আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৪

ব্যথানাশক ওষুধ মরফিনের সংকট তীব্র
মরফিন সবচেয়ে ব্যবহৃত হয় ক্যানসার রোগীদের ক্ষেত্রে। এ ছাড়া দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় ভোগেন, এমন রোগীদের মরফিন দেওয়া হয়।

দেশে ব্যথানাশক ওষুধ মরফিন দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। লাভ কম হওয়ায় ওষুধটি উৎপাদনে কোম্পানিগুলোর আগ্রহ কম। আইনি জটিলতার মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে ওষুধের দোকানে অনেকে তা রাখতে চান না। বড়ি বা ট্যাবলেট, সিরাপ ও ইনজেকশন—এই তিন উপায়ে মরফিন ব্যবহৃত হয়। মরফিন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ক্যানসার রোগীদের ক্ষেত্রে। এ ছাড়া দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় ভোগেন, এমন রোগীদের মরফিন দেওয়া হয়। বড় ধরনের অস্ত্রোপচার যেমন ওপেন হার্ট সার্জারির সময় ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। এইডস রোগীদেরও মরফিন ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবের বরাত দিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, দেশে ব্যথানাশক এই ওষুধ বছরে দরকার কমপক্ষে ৬০০ কিলোগ্রাম। রোগীরা পাচ্ছেন ২৩ কিলোগ্রাম, যা প্রয়োজনের মাত্র ৪ শতাংশ। মরফিনের অভাবে বিপুলসংখ্যক রোগী যন্ত্রণা সঙ্গে নিয়ে মারা যাচ্ছেন। সূত্র: প্রথম আলো

সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ অর্থনীতি ঠিক রাখা

আওয়ামী লীগের নতুন সরকারকে এবার যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, তার মধ্যে প্রধান চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখা। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং কভিড মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে সংকট দেখা দিয়েছে, তার ধাক্কার রেশ আরো বেশ কিছুদিন বইতে হবে বাংলাদেশকে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং সরকারের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য কালের কণ্ঠকে এমনটি জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আরো সম্পর্ক উন্নয়ন করা, দেশের ভেতর বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর আন্দোলন কর্মসূচি মোকাবেলার চাপও রয়েছে সরকারের ওপরে।তবে অর্থনীতির চাকা ঠিকঠাক ঘুরতে থাকলে অন্য চাপগুলো সরকার উতরে যেতে পারবে বলে তাঁরা মনে করেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

কূটনীতি অর্থনীতি সামাল দিতে না পারলে বিপদ

নির্বাচন বর্জন করা দলগুলো বড় ধরনের চাপ তৈরি করতে না পারলেও নতুন সরকারকে অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এতে সফল না হলে সরকারকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে। অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে পারলে নতুন সরকারের মেয়াদপূর্তিতে সমস্যা হবে না। অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এ অভিমত জানিয়েছেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং নতুন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, অর্থনীতি, কূটনীতি ও রাজনীতি সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ। নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের পরের দিন শুক্রবার তিনি বলেছেন, বিশ্ব সংকটের বাস্তবতা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা সহজ কাজ নয়। তবে সরকার এসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘সংকট অতিক্রম করে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পেরেছি। শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের জন্য তা সম্ভব হয়েছে। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে দক্ষতা, দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন এবং সংকটে রূপান্তরের রূপকের ভূমিকা পালন করেছেন, সে কারণেই মূলত আমরা সাহস রাখি, আশা রাখি।’ সূত্র: সমকাল

