্য কার্যালয়টি খুলতে দেখা যায়। অধিকাংশ সময়ই থাকে তালা মারা। থাকে না কর্মীর সমাগম। এ দলের নেতাকর্মী কারা, তাও জানেন না আশপাশের বাসিন্দারা। কার্যালয়ের সামনে রাখা বালুর স্তূপই প্রমাণ দেয়, সেখানে কারও পদচারণা হয় না। ওপরে লাগানো পলিসাইনের একটি ব্যানার, সেটিই দলীয় কার্যালয়ের একমাত্র পরিচয়। কিংস পার্টিখ্যাত বিএনএমের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুর রহমান খোকনের জন্মভূমি বেতাগীর করুনা গ্রাম। তিনি এখানকার বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর নিজের উপজেলায় নবগঠিত বিএনএমের সাংগঠনিক অবস্থার এখন এই হাল। একই অবস্থা বরগুনার অপর পাঁচ উপজেলায়ও। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে তিনি বরগুনা-২ (বেতাগী-পাথরঘাটা-বামনা) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা সমকালকে নিশ্চিত করেছেন। সূত্র: সমকাল
এক দিনে আরও ১০ জনের মৃত্যু, ভর্তি ২০৪৭
ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের ৮৭ ভাগই ডেন-২
তৃতীয় শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রী হাফসার পরিবারে শোকের মাতম * মশক নিধনে জোর দেওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত শিশুর দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে : জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের ৮৭ শতাংশই ডেন-২ ধরনের শিকার। বাকি ১৩ শতাংশ শিশু ডেন-৩-এ আক্রান্ত হচ্ছে।বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের এক গবেষণায় ভয়ংকর এ তথ্য উঠে এসেছে।শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শিশু হাসপাতাল মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন হাসপাতালের পরিচালক ও গবেষণার প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম।এদিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫৮ জনে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৪৭ জন। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সূত্র: যুগান্তর
হাজার কোটি টাকার তহবিল, ঋণ বিতরণ মাত্র ৫ কোটি
দেশের চলচ্চিত্রশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সিনেমা হল সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃ অর্থায়ন তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। উদ্যোগটা এ কারণেই নেওয়া হয়, যাতে দর্শককে সিনেমা হলমুখী করতে হলমালিকদের অর্থসংকটে পড়তে না হয়। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও হাজার কোটি টাকার এই তহবিলের সিংহভাগ অর্থই পড়ে আছে হলমালিকদের অনাগ্রহে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই বছরে এই প্রণোদনা তহবিল থেকে কেবল ৫ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে। বাকি ৯৯৫ কোটি টাকাই পড়ে আছে ব্যাংকে। হলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকে ৩৪ জন এবং সোনালী ব্যাংকে ১০ জন হলমালিক ঋণের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু ব্যাংকের পক্ষ থেকে যে ধরনের শর্ত দিয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে, তা কোনো মালিকই পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছেন না। এ অবস্থায় ঋণের শর্ত শিথিল চান হলমালিকেরা। ব্যাংকের দেওয়া শর্তগুলো কী কী, তা জানতে অগ্রণী ব্যাংকের দেওয়া শর্তের একটি তালিকা আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। এতে হলমালিকের ট্রেড লাইসেন্স, চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) অনুমোদনপত্রসহ মোট ২০টি শর্তের উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি শর্ত হলো রাজউক বা সংশ্লিষ্ট পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদিত ভবনের নকশা, বন্ধকীতব্য সম্পত্তির দলিল, খতিয়ানসহ যাবতীয় কাগজপত্র, ঋণ গ্রাহকের আয়কর সনদ, সিআইবি রিপোর্ট এবং প্রতিষ্ঠানের প্যাডে তিন বছরের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের তথ্য। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস
