ইসরায়েলি সেনা ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের একটি নজরদারি ঘাঁটিতে ৬২টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
এই হামলার কথা ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে । তারা বলছে-তাদের দখলকৃত উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। তবে তারা দাবি করেছে, যেখান থেকে রকেটগুলো ছোড়া হয়েছে সেই স্থান লক্ষ্য করে তারাও পাল্টা হামলা চালিয়েছে।


হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ সকাল ৮টা দশ মিনিটে তারা বিভিন্ন ধরনের ৬২টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ‘মিরন এয়ার স্যারভিলেন্স বেইজ’-এ হামলা চালিয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে এবং নিশ্চিতভাবে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বসবাসরত হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল আরুরির গুপ্তহত্যার প্রাথমিক জবাব হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে হিজবুল্লাহ ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে।
গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, আজ সকালে হিজবুল্লাহ ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদেরকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ের সতর্ক করে সাইরেন বাজানো হয়।
এ সময় ইসরায়েলের উত্তর সীমান্ত এলাকার কয়েকটি ইহুদিবসতি এবং গোলান মালভূমিকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়।
গত বৃহস্পতিবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারান হামাসের পলিটব্যুরোর উপপ্রধান সালেহ আল-অরৌরি। প্রথমে বলা হয়েছিল, তিনি ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন। পরবর্তীতে জানা যায় অরৌরি যে বাড়িতে ছিলেন সেখানে বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সালেহ ছাড়াও হামাসের আরও দুই কমান্ডারসহ মোট সাতজন প্রাণ হারান।
এরপরই হিজবুল্লাহ হুমকি দেয় তারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে শাস্তি দেবে। সেই কথা অনুযায়ী আজ শনিবার সামরিক ঘাঁট লক্ষ্য করে ৬০টিরও বেশি রকেট ছুড়েছে তারা। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব রকেট রুখে দিতে সমর্থ হয়েছে কি না সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়। সূত্র: আলজাজিরা, সূত্র : পার্সটুডে।