আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩

চার আসনে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির বহিষ্কৃতদের পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ
চারটি আসনে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জেতাতে মাঠে নেমেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। আসনগুলো হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ), পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া), রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) ও কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া)। এর মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে সমঝোতার কারণে প্রথম তিনটি আসনে জাপাকে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এসব আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নেই, তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা রয়েছেন। আর কিশোরগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীও আছেন।স্থানীয় দলীয় সূত্রগুলো বলছে, এসব আসনে জাপা ও বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থীদের পক্ষে আওয়ামী লীগের অনেকে মাঠে নেমেছেন অনেকটা চাপের মুখে। কোন পর্যায়ে থেকে চাপ এসেছে, এ নিয়ে স্বনামে মন্তব্য করতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট নেতারা। সূত্র: প্রথম আলো

গাজাবাসী চরম বিপদে: ডব্লিউএইচও

গাজাবাসী ভয়ানক বিপদের মধ্যে রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। গতকাল বুধবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের অনাহার ও দুর্দশার কথা উল্লেখ করে তেদরোস এই সতর্কতার কথা বলেন।ডব্লিউএইচও বলেছে, গত মঙ্গলবার গাজার দুটি হাসপাতালে তারা ত্রাণ সরবরাহ করেছে। গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১৫টির সক্ষমতা রয়েছে।গাজাবাসীকে চরম বিপদ থেকে রক্ষা করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও-এর প্রধান। অনাহারে, আহত অবস্থায় ও রোগের ঝুঁকিতে থাকা গাজাবাসীর সহায়তার জন্য ত্রাণকর্মীদের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘ক্ষুধার্ত লোকজন আজ আমাদের গাড়ি থামিয়েছে এবং খাবারের খোঁজ করেছে।’ সূত্র: প্রথম আলো

সিএনএনের বিশ্লেষণ
এ বছরের ঘটনা আগামীর সংকট?

বিশ্বে চলতি বছর এমন কিছু ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে, যা আগামী বছর বড় ধরনের সংকটে পরিণত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার জেরে মাথা চাড়া দিতে পারে কর্তৃত্ববাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা। বৈশ্বিক ব্যবস্থায় আসতে পারে বড় ধরনের পরিবর্তন। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালের ঘটনাগুলোকে ২০২৪ সালের তুলনায় বরং যৌক্তিক ও সুস্থির মনে হতে পারে। প্রথমত, স্বস্তির বিষয় হচ্ছে ইসরায়েল ও হামাসের সংঘাতের কারণে এখনো আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর তৎপরতা এখনো সীমিত রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ায় গোষ্ঠীটির অভিজ্ঞ যোদ্ধাদের মৃত্যু এবং ইরানি অর্থের জোগান কমে যাওয়ায় সম্ভবত ক্লান্ত হয়ে পড়েছে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির নেতারা হয়তো ধারণা করেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে লেবাননেও ব্যাপক বোমাবর্ষণ চলতে পারে, যা দেশটিতে সংগঠনটির জনপ্রিয়তা কমিয়ে দেবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

দিল্লিতে ঘন কুয়াশায় ১১০ ফ্লাইট বাতিল, ট্রেন চলাচল ব্যাহত

Nagad

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। কুয়াশার কারণে কয়েক হাত দূরের জিনিসও ঠিক ভাবে দেখা যাচ্ছে না। একইসঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডা এবং শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতিও চলছে সেখানে। এতে দৃশ্যমানতা খারাপ হয়ে যাওয়ায় যানবাহন ও উড়োজাহাজ পরিষেবার ওপর প্রভাব পড়ছে। ট্রেন ও ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় কয়েক হাজার যাত্রী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।খবর হিন্দুস্থান টাইমস। গণমাধ্যমটি বলছে, ভোরের দিকে দৃশ্যমানতা মাত্র ৫০ মিটারে নেমে আসে। শৈত্যপ্রবাহ চলতে থাকায় দেশটির আবহাওয়া অফিস রাজধানীতে ঘন কুয়াশা নিয়ে একটি জরুরি সতর্কতা জারি করেছে। দিল্লি ছাড়াও পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাঞ্জাবের অনেক জায়গায় এবং উত্তর প্রদেশের বেশ কিছু জায়গায় ঘন থেকে তীব্র কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের কয়েকটি জায়গা সহ রাজস্থানের বিচ্ছিন্ন জায়গাগুলোতে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। সূত্র: বণিক বার্তা।

