দেশের ওপর মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো সম্ভাবনা নেই : বিজিএমইএ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:০৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩

বাংলাদেশের ওপর আমেরিকার বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, আমেরিকা থেকে বলা হচ্ছে আমরা শ্রম আইন মানছি না। কিন্তু আমরা কোনো শ্রম আইন লঙ্ঘন করিনি। যাতে শ্রম আইন লঙ্ঘন না হয় সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা আরো সচেতন হচ্ছি। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো কারণ নেই, যৌক্তিকতাও নেই।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ‘বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট ২০২৩’ আয়োজন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নোত্তরে ফারুক হাসান এ কথা বলেন।

অভিযোগ করে ফারুক হাসান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তুলা চাষিদের ন্যায্য মূল্য দিতে সে দেশের তুলা আমাদের দেশে আসছে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্তভাবে। তারপরও শ্রমিক ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমাদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। অথচ, দেশে শ্রমিক স্বার্থ কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। লেবার ল’ নিয়েও উদ্বিগ্ন হওয়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শ্রমিক ইস্যু নিয়ে যেভাবে আমাদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে সেভাবে যেন দেশটি তাদের দেশের ক্রেতাদের বলে পোশাকের ন্যায্য মূল্য দিতে। আমাদের দেশে সর্বনিম্ন মজুরি ইতিমধ্যেই সকল তৈরি পোশাক কারখানায় কার্যকর করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক শেষ করা শিক্ষার্থী ও নবীন চাকরিজীবীদের দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পের সঙ্গে পরিচিত করতে দুই দিনব্যাপী ক্যারিয়ার সামিট ও ফেস্টের আয়োজন করেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি কারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই রপ্তানির খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কার্যক্রম থেকে সকলকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

Nagad

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিকে ‘জোরালোভাবে সমর্থন করার’ অনুরোধ জানিয়ে আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) বরাবর চিঠি দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের আট সদস্য। গত ১৫ ডিসেম্বর দেয়া এ চিঠিতে সাম্প্রতিক ‘দমন-পীড়ন’-এর প্রসঙ্গ এনে বলা হয়, বাংলাদেশে রূপান্তরমূলক, পদ্ধতিগত সংস্কারের জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। সেদিকে আহ্বান জানাতে মার্কিন করপোরেশনগুলোকে অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে।