৬০ ইসরায়েলি সামরিক যান গুঁড়িয়ে দিল ফিলিস্তিন, বিরতির দ্বারপ্রান্তে
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাছাকাছি রয়েছেন তারা। গাজায় তীব্র হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। অপরদিকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালাচ্ছে হামাস।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ৭২ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ৬০টি সামরিক যান গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদন এমন তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু।


এক রেকর্ড বার্তায় আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেদা বলেছেন, এসব ইসরায়েলি সামরিক যানের মধ্যে ১০টি সেনাবাহী গাড়ি ছিল। গাজার বেশ কয়েকটি এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তুমুল লড়াই চলছে বলেও জানান তিনি।
ইসমাইল হানিয়াহ তার এক সহযোগীর মাধ্যমে রয়টার্সকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, হামাস কর্মকর্তারা ইসরায়েলের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
ওই বিবৃতিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, যুদ্ধবিরতি কতদিন স্থায়ী হবে, গাজায় ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা এবং ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি জিম্মিদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আসাত আল রাশিক নামের ওই কর্মকর্তা বলেন, দুই পক্ষই নারী এবং শিশুদের মুক্ত করে দেবে। এ বিষয়ে কাতারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। দুপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার কাজ করছে কাতার।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২ ইসরায়েলি হত্যার পাশাপাশি দুই শতাধিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে আসে হামাস। এরপর থেকে হামাসকে নিশ্চিহ্নের নামে বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনির মানুষের সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনো হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহতের প্রতিবাদ এবং যুদ্ধবিরতির দাবিতে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করলেও তা আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল ও তার পশ্চিমা মিত্ররা।