আধুনিক ইউরোপের স্থপতি জ্যাক ডেলরস মারা গেছেন

ইউরোপীয় কমিশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাক ডেলরস মারা গেছেন। বুধবার সকালে প্যারিসে নিজ বাড়িতে ঘুমের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। ডেলরসের মেয়ে মার্টিন অউব্রির বরাতে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। জ্যাক ডেলরসকে আধুনিক ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) স্থপতি বিবেচনা করা হয়ে থাকে। তিনি ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের মধ্যে মানুষ, পণ্য ও সেবার অবাধ চলাচলের ব্যবস্থা করে একক ইউরোপীয় বাজার তৈরিতে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি একক ইউরোপীয় মুদ্রা ইউরোর ভিত্তিও স্থাপন করেছিলেন। ডেলরস তিনবার ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারপর এই পদে এত বার অন্য কেউ দায়িত্ব পালন করেননি। তিনি ১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত ফরাসি অর্থমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সূত্র: সমকাল

ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র আখ্যা দিলেন কিউবার প্রেসিডেন্ট

ইসরায়েল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। তারা গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। এ মন্তব্য কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেলের। মঙ্গলবার থেকে তার এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এক্সে করা এক পোস্টে কিউবার প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েল যা করছে তা গোটা মানবজাতির জন্যই অপমানজনক। কিন্তু তারপরেও তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কিউবার বারবার ফিলিস্তিনের পক্ষে সোচ্চার ছিল এবং থাকবে। ইসরায়েলের সঙ্গে কিউবার কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। প্রথম থেকেই ইসরায়েলের চরম বিরোধী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত কিউবা। তবে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠিন অবস্থান নিয়েছে কিউবা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ্

যুদ্ধ বন্ধ বহুদূর
উত্তর গাজায় ইহুদি বসতি বসাবে নেতানিয়াহু জোট * জাতিসংঘ কর্মীদের ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল

গাজায় ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যুগান্তরকে জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২৪১ জন নিহত ও ৩৮২ জন আহত হয়েছেন। আর এ পর্যন্ত সর্বমোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১১০ জনে। প্রতিপক্ষের হামলায় হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহতের পরও গাজায় যুদ্ধ ‘আরও কয়েক মাস’ চলবে বলে জানিয়েছে ইসরাইল। অর্থাৎ যুদ্ধবন্ধ এখনও বহুদূরের ভবিষ্যৎ।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চিফ অব জেনারেল স্টাফ হার্জি হালেভি বলেন, ‘যেহেতু একটি জটিল এলাকায় এই লড়াই চলছে তাই এই যুদ্ধ আরও অনেক মাস ধরে চলবে। আমরা বিভিন্ন উপায়ে কাজ করব যেন সময়ের সঙ্গে কৃতিত্ব সংরক্ষিত হয়। হামাসকে ধ্বংস করার কোনো জাদুকরী সমাধান অথবা সংক্ষিপ্ত পথ ইসরাইলের কাছে নেই।’ হালেভি আরও বলেন, ‘আমরা হামাস নেতাদেরও ধ্বংস করব। আর তা এক সপ্তাহে হোক অথবা এক মাসে।’ আইডিএফ উত্তর গাজায় হামাসকে ‘ধ্বংস’ করার লক্ষ্যের কাছাকাছি ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন হালেভি। উত্তর ও দক্ষিণ গাজা-উভয় অংশে হামলা অব্যাহত রাখার সতর্কতাও তিনি জারি করেছেন। এর আগে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সামনে একটি দীর্ঘ লড়াইয়ের সতর্কতা জারি করেছিলেন। এছাড়া ইসরাইল ‘একটি মাল্টি-অ্যারেনা যুদ্ধ’র মধ্যে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। উত্তর গাজায় হামলার পাশাপাশি এবার অঞ্চলটিতে ইহুদি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা আঁটছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জোট। ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অংশ অতি ডানপন্থি জোইস পাওয়ার পার্টির জেভিকা ফোগেল এই পরিকল্পনার কথা জানান। বুধবার ইসরাইলি পাবলিক রেডিওর রেশেট বেট স্টেশনের সঙ্গে কথা বলার সময় ফোগেল বলেন, ‘ইসরাইলকে অবশ্যই গাজার উত্তরের অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে এবং নতুন ইহুদি বসতি স্থাপন করতে হবে। সূত্র: যুগান্তর

লাইবেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণে অন্তত ৪০ জন নিহত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানান লাইবেরিয়ার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ফ্রান্সিস কাতেহ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই দুর্ঘটনার খবরটি বলা হয়েছে। ফ্রান্সিস কাতেহ বলেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সম্প্রচারকারী সুপার বোঞ্জিজ টিভিকে তিনি বলেন, নিহতের সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন কারণ, অনেক ছাই হয়ে গেছে। তবে তিনি অনুমান করেছেন যে, এই ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য উদ্ধারকারী দল ঘরে ঘরে যাচ্ছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা

