আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২৩

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্টি, ভোটের প্রস্তুতিতে ইসি

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুখোমুখি অবস্থানে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। নির্বাচন কমিশনও মনে করছে, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত ‘অনুকূল পরিবেশ’ এখনো হয়নি। এ রকম একটা পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এনেছে ইসি। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানায়, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর কখন কোন কাজ করা হবে, তার রূপরেখাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। লম্বা সময় রেখে তফসিল দেওয়া হবে, নাকি ৪০-৪৫ দিন সময় দিয়ে তফসিল দেওয়া হবে, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন নির্বাচন কমিশনাররা। যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে পরিবেশ কেমন হবে; ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে যে পরিস্থিতি হয়েছিল, সে রকম কিছু হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সে ধরনের কিছু হলে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র: প্রথম আলো

৯ মাসে ২১৫ ছিনতাই, রাতের নিরাপত্তা নাজুক

রাজধানীতে গত ৯ মাসে ২১৫টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ছিনতাইকারীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাতজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে দুই শতাধিক। রাতে যেসব স্থানে পুলিশ টহল থাকে না যেসব জায়গায় ছিনতাই বেশি হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।ছিনতাই নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির পক্ষ থেকে গত ৭ অক্টোবর ১৯ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এই ফোর্সের অধীনে ঢাকার ৫০টি থানার পুলিশ এখন বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে।তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তথ্য মতে, বেশির ভাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে রাত ১২টার পর। বিশেষ করে যেসব স্থানে পুলিশের টহল থাকে না বা জায়গাটা নির্জন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
নজর দুদলের শেষ বার্তায়

সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর কয়েক মাস বাকি। তবে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগেই উত্তপ্ত রাজপথ। নিজেদের শক্তির জানান দিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি ‘পালটাপালটি’ কর্মসূচি পালন করে চলেছে। ইতোমধ্যে শেষ বার্তা দিয়েছে দুদলই। শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। পূজার ছুটির মধ্যে পদত্যাগ করে ‘সেফ এক্সিট’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলটি হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। অন্যথায় ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ থেকে সরকার পতনে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে। দুদলের শেষ বার্তার দিকেই এখন সবার নজর। তবে বড় দুদলের অনড় অবস্থানের প্রকাশ ঘটলেও এখানেই শেষ দেখছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, সংঘাত এড়াতে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে এগোতে হবে দুপক্ষকেই। শেষ বার্তা দিয়ে প্রকাশ্যে উত্তাপ ছড়ালেও অন্তরালে দুপক্ষের রফা হতে পারে বলেও আশা করছেন তাদের কেউ কেউ।২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে দেশের রাজনীতিতে বিরোধ চলছে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও কারচুপির অভিযোগ তুলে বলেছে, এই ভোট নির্দলীয় সরকারের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি পুরোনো দাবিটি জোরেশোরে তুললেও টানা তিন মেয়াদ ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সেই দাবিতে নত হতে নারাজ। এদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিরোধ মেটাতে বিদেশিদের তৎপরতা আগে দেখা গেছে বহুবার। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে দুপক্ষের সমঝোতার জন্য এসেছিলেন জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। এবার নির্বাচনের আগেও পশ্চিমা দেশগুলোর নানা কথা ও পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। সূত্র: যুগান্তর

Nagad

সংলাপে সাড়া নেই কারও

সদ্য বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারকে যে পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছে তার প্রথমটিই হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ প্রস্তাবে তাদের আপত্তি নেই। তবে সংলাপ হতে হবে যে কোনো শর্তমুক্ত। এদিকে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ একাধিক শর্ত দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচিতে রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও তাদের জোট সঙ্গীদের আনতে আওয়ামী লীগের ওপর চাপ আছে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমঝোতায় সংলাপ বা আলোচনার বিকল্প কোনো পথ দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু নির্বাচন এগিয়ে এলেও এখনো নিজেদের অবস্থানে অনড় বড় দুই রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সংলাপে সাড়া নেই কারও। বিএনপি বলে আসছে, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। এর অংশ হিসেবে গত কয়েক বছরে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলোতে কোনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা। এখন সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথে নানা কর্মসূচি পালন করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগও বলে আসছে, উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হওয়ায় এটি আর ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচন হবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদে রেখে, নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তাই বিএনপির সঙ্গে বসার প্রয়োজনীয়তা নেই। এর আগেও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সংলাপে বসেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দুই দলের নেতাদের মধ্যে সবশেষ সংলাপটি হয় ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনের আগে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় সেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। সেবার বিএনপি নির্বাচনে আসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামের একটি জোটের মাধ্যমে। সেই জোটের নেতৃত্বে ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সংলাপের পর আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসতে সম্মত হয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে নির্বাচনে সুবিধা করতে পারেনি জোট। একাধিক প্রার্থী, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে বিএনপি সেই নির্বাচনে পেয়েছিল মাত্র সাতটি আসন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

