আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২৩

লুট হয়ে যাচ্ছে সোমেশ্বরী নদী
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড়ে জন্ম সোমেশ্বরীর। নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা সোমেশ্বরী এখন আর নদী নেই, হয়ে গেছে ক্ষীণ এক জলধারা। শত শত অবৈধ ‘বাংলা ড্রেজার’ দিয়ে প্রতিদিন বালু তোলায় নদীটি এখন সংকুচিত ও ক্ষতবিক্ষত। লুট হয়ে যাচ্ছে সোমেশ্বরী নদী। এতকাল দখল, দূষণ—এসব শব্দের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল নানা নদীর নাম। কিন্তু পাহাড়ি খরস্রোতা সোমেশ্বরীর দশা দেখে মনে হলো শুধু দখল–দূষণ নয়, দুর্বিনীত তাণ্ডব চলছে তার বুকে। নেত্রকোনার বিরিশিরির বটতলা মোড়ে সোমেশ্বরীর পাড়ে দাঁড়ালেই চোখে পড়ে এর ক্ষতবিক্ষত চেহারা। ইজারা নিয়ে নদী থেকে বালু তুলছে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরাই। কিন্তু মানা হচ্ছে না ইজারার শর্ত। এককালের চোখজুড়ানো এই নদী রক্ষায় কারও কোনো কার্যকর উদ্যোগও নেই।শত শত ‘বাংলা ড্রেজারের’ (অননুমোদিত ড্রেজার) কানফাটানো বিকট শব্দ ছড়িয়ে পড়ছে নদীর দুই পাশের প্রায় এক-দেড় কিলোমিটার এলাকায়। দূষিত পরিবেশ। দুর্বিষহ পরিস্থিতি। ক্ষতবিক্ষত সোমেশ্বরীর পাড়ে কিছুক্ষণ দাঁড়ালে কানে প্রায় তালা লেগে যায়। নদীর বুক খুঁড়ে প্রতিদিন তুলে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার ট্রাক বালু, নুড়ি পাথর আর কয়লা। সুত্র: প্রথম আলো

প্রকল্প নেওয়ার ৯ বছরেও শুরু হয়নি খাল খনন
দুই দফায় ব্যয় বেড়েছে আরো এক হাজার ৩৫ কোটি টাকা

চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর থেকে বহদ্দারহাট ও আশপাশের এলাকাকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি দিতে ৯ বছর তিন মাস আগে নতুন খাল খনন প্রকল্প হাতে নেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ (চসিক)। ৩২৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পে দুই দফায় ব্যয় বেড়েছে আরো এক হাজার ৩৫ কোটি টাকা। তবে এখনো খাল খনন শুরু হয়নি।৯ বছরে শুরু হয়নি খাল খনন২০১৪ সালের জুন মাসে বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২.৯১ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন একটি খাল খনন প্রকল্পের অনুমোদন পায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। ব্যয় ধরা হয় ৩২৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে গত কয়েক বছরে দুই দফায় (সংশোধিত) ব্যয় বেড়ে বর্তমানে এক হাজার ৩৬২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দফায় ব্যয় বাড়ার পর ৭৫ শতাংশ সরকারি তহবিল (জিওবি) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ২৫ শতাংশ অর্থ দেওয়ার কথা থাকলেও অর্থসংকটের কারণে নগরের এই সেবা সংস্থা ওই টাকা দিতে পারেনি। দ্বিতীয় দফার বাড়তি ব্যয়ের সঙ্গে প্রকল্পের পুরো টাকাই সরকার দিচ্ছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

আলোচনায় ২৮ অক্টোবর
নানা আলোচনা। নানা শঙ্কা। চারদিকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। কী হতে যাচ্ছে ২৮ অক্টোবর? ঢাকায় মহাসমাবেশ থেকে বিএনপির ‘মহাযাত্রা’ ঘোষণার দিন আওয়ামী লীগের পাল্টা অবরোধের ঘোষণা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে সরকারের সব সংস্থায়। এরই মধ্যে আগাম সতর্কবার্তা এবং সুপারিশ দিয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে উচ্চ পর্যায়কে অবহিত করেছে একাধিক সংস্থা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে। রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে তাদের। মহাসমাবেশের পর বসে যাওয়ার চেষ্টা করলে জিরো টলারেন্স প্রদর্শনের বিষয়টিও ভাবছেন সরকারের শীর্ষ মহল। অন্যদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ৭৮টি সাংগঠনিক টিমকে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল করতে সহযোগিতার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্র। জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর ঘিরে ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দফতর থেকে সব ইউনিট প্রধানকে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব বাহিনীকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। যদিও বিএনপির একটি সূত্র দাবি করছে, নির্বাচনের এত আগে তারা শক্তি ক্ষয় করবে না। তবে যখনই আন্দোলন শুরু করবে তখন লাগাতার হবে। তা হবে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