গাজায় নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়াল

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৫ হাজার। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছে আরও ৭ হাজার। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ছিল গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ৮২তম দিন। এদিন গাজার হামাস সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতাহতের নতুন তথ্য প্রকাশ করে।
নতুন তথ্য মতে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ হাজার ১১০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৫৫ হাজার ২৪৩ জন।নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত নিহত শিশুর সংখ্যা ৮ হাজার ৮০০। আর নিহত নারী ৬ হাজার ৩০০ জন। এছাড়া নিহতদের ৩ হাজার ১১১ জন চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী। ৪০ জন নিরাপত্তা রক্ষী এবং শতাধিক সাংবাদিক। সূত্র: দেশ রুপান্তর

খোঁজ মিললো পুতিনের কট্টর সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনির

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক হিসেবে পরিচিত দেশটির বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির খোঁজ পাওয়া গেছে। তার মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিনি জীবিত আছেন এবং তাকে সাইবেরিয়ার একটি পেনাল কলোনি বা কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ ২৫শে ডিসেম্বর কিরা ইয়ারমিশ বলেছেন, “আমরা অ্যালেক্সেই নাভালনিকে পেয়েছি।”তিনি আরো জানান, বর্তমানে রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলে রয়েছেন তিনি।এর আগে গত ছয়ই ডিসেম্বরের পর থেকে নিজের দলের সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না নাভালনির। সেদিন তাকে আগের একটি কারাগার থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।মি. নাভালনিকে রাশিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নেতা মনে করা হয়। তিনি ২০২১ সাল থেকে কারাগারে আটক রয়েছেন।টেলিগ্রাম নামে বার্তা আদান-প্রদানের একটি অ্যাপে মিজ ইয়ারমিশ লেখেন, “তার আইনজীবী আজ তার সাথে দেখা করেছে। তিনি ভাল আছেন।”মিজ ইয়ারমিশ বলেছেন, মি. নাভালনিকে রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের স্বায়ত্তশাসিত জেলা ইয়ামালো-নেনেটস এর খার্পে অবস্থিতি আইকে-৩ নামে একটি পেনাল কলোনিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

ইউক্রেনের রাশিয়ার মতো পর্যাপ্ত গোলাবারুদের যোগান নেই, হুমকির মুখে কিয়েভের ২০২৪
ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিশ্রুতি দেয়, এক বছরের বছরের মধ্যেই অন্তত ১০ লাখ গোলা দেওয়া হবে। অর্থাৎ, ইউক্রেন যা চেয়েছিল– তার মাত্র তিন-ভাগের এক ভাগ সরবরাহের অঙ্গীকার করে ইইউ। নভেম্বর মাস শেষে, বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশের সেনাবাহিনীর মজুত থেকে তিন লাখ গোলা দিয়েছে ইইউ।

ইউক্রেন যুদ্ধে বড় ভূমিকা রাখছে উভয়পক্ষের আর্টিলারি বা কামান। বিপুল পরিমাণ গোলা প্রতিদিন ব্যবহার হচ্ছে। তাই গোলা বা আর্টিলারি শেলের বিশাল চাহিদাও রয়েছে। যুদ্ধের জন্য নিজস্ব উৎপাদনের পাশাপাশি, উত্তর কোরিয়ার মতোন মিত্রদের থেকেও গোলা কিনছে রাশিয়া। অন্যদিকে, ইউক্রেনের ভরসা ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া চালান। তবে রাশিয়া যেভাবে গোলা পাচ্ছে, সে তুলনায় ইউরোপ পর্যাপ্ত পরিমাণে দিতে পারছে না কিয়েভকে। এই অবস্থায়, বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী বছরে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চ্যালেঞ্জের মধ্যেই পড়তে হবে ইউক্রেনকে। পরিস্থিতির গভীরতা বুঝতে একটু পেছনে ফিরে দেখা দরকার। এ বছরের মার্চে ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে ইউক্রেন মাসে আড়াই লাখ করে গোলার সরবরাহ চেয়েছিল। দেশটির তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেছিলেন, যুদ্ধ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতি মাসে অন্তত সাড়ে তিন লাখ শেল দরকার। মিত্রদের কাছে তার চেয়ে কমই চাওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, মাসে এক লাখ ১০ হাজার গোলা রেশনিং করে ব্যবহার করছে ইউক্রেন। এই  অবস্থায়, যুদ্ধের ময়দানে এগিয়ে থাকার জন্য ইউরোপের সাহায্য দরকার। এই সাহায্য লড়াইয়ে প্রকৃত পার্থক্য গড়ে দেবে। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিশ্রুতি দেয়, এক বছরের বছরের মধ্যেই অন্তত ১০ লাখ গোলা দেওয়া হবে। অর্থাৎ, ইউক্রেন যা চেয়েছিল– তার মাত্র তিন-ভাগের এক ভাগ সরবরাহের অঙ্গীকার করে ইইউ। নভেম্বর মাস শেষে, বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশের সেনাবাহিনীর মজুত থেকে তিন লাখ গোলা দিয়েছে ইইউ। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।