‘অনলাইনে নির্বাচনী সংক্রান্ত কাজ হলে শোডাউন কালচার কমবে’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৩

অনলাইনে নির্বাচনী সংক্রান্ত কাজ হলে শোডাউন কালচার কমবে, নির্বাচন ব্যবস্থা আরও সহজ ও পরিশুদ্ধ হবে-বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সংগৃহীত ছবি

অনলাইনে নির্বাচনী সংক্রান্ত কাজ হলে শোডাউন কালচার কমবে, নির্বাচন ব্যবস্থা আরও সহজ ও পরিশুদ্ধ হবে-বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন- নির্বাচনের যে অ্যাপ উদ্বোধন করা হলো এটা স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে খুব সহায়তা করবে। ভোটে দুই ঘণ্টা পরে আমি কী পেলাম, চার ঘণ্টা পরে কী পেলাম তা জানতে পারবো। এই অ্যাপ স্বচ্ছতা সৃষ্টিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। মনোনয়নপত্র সাবমিশন করতে গিয়ে শোডাউন করা হয়। এই শোডাউন কালচারে পরিণত হয়েছে।

রোববার (১২ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি অ্যাপ অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেম (ওএনএসএস) ও স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান ও ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিইসি।

অ্যাপের বিষয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটা ব্যবহার খুবই সহজ। আমরা বেশ কয়েকটি উপ-নির্বাচনে অনলাইনে সাবমিশন ব্যবহার করেছি, এটা কঠিন কিছু না। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে। এটা অনেক আধুনিক হবে। বিগত ৫ থেকে ৭ বছর অনলাইন ব্যবহার করি, এটা খুবই সহজ এবং স্বস্তিদায়ক।

তিনি আরও বলেন, আগে ২৫০ টাকার টেলিফোন বিল দিতে গিয়ে ৫০০ টাকা পে করতে হতো যে এগুলো দিয়ে আসতো। অনলাইন আমাদের জীবনকে সহজ করে দেয়। কাজেই একটু কষ্ট করে আমাদের শিখে নিতে হবে। কীভাবে আমরা এই অ্যাপ ব্যবহার করবো।

নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে সিইসি বলেন, ৯৭ থেকে ৯৮ সালে আমি যখন কম্পিউটার ইউজ করতে শুরু করি। আমরা দেখেছি বিভিন্ন দেশ ও বিশ্বব্যাংক থেকে প্রতিনিধিরা আসতেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাণিজ্যিকভাবে যাতে কম্পিউটারগুলো কেনা হয়। এর ফলে আমাদের প্রযুক্তি শেখাচ্ছে আর বলা হচ্ছে অনলাইন শপিং। এটা ইংরেজিতে বলছে তখন ইংরেজি খুব ভালো বুঝতাম না বুঝতে গিয়ে একটু ভুল বুঝে ফেলেছিলাম। অনলাইন শপিং বলতে বুঝতে পেরেছি কম্পিউটারে শপিং করা যাবে। কিন্তু সন্দেহে ছিলাম এটা কীভাবে সম্ভব। আমি হয়তো এক কেজি গরুর মাংস ও রসগোল্লা কিনবো কিন্তু কীভাবে এটা সম্ভব। এটা কীভাবে আসবে প্রিন্টার দিয়ে না তার দিয়ে না অন্যভাবে। লজ্জায় এই বিষয়ে কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করি নাই। তারের ভেতর দিয়ে দুই কেজি মাংস কীভাবে আসবে তা বুঝতে পারি নাই। কিন্তু ধীরে ধীরে এখন শিখে গেছি। আমি এখন অনলাইনে আমার সমস্ত ইউটিলিটি বিলগুলো পে করি।

অনলাইন ভোটিং প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এখনও ঘরে বসে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা পৃথিবীর কোথাও চালু হয়নি। তবে বর্তমানে ভারত চেষ্টা করছে ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটিং সিস্টেমের। ওরা সফল হলে আমরাও প্রবর্তন করতে পারবো। তবে কবে চালু হবে তার নিশ্চয়তা এখন দিতে পারছি না। যোগ করেন তিনি।

Nagad

সিইসি বলেন, আমার বিশ্বাস অ্যাপটা নির্ভরযোগ্য হবে। অনলাইন নমিনেশন দলগুলো ব্যবহার করবেন। অ্যাপটা সাধারণে যদি অ্যাপটা ব্যবহার করে উপকৃত হবেন। অ্যাপল, অ্যান্ড্রয়েড যেকোনো ফোনেই এটা ব্যবহার করতে পারবেন।