আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২৩

ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের সর্বশেষ

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের এক সপ্তাহ পার হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৩০০ ইসরায়েলি ও ২ হাজার ২১৫ ফিলিস্তিনি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এই সংঘাতের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো তুলে ধরা হল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডন। শনিবার এই দুই নেতাকে ফোন করেন বাইডেন। এ সময় চলমান সংকট নিয়ে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।হামাসের হামলার যুক্তরাষ্ট্রের ২৯ নাগরিক নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এখনো ১৬ মার্কিন নাগরিক নিখোঁজ বলে জানিয়েছে তারা-ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার কাছে একটি সেনাচৌকি পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি ইসরায়েলি সেনাদের কাছে জানতে চেয়েছেন যে, ‘পরবর্তী আক্রমণের জন্য (গাজায়) তারা প্রস্তুত কি না।’ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা গাজায় স্থল, নৌ ও আকাশ পথে অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত। সূত্র: প্রথম আলো

পুতিনের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হামাস
‘ইসরায়েল বেছে নিয়েছে নৃশংস পদ্ধতি’
গাজা অবরোধকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যায়িত করে লেনিনগ্রাদ অবরোধের সঙ্গে তুলনা করেছেন পুতিন। মূলত রুশ প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলেছেন। তার এ অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। হামাস বলছে, ‘গাজায় ইসারায়েলের দখলদারিত্ব, ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ এবং বেসামরিক লোকজনের ওপর চলমান হামলার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন যে অবস্থান নিয়েছেন, তাতে আমরা তাকে অভিবাদন জানাই।’ এর আগে, গাজায় ইসরায়েলের অবরোধকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যায়িত করে পুতিন বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনী লেনিনগ্রাদের ওপর এরকম অবরোধ আরোপ করেছিল। ইসরায়েল এখন যা করছে তাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লেনিনগ্রাদের ওপর জার্মান নাৎসি বাহিনীর অবরোধ আরোপের সঙ্গে তুলনা করা যায়। আমার দৃষ্টিতে এটি অগ্রহণযোগ্য। রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, গাজার ওপর ইসরায়েলি অবরোধের সঙ্গে কেউই একমত হতে পারবে না কারণ এর ফলে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি হচ্ছে। গাজায় ইসরায়েল স্থল অভিযান চালাবে বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি সম্ভাব্য এ অভিযানকেও ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বর্ণনা করে বলেন, বেসামরিক এলাকায় এ ধরনের অভিযানে জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। এদিকে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাত নিরসনের একমাত্র উপায় বলে উল্লেখ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। সূত্র; বিডি প্রতিদিন।

রক্তাক্ত গাজা

হামাসের আক্রমণের জবাবে গাজা উপত্যকার বেসামরিক মানুষ ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। জনপদটিতে বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। ইসরায়েলের প্রতি সংহতি জানাচ্ছে তাদের মিত্র শক্তিগুলো। অন্যদিকে সারা বিশ্বে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের কর্মসূচিও চলছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

ইসরায়েলের সমর্থনে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দ্বিতীয় মার্কিন রণতরী

Nagad

ইসরায়েলের সঙ্গে ‘লৌহ কঠিন’ সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি হিসেবে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড জে অস্টিন। খবর আলজাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ান। গত ৭ অক্টোবর সকালে হামাসের আক্রমণের পরপরই দ্রুত বন্ধু দেশের প্রতি সমর্থন জানায় ওয়াশিংটন। ওই সময় ইসরায়েলের উপকূলের কাছে পাঠানো হয় ভূমধ্যসাগরে থাকা রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ও অন্যান্য যুদ্ধযান। এবার সেই দলে যোগ দিল ইউএসএস ক্যারিয়ার ডোয়াইট আইজেনহাওয়ার।গতকাল শনিবার (১৪ অক্টোবর) লয়েড এক বিবৃতিতে জানান, ইসরায়েল-হামাসের এ সংঘাত বাড়িয়ে তুলতে চাওয়া যেকোনো রাষ্ট্র বা অ-রাষ্ট্রীয় কুশলীদের নিবৃত্ত করতে রণতরী পাঠানো হয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা ।

নেতানিয়াহু ও আব্বাসের সঙ্গে বাইডেনের ফোনালাপ

গাজায় চলমান সংঘাত নিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার পৃথক ফোন কলে দুজনের সঙ্গে কথা বলেন বাইডেন। খবর: সিএনএন’র
বাইডেন ইসরায়েলে প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং একই সঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তায় সবকিছু করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে এমনটি জানিয়েছে।গাজায় সাধারণ মানুষের জন্য কীভাবে মানবিক সহযোগিতা সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়েও জাতিসংঘ, মিসর, জর্ডান ও ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কাজের বিষয়ে দুটি দেশের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনালাপে বাইডেন ইসরায়েলে হামাসের ‘বর্বর হামলা’র নিন্দা জানান এবং মানবিক সহযোগিতা কার্যক্রম পরিচালনায় মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সূত্র: সমকাল