জগন্নাথ হলের দুর্বিষহ সেই রাত, আজও আঁতকে ওঠেন আহতরা
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস। কালের আবর্তনে আবারও ফিরে এসেছে এই দিন। ঠিক ৩৮ বছর আগের কথা। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর। দিনটি ছিল মঙ্গলবার। ২০২৩ সালের অক্টোবরের মতোই সেই অক্টোবরেও বৃষ্টি হচ্ছিল দেশ জুড়ে । সে দিনও ছিল গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। দিন পেরিয়ে শহরে নেমেছে সন্ধ্যার অন্ধকার। তখন বাইরে হালকা বৃষ্টি। শিক্ষার্থীরা সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে ফিরেছেন হলে। কেউ পড়তে বসেছেন। কেউ ডাইনিং-এ রাতের খাবার খাচ্ছেন। কেউবা হলের টিভি রুমে ‘শুকতারা’ ধারাবাহিক নাটক দেখার অপেক্ষায় বসে আছেন। তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত ৮টা কিংবা সাড়ে ৮টা। এমনি মুহূর্তে হঠাৎ এক বিকট শব্দ। থেমে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সব গতিপ্রকৃতি। স্তব্ধ হয়ে যায় সব কিছু। বাতাসে ভেসে আসে শত শিক্ষার্থীর ক্রন্দন ধ্বনি। ক্রমেই ভারী হয়ে ওঠে শহরের আকাশ-বাতাস। আজও সেই দুর্বিষহ রাতের স্মৃতি বয়ে বেড়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আহতরা আতকে ওঠেন সেই রাতের কথা ভেবে। সূত্র: ইত্তেফাক
অকারণ হর্ন: আইনের প্রয়োগ নেই, এবার সচেতনতায় জোর সরকারের
মহাখালীর কাকলী এলাকায় সড়কে শনিবার বিকেলে গাড়ির চাপ বেশ কম। মোটামুটি ফাঁকা সড়কে চলছে নির্বিঘ্নে যাতায়াত। এই অবস্থাতেও বনানী থেকে মহাখালী আমতলী পর্যন্ত এক কিলোমিটারের কম সড়কে একটি প্রাইভেট কারের চালক হর্ন বাজালেন ছয় বার।আমতলী সিগন্যালে থামল গাড়িটি। ‘রাস্তা তো ফাঁকাই ছিল, কেন এতবার হর্ন দিলেন?’- প্রশ্ন শুনে চোখেমুখে বিরক্তি নিয়ে সেই চালক বললেন, “ডানে-বামে থেকে গাড়ি সামনে চলে আসে, এজন্য দিছি। আপনার সমস্যা কী?” উচ্চ শব্দের হর্ন যে অন্যের সমস্যা করে, আর এই চালকের মত অন্যরাও যে তা পাত্তা দেয় না, তা চোখে পড়ে নিত্যদিনই।দিন রাত সব সময় হর্নের অবিরাম শব্দে কান ঝালাপালা মানুষের। নির্ধারিত সর্বোচ্চ মাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি শব্দে জীবন ওষ্ঠাগত, মেজাজ হচ্ছে তিরিক্ষি। ক্ষতি হচ্ছে শ্রবণশক্তির।এই সমস্যা জানে সরকার। কিন্তু ‘সবাই দূষণকারী’ বলে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন, বলছেন খোদ পরিবেশ সচিব। সূত্র: বিডি নিউজ
‘১৮ সচিবকে প্লট ‘উপহার’
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের আগে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, ‘আন্দোলনের শেষ ধাপের আগে নানামুখী তৎপরতা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পূজার ছুটির পরে অর্থাৎ ২৭শে অক্টোবর থেকে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শেষ ধাপের আন্দোলনে নামার আগে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি।এজন্য দলের সব শাখাকে যেমন কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা চলছে, তেমনি নেতাকর্মীদের রাজপথের কর্মসূচিতে শেষ পর্যন্ত থাকতে প্রস্তুতিমূলক নানা নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সাথেও নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সরকার বিরোধী প্রতিটি দলকে সামর্থ্য অনুযায়ী রাজপথে সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাও চালাচ্ছে বিএনপি। বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Arrests of BNP people intensify’ অর্থাৎ ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরপাকড় বেড়েছে’। সূত্র: বিবিসি বাংলা।