অভিযোগ-সাক্ষ্যের গরমিল হলে শাস্তি
মামলার পুলিশ সাক্ষীরা (বাদী) আদালতে অনুপস্থিতি ও এফআইআরের সঙ্গে সাক্ষ্যের অমিল হলে শাস্তির মুখে পড়বেন। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের সদর দপ্তর থেকে। নির্দেশনায় পুলিশ সদস্য ছাড়া মামলার অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্য দেওয়ার আগে আদালত পরিদর্শকের অধীন কোনো কর্মকর্তাকে মামলা সম্পর্কে ভালো করে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। পুলিশের বিভিন্ন সূত্র নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পুলিশের সদর দপ্তর সূত্র বলছে, সাক্ষীর অনুপস্থিতি মামলার নিষ্পত্তি বিলম্বিত করে। তাই বিচার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পুলিশ সদস্যদের যথাসময়ে সাক্ষ্য দিতে সময়ে সময়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে। আদালত সূত্র বলেছে, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা মামলার বাদী অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশ। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

সংসদ নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষণ
নির্বাচনে অনুকূল পরিবেশের ঘাটতি দেখছেন কূটনীতিকরা

Nagad

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সহায়ক বা অনুকূল পরিবেশে এই মুহূর্তে ঘাটতি দেখছেন বাংলাদেশে কর্মরত অনেক বিদেশি কূটনীতিক। তারা বলছেন, সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে জাঁকজমকপূর্ণ; কিন্তু এখন পর্যন্ত এর অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বরং রাজনৈতিকভাবে রয়েছে চাপা উত্তেজনা।বিদেশি কূটনীতিকরা এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন। যেমন তারা বলছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আবার ইসির প্রতি অনেক রাজনৈতিক দলের রয়েছে অনাস্থা। নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি রয়েছে দুই মেরুতে– এই সংকট নিরসনে সংলাপের পরিবেশও তেমন দেখা যাচ্ছে না। তাই নির্বাচন ঘিরে সংঘাত সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এসব কারণেই সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশে ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।অনেক বিদেশি কূটনীতিকের পর্যবেক্ষণ হলো, বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের মতামত সংকুচিত হয়েছে, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ঘটনাও ঘটছে। ভোটের মাঠে সব দলের প্রার্থীর প্রতি প্রশাসনের সমান আচরণেও রয়েছে ঘাটতি।বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশের মূল্যায়ন জানতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও রাশিয়া দূতাবাস এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘ কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। তবে কেবল চীনের দূতাবাস ও জাতিসংঘ কার্যালয় সমকালের প্রশ্নে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রদান করে। অন্য দূতাবাস ও হাইকমিশনের কূটনীতিকরা তাদের পর্যবেক্ষণ জানান নাম না প্রকাশ করার শর্তে। বাংলাদেশে জাতিসংঘ কার্যালয়ের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস সমকালকে বলেন, ‘কাকে ভোট দেবে– সেটি এ দেশের মানুষের একান্তই নিজের সিদ্ধান্ত। তবে নির্বাচনে যেন জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।’ জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আশা করে জাতিসংঘ। কোনো দেশ অনুরোধ করলে জাতিসংঘ এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা প্রদান করে। তবে বাংলাদেশ সরকার কোনো সহযোগিতা চায়নি বলে জানান তিনি।সূত্র: সমকাল

ভোটের পথে প্রস্তুতির শেষে ইসি, আলোচনায় ‘সংলাপও’
“পারস্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অন্বেষণ অধিকতর ফলদায়ক হতে পারে,” এক ধারণাপত্রে বলছে ইসি।

ভোটে আসা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমার আভাস না মিললেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তফসিলের আগে সব ধরনের প্রস্তুতির কাজ গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন; একই সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছাতে সংলাপের বিষয়টিও আছে জোরালো আলোচনায়। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা বলছেন, তফসিল ঘোষণার কার্যক্রমও শেষ ধাপে রয়েছে। নির্বাচনী সামগ্রী আগামী সপ্তাহে মাঠ পর্যায়ে যাওয়া শুরু করবে। দিন যত যাচ্ছে কর্মযজ্ঞের পরিমাণ বাড়ছে। এরই মধ্যে বিবদমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে সমঝোতা-সমাধানের আশায় তাকিয়ে রয়েছে কমিশন।ভোটের ৯০ দিনের ক্ষণ গণনা শুরু হচ্ছে ২ নভেম্বর। এর আগে ২৬ অক্টোবর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘জাতির প্রত্যাশা’ নিয়ে কর্মশালা আয়োজনের সূচি রয়েছে ইসির। এজন্য একটি ধারণাপত্র তৈরি করেছে কমিশন। এতে বলা হয়েছে, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল, সেটি এখনও হয়ে উঠেনি। এমন প্রেক্ষাপটে ‘পারস্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অন্বেষণ অধিকতর ফলদায়ক’ হতে পারে বলে ধারণাপত্রে তুলে ধরা হয়েছে।বৃহস্পতিবার ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, সংবাদমাধ্যমের ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে ধারাবাহিক এই আলোচনায় জাতির কাছে তাদের প্রত্যাশার বিষয়গুলো উঠে আসবে। সূত্র: বিডি নিউজ

