মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক দখলের চেষ্টা, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ

সাভার প্রতিনিধি:সাভার প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৭:০৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২৩

মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে আশুলিয়ায় তৃতীয় দিনের মত সড়কে নেমে বিক্ষোভের চেষ্টা করেছে কয়েকটি গার্মেন্টসের কয়েক হাজার শ্রমিক। এ ঘটনায় দফায় দফায় টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করছে পুলিশ। ফলে আশুলিয়ার প্রধান দুই সড়কে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে সড়কের পাশের সমস্ত দোকানপাট ও শপিং মলগুলো।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৮ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত বাইপাইল- আব্দুল্লাহপুর সড়কের আশুলিয়ার ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও ঘোষবার এবং নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকা বিক্ষোভের চেষ্টা করেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালেও কয়েকটি কারখানার শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সড়কে নেমে আসে। পরে পুলিশ তাদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এরপর শ্রমিকরা আবারও ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

দফায় দফায় কয়েকবার তারা সড়কে নেমে আসলে পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ফলে সড়কের পাশের সমস্ত দোকানপাট ও শপিংমল গুলো বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি থমথমে হওয়ায় দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ রেখেছেন বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

ইউনিক এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজালাল বলেন, আমরা সকাল বিকেল দোকান বসাই। গত তিন দিন ধরে সকাল থেকে আন্দোলন শুরু করে শ্রমিকরা। তাদেরও ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এমন পরিস্থিতিতে দোকানে ক্রেতারাও আসে না। আর টিয়ারগ্যাসে নাক মুখ জ্বলে। ফলে ব্যবসা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি।

এদিকে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে বেশিভাগ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।

অন্যদিকে সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে এক সাথে কাজ করছে আর্ম ব্যাটেলিয়ান, বিজিবি, র‍্যাব ও জেলা পুলিশসহ শিল্প পুলিশ-১ এর কয়েকটি টিম।

Nagad

এ বিষয়ে বিষয়ে ঢাকা শিল্প পুলিশ ১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, আশুলিয়ার বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেই সাথে সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সেই সাথে সড়কে আমাদের টহল টিম রয়েছে।

পুলিশ সদস্য আহত আছে কিনা? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনতো বলা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ সবাইতো সড়কে আছে। আমি এখনো বাহিরে আছি। সন্ধ্যার দিকে বলতে পারবো।

শ্রমিক আহতের ব্যাপারে তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় তারা দৌড়াদৌড়ির এক পর্যায়ে পরে গিয়ে আহত হয়। সে বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।