আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা বাড়াতে বেসিস-বিসিসি-জাইকার যৌথ প্রকল্প

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২৩

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)-এর সাথে বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা বাড়াতে যৌথভাবে ‘জাইকা-বিসিসি-বেসিস: কারিগরি সহযোগিতা প্রকল্প (টিসিপি)’ নামে একটি মাইলফলক প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

এই প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রকল্পের মেয়াদ হবে ৪২ মাস, যা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকে এগিয়ে নিতে মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য একটি টেকসই কাঠামো তৈরি করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিল্প বিশেষজ্ঞ, সরকার এবং একাডেমিয়াদের সহযোগিতায় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রকৌশলী উন্নয়নে এবং প্রকৌশল দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কোর্সের ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীকালে, এটি প্রাইভেট কোম্পানি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্বে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কোর্স তৈরি এবং বাস্তবায়ন করবে।

এই প্রকল্পে জাপানি শিল্প-অ্যাকাডেমিয়া সহযোগিতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অধীনে নিম্নলিখিত নয়টি কোর্সের ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছে।এগুলি হল: আর্কিটেকচার, ফর্মাল স্পেসিফিকেশন, ক্লাউড, টেস্টিং এবং ভেরিফিকেশন, এজাইল, রিকোয়ারমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং, সিকিউরিটি, ডেটা সায়েন্স এবং ডেটা-ড্রাইভেন সোসাইটি এবং রেগুলেশন।

এ প্রসঙ্গে শনিবার, বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে বেসিসে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বেসিসের পরিচালক ও বেসিস জাপান ডেস্কের চেয়ারম্যান একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু, জাইকা বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ আকিহিরো শোজি, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম সারওয়ার, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) বিসিসি এবং বেসিসের অন্যান্য সদস্য ও জাপান ডেস্ক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, “বেসিস এই প্রকল্পের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হবে এবং প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করবে। বেসিস এই ধরনের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের চাহিদা এবং দক্ষ মানব সম্পদের মধ্যে যে ব্যবধান আছে তা পূরণ করে, আমরা বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য একটি টেকসই এবং সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেম তৈরি করার লক্ষ্যে সবসময়ই কাজ করে যাচ্ছি।”

একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু বলেন, “এই প্রকল্পটি বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য এবং বেসিস সদস্যরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল বেসিসের সদস্য কোম্পানিগুলির সাথে উচ্চ-মধ্যম থেকে উচ্চ-স্তরের তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।”

Nagad

আকিহিরো শোজি বলেন, “প্রকল্পটি বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সমৃদ্ধিকে উত্সাহিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আমি মনে করি। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”

ইঞ্জিনিয়ার গোলাম সারওয়ার বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নে সরকার সবসময়ই প্রাইভেট সেক্টরের সাথে ওতপ্রোতভাবে কাজ করে আসছে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে দক্ষ প্রকৌশলীর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই এই ধরনের প্রকল্প নিয়ে সরকার কাজ করছে।”