আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩

নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র, উগান্ডাসহ বিদেশি পর্যবেক্ষকের আগ্রহ বেশি
বিদেশি : দশমে চারজন, একাদশে ৩৮, এবার ১৫৬। দেশি : একাদশে ৮১টি সংস্থা, এবার ৯৬টি। এবার এসব সংস্থার ২২ হাজার পর্যবেক্ষক থাকছেন।

বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো ভোট বর্জন করলেও গত তিনটি সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটে বিদেশি পর্যবেক্ষদের আগ্রহ বেশি রয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩৮ জন ও দশমে মাত্র চারজন বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫৬ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকছেন। এ ছাড়া বিদেশি সাংবাদিক ও বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ ৯১ জন পর্যবেক্ষণে থাকবেন।গত সংসদ নির্বাচনে ৮১টি দেশি সংস্থা পর্যবেক্ষণের অনুমতি পেলেও এবার ৯৬টি দেশি সংস্থার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এসব সংস্থার ২২ হাজার পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানা গেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওআইসি ও কমনওয়েলথ থেকে আমন্ত্রিত এবং অন্য বিদেশি পর্যবেক্ষক ছিলেন ৩৮ জন। এর বাইরে বাংলাদেশে বিভিন্ন দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তা (বিদেশি) ছিলেন ৬৪ জন। সূত্র; কালের কণ্ঠ

চার আসনে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির বহিষ্কৃতদের পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ

চারটি আসনে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জেতাতে মাঠে নেমেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। আসনগুলো হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ), পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া), রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) ও কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া)। এর মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে সমঝোতার কারণে প্রথম তিনটি আসনে জাপাকে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এসব আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নেই, তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা রয়েছেন। আর কিশোরগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীও আছেন। স্থানীয় দলীয় সূত্রগুলো বলছে, এসব আসনে জাপা ও বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থীদের পক্ষে আওয়ামী লীগের অনেকে মাঠে নেমেছেন অনেকটা চাপের মুখে। কোন পর্যায়ে থেকে চাপ এসেছে, এ নিয়ে স্বনামে মন্তব্য করতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট নেতারা। সূত্র: প্রথম আলো

পায়রায় যুক্ত হচ্ছে কয়লা এলএনজির আরো তিন বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র

পটুয়াখালীর পায়রায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)। সংস্থাটি এখন পায়রায় একই সক্ষমতার কয়লাভিত্তিক আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। যৌথভাবে কয়লাভিত্তিক আরেকটি বিদ্যুৎ নির্মাণ করছে চীনা কোম্পানি নরিনকো ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল)। এটিরও সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। পায়রাতেই ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল)। এরই মধ্যে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেরই উৎপাদনক্ষম হয়ে ওঠার কথা রয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা

Nagad

সংকটেও মন্ত্রী-এমপির সম্পদ বৃদ্ধিতে প্রশ্ন

দেশের সার্বিক অর্থনীতির নাজুক অবস্থা। করোনা মহামারির পর ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমেছে। শুধু সাধারণ মানুষ নন, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদেরও হিমশিম দশা। রেকর্ড মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকটে বেশি বিপাকে ফেলেছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। ব্যয় সংকোচন নীতিতে চলছে সরকার। অর্থনীতির এমন কঠিন সময়েও এমপি-মন্ত্রী অনেকের আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ। সংকটময় সময়ে রাজনৈতিক নেতারা কীভাবে আরও ধনী হলেন– এই প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতি এখন অর্থনৈতিক লেনদেনে বিশেষ সুবিধা আদায়ের হাতিয়ার। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলেও শাস্তির কথা আইনে স্পষ্ট নেই। এরই সুযোগ নিয়েছেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরাও। তাদের হলফনামা বিশ্লেষণেও উঠে এসেছে আর্থিক নানা অসংগতির চিত্র। অবশ্য মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের হিসাব সম্পর্কিত কোনো অভিযোগ জমা পড়লে সেটা আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে নামবে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সূত্র: সমকাল

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ ১১ অঙ্গীকার
নৌকায় ভোট দিন শান্তি ও সমৃদ্ধি দেব, ইশতেহার ঘোষণায় শেখ হাসিনা