গাজায় আকাশ, সাগর আর স্থলপথে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একযোগে আকাশ, সাগর আর স্থলপথে সর্বাত্মক হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। আট দিন ধরে অবশ্য ইসরাইল ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবার থেকে স্থল হামলা চালানো শুরু করেছে ইসরাইল। সেই সঙ্গে সীমান্তে বিপুল সেনা ও সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে। ইসরাইলি হামলায় গাজায় গত ২৪ ঘণ্টাতেই নিহত হয়েছে চার শতাধিক।ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স শনিবার রাতে জানিয়েছে, তাদের ব্যাটালিয়ন ও সেনাদের সারা দেশে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা যুদ্ধের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে। তারা স্থল হামলার ওপর ব্যাপক জোর দিচ্ছে। এদিকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, চার শতাধিক নিহত হওয়ার পাশাপাশি ১৫০০-র বেশি লোক আহত হয়েছেন।ইসরাইলি হামলায় অন্তত দুই হাজার ২১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আট হাজার ৭১৪ জন। নিহতদের মধ্যে ৭০০ শিশু রয়েছে। পশ্চিমতীরে ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে গেছে। সূত্র: যুগান্তর

ভারতে থাকতে হলে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে হবে: বিজেপি মন্ত্রী

ভারতে বসবাস করতে চাইলে বলতে হবে ‘ভারত মাতা কি জয়’। গতকাল শনিবার ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী (কৃষি) কৈলাস চৌধুরী। বিজেপি আয়োজিত একটি কৃষক সমাবেশে তিনি এই কথা বলেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। হায়দরাবাদের আইনপ্রণেতাদের ব্যবহৃত আঞ্চলিক ভাষার দিকে ইঙ্গিত করে কৈলাস চৌধুরী বলেন, তাদের ভবিষ্যতে ‘উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।’ এ সময় তিনি রাজ্যে তেলেঙ্গানায় জাতীয়তাবাদী চিন্তার সরকার গঠনের প্রতি জোর আরোপ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ভারতে থাকতে হলে “ভারত মাতা কি জয়” বলতে হবে।’ কৈলাস চৌধুরী আরও বলেন, ‘যারা ভারতকে ইন্ডিয়া বলেন, তাঁরা ভারত মাতা কি জয় বলতে চায় না। তিনি আরও বলেন, ‘তো ভারতে বসবাস করে আপনারা কি পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলবেন?’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা বন্দে মাতরম ও ভারত মাতা কি জয় বলবে তাদেরই কেবল দেশের মাটিতে জায়গা হবে।’ সূত্র: আজকের পত্রিকা্

ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ২২১৫, শিশু ৭২৪ জন

টানা নয়দিন থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ও গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এতে উভয়পক্ষে নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি।গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্র ণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ২১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহতদের মধ্যে ৭২৪ জন শিশু রয়েছে। সেই সঙ্গে নিহত নারীর সংখ্যা ৪৫৮ জন।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭১৪ জনে। তাদের মধ্যে দুই হাজার ৪৫০ জন শিশু এবং এক হাজার ৫৩৬ জন নারী। সূত্র: ইত্তেফাক

গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান: লক্ষ্য পূরণ বাস্তবে কতটা সম্ভব
গাজায় ইসরায়েলের আকাশ হামলায় ২,২০০ বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে চার লাখের বেশি মানুষ।

হামাসকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। এই লক্ষ্যে দেশটি এবার গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে। বলেছে, গাজা কখনোই আর আগের মত থাকবে না। ইসরায়েল এ অভিযানের নাম দিয়েছে ‘দ্য সোর্ডস অব আয়রন’। গাজায় এতটা ব্যাপক অভিযান পরিচালনার কথা গত শনিবারের আগে খোদ ইসরায়েলও হয়তো কল্পনা করেনি।
শনিবার ভোরে গাজা থেকে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ইসরায়েলে ১৩শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যার জবাব দিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু হুঙ্কার, “হামাসের প্রত্যেক সদস্য মৃত মানুষ।”তবে নেতানিয়াহু যতই হুঙ্কার ছাড়ুন, আসলেই কী ‘অপারেশন সোর্ডস অব আয়রন’ এর লক্ষ্য পূরণ বাস্তবে সম্ভব?গাজায় স্থল অভিযানে হামাস যোদ্ধাদের খোঁজে ইসরায়েলের সেনাদের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালাতে হবে। এতে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণনাশের ঝুঁকি অনেক বেশি। সূত্র: বিডি নিউজ

গাজায় সর্বাত্মক হামলার প্রস্তুতি ইসরায়েলের

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা গাজায় স্থল, বিমান ও নৌ হামলার পরিকল্পনা করছে। তবে কখন এই হামলা শুরু করবে সে সম্পর্কে তারা কোন সুনির্দিষ্ট সময়সীমা জানায়নি। গাজায় দেশটির সামরিক বাহিনীর বড় ধরনের স্থল অভিযানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে আগেই এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “পরবর্তী ধাপ আসছে”।শুধু শনিবারেই গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছে তিনশ মানুষ।সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত আটশ মানুষ।গাজার উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী এগার লাখ মানুষকে ওই এলাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে যেতে বলেছে ইসরায়েল। এরপর অসংখ্য মানুষকে গাড়ীতে বা পায়ে হেঁটে ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।