‘কাঁচকলা দেখাচ্ছে’ সবজির বাজার

নেতিবাচক কিছু ইঙ্গিত করতে ব্যবহার করা হয় ‘কাঁচকলা দেখানো’। সবজির বাজারের হালও তাই। বাজারে গিয়ে এখন ক্রেতার ভরসা ওই কাঁচকলা। কাঁচা তরকারির মধ্যে এটিই একমাত্র সবজি, যেটির দাম নাগালে। এর পর পেঁপে। এই সবজিও কিছুটা কম দামের কারণে ঘরে ঘরে হয়ে উঠেছে ‘প্রিয়’। দুই সপ্তাহ ধরে অস্বাভাবিক দরে বিক্রি হচ্ছে সবজি। কাঁচকলা ও পেঁপে ছাড়া কোনো সবজি মিলছে না ৮০ টাকার কমে। দামের সেঞ্চুরি পার করেছে কালো গোল বেগুন, শিম, বরবটি, উচ্ছে ও গাজর।ক্রেতারা বলছেন, সবজি আমদানি করতে হয় না, বরং কিছু কিছু রপ্তানি হয়। এর সঙ্গে ডলারের দাম বাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। তবু ব্যবসায়ীরা নানা ছুতায় দাম বাড়িয়েই যাচ্ছেন। বাজারে গেলে মাথা ঘোরে, অথচ এদিকে সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই। সূত্র: সমকাল

পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ!

কমিউনিটি পুলিশিং ডের অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়ার পর তা বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। বিশেষ করে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। যে কারণে এবার কমিউনিটি পুলিশিং ডে দেশের কোনো থানা এলাকায় না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি চাঁদাবাজি যেন না হয় সেটাও কঠোর মনিটরিংয়ে রাখতে বলা হয়েছে। অপরাধ দমন করতে থানা-পুলিশের পাশাপাশি সামাজিক পুলিশ হিসেবে কমিউনিটি পুলিশ গঠন করা হয়। এলাকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও পরিস্থিতির উন্নতির জন্যই মূলত কমিউনিটি পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। থানা-পুলিশ তাদের কাজের মনিটরিং করে।এলাকার অরাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিকে সভাপতি করে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কমিটি গঠন করা হয়। তাদের কাজের উৎসাহ দিতে প্রতি বছরই ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ উদযাপন করে আসছে পুলিশ সদর দপ্তর। ১৯৯৩ সালে ময়মনসিংহে প্রথম উদযাপন পালন করা শুরু হয়। সূত্র: দেশ রুপান্তর

‘বিরোধীদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢালতে চাওয়া’ সহিংসতা উসকে দিতে পারে: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

গত ৯ অক্টোবর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রায়’ এক সরকারি কর্মকর্তা (ওবায়দুল কাদের) রাশিয়া থেকে আমদানি করা ইউরেনিয়াম নিয়ে সমালোচনা করা বিরোধী নেতাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢালার হুমকি দেন। এমন বক্তব্য সহিংসতা উসকে দিতে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।আজ বৃহস্পতিবার সংস্থাটি তাঁদের ওয়েবসাইটে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আয়োজিত সেদিনের সমাবেশে ওই নেতা বলেন, ‘আমরা মারধর করে তাঁদের শান্ত করব না। আমরা শান্ত করার জন্য মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব।’বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতারা সহিংসতার হুমকি দিয়ে এমন বক্তব্য প্রায়শই দিয়ে থাকেন। তাঁরা অনেক সময় হামলার প্ররোচনা দেন। সাম্প্রতিক সমাবেশে ক্ষমতাসীন দলের এক মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ হুমকি দিলে কী করতে হবে তা আওয়ামী লীগ জানে।’ সমালোচকদের ও বিরোধী সদস্যদের বিচারের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ না করলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সহিংসতা উসকে দেওয়া বক্তব্যের বিচার হয় না বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়। সূত্র: আজকের পত্রিকা ।