দ্রব্যমূল্য সব মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, কর্মসংস্থান বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিসহ ১১টি বিষয় প্রাধান্য দিয়ে গতকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ইশতেহার ঘোষণা করেন। ১০০ পৃষ্ঠার পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত ইশতেহারের চুম্বক অংশ পাঠ করেন টানা তৃতীয় মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশবাসীকে আবারও নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিন, আমরা আপনাদের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেব। জনগণের অবিচল আস্থাই আওয়ামী লীগের শক্তি। এদেশের জনগণের প্রতি আমাদের রয়েছে অগাধ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ‘দিন বদলের সনদ’, ২০১৪ সালের ‘শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে’ এবং ২০১৮ সালের ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে আমরা আমাদের নির্বাচনি অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়ন করে চলেছি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

আ.লীগের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা
নৌকায় ভোট দিন উন্নয়ন দেব
কথামালার রাজনীতি নয়, যা বলি তা বাস্তবায়ন করি * ১৫ বছরের সরকার পরিচালনায় ভুল-ক্রটির দায়ভার আমার * বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি কিন্তু বাবা ও আপনাদের কথা ভেবে পিছপা হইনি

দলের নির্বাচনি ইশতেহারে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট ‘সোনার বাংলা’ গড়ার অঙ্গীকার করে আবারও নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। আপনারা আমাদের ভোট দিন, আমরা আপনাদের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেব। বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত ক্ষমতাসীন দলের এবারের ইশতেহারের স্লোগান, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। এ ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাসহ ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঘোষিত ইশতেহারে জনকল্যাণমুখী প্রশাসন গঠন এবং গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ১৫ বছরের সরকার পরিচালনার পথপরিক্রমায় যা কিছু ভুল-ত্রুটি, তার দায়ভার আমার। সাফল্যের কৃতিত্ব আপনাদের। আমাদের ভুল-ক্রটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা কথা দিচ্ছি, অতীতের ভুল-ভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করব। তিনি বলেন, বাবা-মা, ভাই, আত্মীয়স্বজন সবাইকে হারিয়ে আমি রাজনীতিতে এসেছি শুধু আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। এ কাজ করতে গিয়ে আমাকে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে বারবার। কিন্তু বাবার কথা ভেবে, আপনাদের কথা ভেবে আমি পিছপা হইনি। সূত্র: যুগান্তর

ফিরে দেখাখরচে মধ্যবিত্তের কাটছাঁট, নিম্নবিত্তের নাভিশ্বাস

কেউ দেখেছে সমৃদ্ধির স্বপ্ন, কেউ শুধু চেয়েছে দুবেলা খেয়ে-পরে বাঁচতে—২০২৩ সালটা এভাবেই শুরু করেছিল দেশের মানুষ। কিন্তু ন্যূনতম এই চাওয়াগুলো পূরণও কঠিন করে তুলেছে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজার। চলতি বছরের পুরো সময়টাই ‘কাল কী খাব’—সেই চিন্তা করে কেটেছে নিম্ন আয়ের মানুষের। আর মধ্যবিত্তদের বছর গেছে খরচের খাতায় কাটছাঁট করে। ছরটা কেমন কেটেছে—জানতে কথা হয় পেশায় গৃহকর্মী পারুল আক্তারের সঙ্গে। তাঁর সোজাসাপ্টা উত্তর—‘মাছ-মাংস খাবার কথা চিন্তা করি না। শাকসবজিই তো জুটাইতি পারি না।’ পারুল আরও জানান, বছরখানেক আগেও পান্তা খেয়ে সকাল শুরু করতে পারতেন, এখন সেটুকুও জুটছে না। তাই সকাল-দুপুর মিলে একবেলা খান তিনি। নশনের টাকায় বাজার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে। পাঁচ সদস্যের পরিবার তাঁর। এক বছরের ব্যবধানে পরিবারের মাসিক খাওয়ার খরচ ৩৫-৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘শাকসবজি কিনতেই সাত-আট শ টাকা শেষ। এমন অবস্থা জীবনে দেখি নাই। বন্যা নাই, ঝড় নাই তবু হঠাৎ করে একেকটা জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের আয় লিমিটেড। দামের সাথে পেরে উঠছি না।’ সূত্র: আজকের পত্রিকা।

