অভিযোগ: দুই উপ-নির্বাচনের ফল ও গেজেট স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২৩

অনিয়মের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনের ফল ও গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সদ্য সমাপ্ত হওয়া এই উপ-নির্বাচনে ভোটে অনিয়ম, কারচুপি এবং প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারার যে অভিযোগ উঠেছে তা বিশ্লেষণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপরেই এই বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি, এসপি এবং নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের দেওয়া সরেজমিনে প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আসন দুটিতে ঘোষিত ভোটের ফলাফল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ইসির নতুন মুখপাত্র ও সচিব জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইসি সচিব বলেছেন, কয়েকটি গণমাধ্যমে গত ৫ নভেম্বরের উপ-নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের একটি কেন্দ্রে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের একটি কেন্দ্রে অনিয়মের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। এ তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করেছে ইসি। তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কর্তৃক ১৯৭২ সালের আদেশে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, এতে নতুন একটা সেকশন সংযুক্ত হয়েছে। তাতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, রিটার্নিং অফিসার ফল ঘোষণা করলেও যদি কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হয়ে তথ্য-উপাত্ত নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করে, তখন নির্বাচন কমিশন ওই আসনের গেজেট স্থগিত রাখতে পারবে। কমিশন অভিযোগ আমলে নিয়ে যথাযথ তদন্ত করে সে প্রতিবেদন পাওয়া পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। যেহেতু আইনে নির্বাচন কমিশনকে এই ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে, তাই গেজেট আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

গত রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ভোটে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ বলেও অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।

Nagad

এমনকি লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের একটি কেন্দ্রে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়। যার ভিডিও এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা ব্যক্তিকে ছাত্রশিবিরের কর্মী বলে দাবি করেছেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর একই দিন মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল। তাদের মৃত্যুতে গত ৪ অক্টোবর আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।