অভিযোগ বেশি সাজা কম

মিরপুর কমার্স কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থী ভালোবেসে বিয়ে করেন ২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী ও দুই পরিবারে টানাপড়েন শুরু হয়। ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য মারধর ও গলা টিপে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন স্ত্রী। আসামিকে কয়েক দিন কারাগারে থাকতে হয়। বিচার শেষে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ আসামিকে খালাস দেয়। এ মামলার আগে একই বাদী একই ব্যক্তিকে আসামি করে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় আরেকটি মামলা করেছিলেন ২০১৮ সালের ২০ মার্চ। ঢাকার সংশ্লিষ্ট আদালত ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর রায়ে আসামিকে খালাস দেয়।প্রথম মামলার রায়ে বলা হয়, সাক্ষীরা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি। ভুক্তভোগী জখমের কথা বললেও হাসপাতালে ভর্তির কোনো মেডিকেল সনদ দেখাতে পারেননি। দ্বিতীয় মামলার রায়েও বলা হয়, সাক্ষ্য ও অন্য নথিপত্রে বাদীপক্ষের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।অথচ দুই মামলায় বিচার পেতে পাঁচ বছরের বেশি সময় আদালতে ঘুরতে হয়েছে বাদী, আসামি ও তাদের স্বজনদের। মামলার জের ও তিক্ততায় ইতিমধ্যে দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

বাংলাদেশে মোবাইল ফোনে চালু হচ্ছে জিও লোকেশন, এ প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে?

বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের আগে হঠাৎ করেই আলোচনায় এসেছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মানুষের জিও লোকেশন বা অবস্থান শনাক্ত করার প্রযুক্তি, যা আগামী মাস থেকেই মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে কার্যকর হওয়ার কথা। এটি চালু হলে অপারেটরদের সহায়তা নিয়ে কিংবা সহায়তা ছাড়াই একজন বা এক সঙ্গে অনেক মানুষের সুনির্দিষ্ট অবস্থান শনাক্ত করতে পারবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বা নজরদারির সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলো। অর্থাৎ লোকটি ঠিক কোথায় আছেন এটি চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।আবার এ প্রযুক্তির সাথে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয় করে ব্যক্তির জিও লোকেশন ছাড়াও এক সঙ্গে বহু মানুষের গতিবিধি বা মুভমেন্ট সম্পর্কেও জানতে পারবে নজরদারিতে জড়িত সংস্থাগুলো।এজন্য মোবাইল অপারেটরদের নিজ খরচে নতুন সফটওয়্যার ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সংযোজন করতে চাপ দেয়া হলেও বিটিআরসি কিংবা সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ
বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে কেন এত চাপ দিচ্ছে পশ্চিমারা

গত মাসে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতকে ‘গণতন্ত্রের জননী’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কিন্তু ভারতের প্রতিবেশী বাংলাদেশের বর্তমান গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে তেমন কোনো মন্তব্যই করেননি। তার ওপর এই গল্পের বড় ট্র্যাজেডি হলো ভারতের সবচেয়ে বড় আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখাকে একটি খারাপ কৌশল হিসেবে বিবেচনায় করা হয়ে থাকে। নীতিনির্ধারকরা সচেতনভাবেই অন্যান্য দেশের সঙ্গে লেনদেনে এই নীতিগ্রহণ না করার চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভারত এই কাজটিই করে এসেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওপরই সবচেয়ে বেশি আস্থা রেখেছে দেশটি। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল নেই যার ওপর ভারত ঝুঁকতে পারে বা আস্থা রাখতে পারে।২০১৪ সালে দেশটির বৃহৎ বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি করানোর জন্য চেষ্টা চালায় ভারত। তখন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল বিএনপি। আওয়ামী লীগ বিএনপির দাবি মানতে রাজি না হওয়ায় দলটি নির্বাচন বয়কটের হুমকিও দিয়েছিল। সূত্র: কালবেলা

৩৫০ সদস্য ফিরছেন ডিএমপিতে
মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিচ্ছে ‘এমআরটি পুলিশ’

মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে এরই মধ্যে মেট্রো পুলিশ ইউনিট বা এমআরটি পুলিশ গঠন করেছে সরকার। বিশেষায়িত এমআরটি পুলিশে যুক্ত হয়েছে আরও ২০০ জনবল। এ নিয়ে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে এমআরটি পুলিশে জনবল এখন ৪৩১ জন। এ জনবল দিয়ে শনিবার (২১ অক্টোবর) থেকে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব পালন শুরু করতে যাচ্ছে এমআরটি পুলিশ।তার আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব বুঝে নেবে এমআরটি পুলিশ। আনসার সদস্যসহ ডিএমপির ৩৫০ সদস্য এতদিন এমআরটির সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে আসছিলেন। জানতে চাইলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, আজ ডিএমপি কমিশনার (হাবিবুর রহমান) মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব এমআরটি পুলিশকে বুঝিয়ে দেবেন। একই সঙ্গে এমআরটিতে কর্মরত আনসার সদস্যসহ ডিএমপির ৩৫০ সদস্যকে ডিএমপিতে ফিরিয়ে আনা হবে। এ উপলক্ষে আজ উত্তরায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। সূত্র: জাগো নিউজ