‘পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে’
পোশাকশ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইন্ধন দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন- শ্রমিকদের বেতন ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার ৬০০ করা হয়েছে; আমি মনে করি এই বিষয়ে তাদের আপত্তি থাকলে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে বসে একটা সমাধানে আসার অবস্থান রয়েছে। সেটি না করে তারা এগুলো করলে নিজেদের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি দেশেরও ক্ষতি হয়। অবশ্যই গার্মেন্টসকর্মীদের আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে।
রোববার (১২ নভেম্বর) নিজ অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


মজুরি বাড়ানোর দাবিতে সম্প্রতি ঢাকা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে নামেন পোশাকশ্রমিকরা। এসময় কিছু কারখানায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগও হয়। পরে সরকার আট হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করে।
কিন্তু এই বৃদ্ধির ঘোষণাও প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রমিকরা। তারা ফের ঢাকা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছেন। চলমান পরিস্থিতিতে দেশে ১৩০টি পোশাক কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি কুষ্টিয়ার একজন বিএনপি নেতা কোনাবাড়ীতে আন্দোলনরত গার্মেন্টসকর্মীদের উৎসাহ দিচ্ছিলো, ঐক্যবদ্ধ করছিলো— এ রকম বিভিন্ন ঘটনা আমাদের ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। তথ্য আছে তারা সবাই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট। এরাই নিরীহ শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছে।
আজকেও মিরপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ হয়েছে। এর কারণ কী জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পোশাকশ্রমিকদের ৫৬ শতাংশ মজুরি বাড়িয়েছেন। অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। অনেকের মনের সংশয় আছে, দ্বিধা আছে, এরকম আমরা শুনতে পাচ্ছি। সেকেন্ড গ্রেড, থার্ড গ্রেড, ফোর্থ গ্রেড এগুলোর কি হবে। মালিকপক্ষ নিশ্চয়ই এগুলোর সমাধান করবেন, তারা তো ব্যবসা-বাণিজ্য করবেন। সমাধান করার ক্ষেত্রটি আগুন নয়, সমাধান করার ক্ষেত্রে ভাঙচুর নয়, সমাধান করার ক্ষেত্রে রাস্তা অবরোধ করা নয়।’