ভুল মরদেহ সমাহিত, তুলে পরিবারকে হস্তান্তরের নির্দেশ

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৩

মোংলা উপজেলার চিলায় গত ১৪ এপ্রিল হিলটন নাথ হিসেবে সমাহিত মরদেহটি ব্যবসায়ী মাহে আলমের বলে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টে প্রমাণ হয়েছে। এই অবস্থায় বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত গত বুধবার এক আদেশে মরদেহটি তুলে ১৫ দিনের মধ্যে মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, হিলটন নাথ গত ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাত মরদেহ পাওয়া যায়। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা-পুলিশ মরদেহটি তার কাছে হস্তান্তর করে।

হিলটন নাথ খুন ও মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে খুলনার দাকোপ থানা এবং বাগেরহাটের মোংলা থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়। অন্যদিকে নিখোঁজ হওয়া মোংলার ব্যবসায়ী মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলি আদালত ‘গ’ অঞ্চল খুলনা হিলটন হিসেবে সমাহিত মরদেহটির ডিএনএ টেস্টের জন্য আদেশ দেন।

গত ১ আগস্ট হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট আসে। তাতে দেখা যায় মৃত ব্যক্তি সুমন রানার জৈবিক পিতা, মাহে আলম। এই অবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে ৬ মাস ২৩ দিন পর গত ৮ নভেম্বর দুপুরে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খোকন হোসেন মাহে আলমের মরদেহ উত্তোলন করে ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। আদালত ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের মাহে আলমের মরদেহ হস্তান্তর করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।

এ বিষয়ে মাহে আলমের ছেলে সুমন রানা বলেন, ‘প্রায় সাত মাস নানা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অবশেষে আদালত আমার বাবার লাশ উত্তোলন করে হস্তান্তরের আদেশ দিয়েছেন। এখন আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি বাবার লাশটি পাওয়ার পর মুসলিম রীতি অনুযায়ী দাফন সম্পন্ন করার। পাশাপাশি সুন্দরবনে নানা অপকর্মে জড়িত একটি চিহ্নিত চক্র আমার বাবার খুন ও মরদেহ গুমের সঙ্গে জড়িত। আশা করছি, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে মোংলা থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইমরান হোসেন বলেন, মৌখিকভাবে শুনলেও মরদেহ উত্তোলনের আদেশের কপি এখনও লিখিতভাবে পায়নি। কপি পেলে মরদেহ উত্তোলনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Nagad