টানেলের যুগে বাংলাদেশ: বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১২:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২৩

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রথম সুড়ঙ্গপথ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গে সুড়ঙ্গ দিয়ে খুলল আরেক দুয়ার। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলটি উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর দোয়া করেন তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন।

দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী ও বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলার মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটি ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টানেলটি আগামী সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

টানেল উদ্বোধন শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা জনসভায় যোগ দিতে টানেলের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন সরকারপ্রধান।

এদিন আনোয়ারা নদীর দক্ষিণ তীরে আরেকটি ফলক উন্মোচন করবেন সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী দিনের খাম এবং প্রথম নদীর তলদেশে সড়ক টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহরও অবমুক্ত করবেন।

এর আগে টানেল উদ্বোধন করতে সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রামে পৌঁছান শেখ হাসিনা।

Nagad

টানেল উদ্বোধন ঘিরে কর্ণফুলী নদীর দুই পারে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে আনোয়ারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার মাঠ কানায় কানায় ভরে গেছে। জনসভায় আনোয়ারা, কর্ণফুলী, পটিয়া, বাঁশখালীসহ উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগরের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।

বিশাল এই জনসভায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, টানেল উদ্বোধন হলে যোগাযোগের সুবিধা পাবেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও কক্সবাজার জেলার মানুষ। তাই তাদের মধ্যে বেশি উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক চীনের এক্সিম ব্যাংক অর্থায়ন করেছে। টানেলের পুরো রুটের দৈর্ঘ্য হলো ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার, সুড়ঙ্গটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার ও এর ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের নেটওয়ার্ক উন্নততর হবে। চীনের কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এটি নির্মাণ করেছে।