নেতারা ‘সফল’ কর্মীরা হতাশ

সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবি আদায়ে গত দুই মাসে বিএনপির আন্দোলন সফল নাকি ব্যর্থ এ নিয়ে আলোচনা চলছে। দলটির নেতারা বলছেন, তাদের এ আন্দোলন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু দলটির কর্মীরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে আন্দোলন সফল হবে না।বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো বিভিন্ন সময় যা বলেছেন, তার প্রতিফলন আন্দোলনে নেই। আন্দোলনের দৃশ্যমান অগ্রগতিও নেই। গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ আয়োজন করে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে মহাসমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। পরদিন হরতালের ডাক দেয় দলটি। এরপর ধাপে ধাপে হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। কিন্তু বিএনপি নেতারা যেভাবে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম করার হুমকি-ধমকি দিয়েছিলেন, সেভাবে তাদের রাজপথে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে দেখা যায়নি। রাজপথ দখলে নিতে পারেননি দলটির নেতারা। যদিও বিএনপি নেতাদের স্লোগান ছিল ‘দেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে’। বরং বেশিরভাগ নেতাই আত্মগোপনে চলে গেছেন। বিএনপি কঠোর কর্মসূচির পরিবর্তে ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে প্রচার ও অসহযোগ কর্মসূচি পালন করছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

‘মাথাপিছু গড় ঋণ ১৭ হাজার ৩৬৬ টাকা’

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘মাথাপিছু গড় ঋণ ১৭ হাজার ৩৬৬ টাকা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের প্রায় ৩৭ শতাংশ মানুষ ঋণ করে সংসার চালাচ্ছে। বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ে একটি পরিবারের গড় ঋণ ৭৩ হাজার ৯৮০ টাকা, মাথাপিছু গড় ঋণ ১৭ হাজার ৩৬৬ টাকা। ঋণগ্রস্ত পরিবার হিসেবে এই অঙ্ক আরো অনেক বেশি।২০১৬ সালের একই জরিপে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৭ হাজার ২৪৩ টাকা। মাথাপিছু ঋণ ছিল ৯ হাজার ১৭৩ টাকা। অর্থাৎ ছয় বছরের ব্যবধানে প্রতিটি পরিবারের ঋণ বেড়েছে ১১১ দশমিক ১০ শতাংশ।ঋণগ্রস্ত পরিবারের গড়ে ঋণ জাতীয় পরিবারের ঋণের প্রায় আড়াই গুণ। ঋণগ্রস্ত পরিবারের গড় ঋণ এক লাখ ৮৭ হাজার ৩০৮ টাকা। সূত্র: বিবিসি বাংলা ্

ভাষার প্রতিবন্ধকতা ভোগাচ্ছে বাংলাদেশের শ্রমিকদের, কম পাচ্ছে বেতনও
ভাষাগত দক্ষতার অভাবে মৌলিক সুবিধাগুলো পেতে নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন প্রবাসী কর্মীরা। এমনকী শারীরিকভাবে নির্যাতিত হলেও বিচার চাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাওয়া বাংলাদেশী শ্রমিকদের অর্ধেকরই নেই স্থানীয় ভাষায় যোগাযোগের দক্ষতা। এতে বিদেশে কাজ করার সময়ে তাঁদের আয় ও জীবনযাত্রায় চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, ভাষাগত বাধাকেই তাঁদের মূল প্রতিবন্ধকতা হিসেবে জানিয়েছেন ৫২ শতাংশ অভিবাসী কর্মী। মূলত উপসাগরীয় দেশগুলোতে কর্মরত ৪৭৯ জন প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে এই গবেষণা পরিচালিত হয়; যা এই বছরের এপ্রিলে ‘বার্ষিক শ্রম অভিবাসন প্রতিবেদন- ২০২১-২২’ এ প্রকাশিত হয়েছে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)-র তথ্যমতে, এখন দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও হংকংয়ে শ্রম অভিবাসনের জন্য ভাষা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এসব দেশের বিধিমালা মেনেই তা করা হয়েছে, তাই এসব অঞ্চলে যাওয়া বাংলাদেশী কর্মীদের কোনো জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। এদিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জনশক্তি রপ্তানি গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্য, যেখানে প্রধান ভাষা আরবি হলেও– সরকারিভাবে সকল অভিবাসী কর্মীর জন্য আরবি ভাষার কোর্স নেই। শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া নারী গৃহকর্মীরা এক মাসের বাধ্যতামূলক আরবি ভাষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভাষা শেখার জন্য তা মোটেও যথেষ্ট নয়। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।