‘ব্যারিকেড নেই বিএনপির কার্যালয়ে, নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:১৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২৩

রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুই পাশে রাখা ব্যারিকেড সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে এ ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখনও তালাবদ্ধ। পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যও মোতায়েন রয়েছে। অবশ্য এ মুহূর্তে বিএনপি কার্যালয়ের ঠিক সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য নেই। তারা কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ভিক্টরি হোটেলের গলিতে এবং শ্রিংলা ইন রেস্টুরেন্টের সামনে অবস্থান করছেন।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিএনপির নেতাকর্মীরা। এর পর থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশের কলাপসিবল গেট বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। তখন থেকেই ওই কার্যালয় কার্যত ছিল পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। বিএনপি কার্যালয় ও এর আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। পর্যায়ক্রমে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা তারা সেখানে অবস্থান করেন। ৮-১০ দিন আগে কার্যালয়ের সামনে লোহার ব্যারিকেড আনা হয়।

এদিকে, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও এর আশপাশের এলাকা থেকে গত কয়েকদিনে দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় এবং এর আশপাশে আসা ছেড়ে দিয়েছেন।

এমন অবস্থার মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এর পরেই বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে লোহার ব্যারিকেড সরিয়ে নেয় পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নাশকতায় আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ তালা মারেনি, তারা নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে এবং তারা এখন সেখানে আসে না। কেন আসে না, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের পুলিশ সেখানে সব সময়ই থাকে নিরাপত্তার জন্য। মাসের ৩০ দিনই সেখানে পুলিশ প্রহরা থাকে। একইভাবে এখনো সেখানে পুলিশ আছে।

Nagad

হাবিবুর রহমান আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি সেখানে যায়, অফিস খুলে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম চালায়, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। সেটা কখনো ছিলও না।