ইসি মনে করে ভোটের প্রত্যাশিত পরিবেশ হয়নি

সব রকম প্রস্তুতি পুরোদমে চললেও দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশিত অনুকূল পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। গণমাধ্যমের সম্পাদকদের বরাবর পাঠানো এক ধারণাপত্রে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে।সংসদ ভেঙে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে রাজপথে সোচ্চার সরকারবিরোধী দল বিএনপি। অন্যদিকে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অনড় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যার যার অবস্থানে থেকে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিও পালন করছে দুই দল। এ কারণে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানা শঙ্কার কথা বলছেন। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ খুঁজছে নির্বাচন কমিশন।বুধবার নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শুধু আমরা কেন, পুরো দেশবাসী সমঝোতা চায়। দেশের মানুষ আশঙ্কার মধ্যে থাকতে চায় না। আমরাও আশা করি, একটা রাজনৈতিক সমঝোতা হবে, যা দেশ ও জাতির জন্য ভালো হবে। আর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হলে নির্বাচন কমিশনও ভোট অনুষ্ঠানে নিঃশঙ্কচিত্তে এগিয়ে যেতে পারবে।’ সূত্র: কালবেলা

ভোটের পথে প্রস্তুতির শেষে ইসি, আলোচনায় ‘সংলাপও’
“পারস্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অন্বেষণ অধিকতর ফলদায়ক হতে পারে,” এক ধারণাপত্রে বলছে ইসি।

ভোটে আসা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমার আভাস না মিললেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তফসিলের আগে সব ধরনের প্রস্তুতির কাজ গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন; একই সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছাতে সংলাপের বিষয়টিও আছে জোরালো আলোচনায়। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা বলছেন, তফসিল ঘোষণার কার্যক্রমও শেষ ধাপে রয়েছে। নির্বাচনী সামগ্রী আগামী সপ্তাহে মাঠ পর্যায়ে যাওয়া শুরু করবে। দিন যত যাচ্ছে কর্মযজ্ঞের পরিমাণ বাড়ছে। এরই মধ্যে বিবদমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে সমঝোতা-সমাধানের আশায় তাকিয়ে রয়েছে কমিশন। ভোটের ৯০ দিনের ক্ষণ গণনা শুরু হচ্ছে ২ নভেম্বর। এর আগে ২৬ অক্টোবর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘জাতির প্রত্যাশা’ নিয়ে কর্মশালা আয়োজনের সূচি রয়েছে ইসির। এজন্য একটি ধারণাপত্র তৈরি করেছে কমিশন। এতে বলা হয়েছে, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল, সেটি এখনও হয়ে উঠেনি। এমন প্রেক্ষাপটে ‘পারস্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অন্বেষণ অধিকতর ফলদায়ক’ হতে পারে বলে ধারণাপত্রে তুলে ধরা হয়েছে।বৃহস্পতিবার ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, সংবাদমাধ্যমের ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে ধারাবাহিক এই আলোচনায় জাতির কাছে তাদের প্রত্যাশার বিষয়গুলো উঠে আসবে। সূত্র: বিডি নিউজ

বিএনপির ‘মহাযাত্রা’য় কী হবে? আর আওয়ামী লীগ কী করবে?

বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি আগামী ২৮শে অক্টোবরের পর ‘মহাযাত্রা’র ঘোষণা দেয়ার পর, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে ‘পরিস্থিতি মোকাবেলা’র জন্য তারাও এখন প্রস্তুত। গামী মাসে অর্থাৎ নভেম্বরে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।দল দুটির শীর্ষ পর্যায়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, এ তফসিল ঘোষণার সময়টিকে লক্ষ্য করেই নিজেদের অবস্থান অনুযায়ী পরস্পরকে মোকাবেলার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতিই নিচ্ছে উভয় দল।আবার সম্প্রতি ঢাকা সফর করে যাওয়া মার্কিন প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলটি ওয়াশিংটনে ফিরে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী ইস্যু নিয়ে সংলাপসহ যে পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে, তা নিয়েও দল দুটির অবস্থান এখন বিপরীত মেরুতে।আওয়ামী লীগ বলছে, সংলাপ চাইলে বিএনপিকে ‘সরকারের পদত্যাগ কিংবা পতনের’র সব কর্মসূচি প্রত্যাহার’ করতে হবে আগে। আর বিএনপি বলছে সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সূত্র; বিবিসি বাংলা।