Nagad

আগামী বছর অর্থনৈতিক সংকট কাটতে শুরু করবে
নতুন সরকারের ১১ চ্যালেঞ্জ

বৈশ্বিক ও দেশীয় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতিকে চলতি বছরে কমপক্ষে ১১ ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে নতুন সরকারকে। এর মধ্যে প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে ডলার সংকট মোকাবিলা। এ সংকট থেকেই অন্য চ্যালেঞ্জগুলোর উদ্ভব হবে। এর মধ্যে রয়েছে টাকার অবমূল্যায়ন রোধ করা, মূল্যস্ফীতির হার সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষয় রোধ করা। এছাড়া ব্যাপকভাবে আমদানি নিয়ন্ত্রণের ফলে শিল্প খাতের সংকট হবে আরও প্রকট, চড়া মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণের ফলে বাজারে টাকার প্রবাহ আরও কমবে ও বাড়বে ঋণের সুদ হার, বাধাগ্রস্ত হবে বিনিয়োগ ও কমবে নতুন কর্মসংস্থানের গতি, অর্থনৈতিক মন্দায় রাজস্ব আয় বাড়ানো, ব্যাংক খাতের ভঙ্গুরতা দূর করে সবল করা ও আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। উল্লিখিত প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে চলতি বছরে সরকারকে সামনে এগোতে হবে। এর সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক খাতে বহুমুখী চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে নব গঠিত সরকারকে। একই সঙ্গে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে ভোক্তাদের স্বস্তি দেওয়াটা আরও বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আশার কথা হচ্ছে, আগামী ২০২৫ সাল থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। তখন ডলারের পাশাপাশি অন্যান্য সংকটও কাটতে শুরু করবে। সূত্র: যুগান্তর

গুরুত্বপূর্ণ তিনের গুরুতর চ্যালেঞ্জ

বিরোধীদের আন্দোলন ও বিদেশিদের চাপ সামলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার পর কী কী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে নতুন সরকারের মন্ত্রীরা তা বলতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবে রাজনীতি ও কূটনৈতিক চাপ তো সামলাতে হবেই, তার সঙ্গে অর্থনীতির ঝুঁকিগুলোও মোকাবিলা করতে হবে এ সরকারকে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের মধ্য দিয়ে তা স্পষ্ট হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যাত্রাপথে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ দুজন মন্ত্রীকে। অবশ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন একজন প্রতিমন্ত্রীকে। রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সামলাতে দলীয় নেতৃত্বের সম্মিলিত কৌশলের ওপর ভরসা রাখছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন শেষ করে তিন দিনের মাথায় গত শুক্রবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ করে নতুন সরকারের পথচলাও শুরু করেছে দলটি। এ পথচলায় টানা চতুর্থ মেয়াদের সরকার রাজনৈতিক নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেন। সরকার থেকে দলকে আলাদা করার কৌশল নিয়ে ২০০৯ সালের মন্ত্রিসভায় রাজনৈতিক নেতাদের রাখার ব্যাপারে অনেকটাই সংবেদনশীল ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এবারের মন্ত্রিসভার ধরন দেখে বলা যায় তিনি সেই ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। সূত্র: দেশ রুপান্তর

ভোট যেতেই বাড়ল গরুর মাংসের দাম
ভরা মৌসুমেও কমছে না সবজির দাম। বেড়েছে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, ব্রয়লার মুরগি, আটা, ময়দাসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম। ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা খেয়ালখুশিমতো দাম বাড়াচ্ছেন।
গরুর মাংসের দাম কমিয়ে তুমুল আলোচনায় এসেছিলেন রাজধানীর শাহজাহানপুরের খলিল আহমেদ। কিন্তু নির্বাচন শেষ হতেই তিনি মাংসের দাম বাড়িয়েছেন কেজিতে ৬০ টাকা। নির্বাচনের আগে তিনি ৫৯০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করলেও গতকাল শুক্রবার বিক্রি করেছেন ৬৫০ টাকা দরে। আজ শনিবার সকাল থেকে এই দাম ৬৯০ টাকা হয়ে যাবে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন খলিল।
৬৫০ টাকায় বিক্রি করেও দিনে লাখ টাকার ওপরে লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেন খলিল। এক সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে মাংসের দাম কেজিতে ৬০-১০০ টাকা বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন গরুর দাম বেশি। ভোটের আগে কম দামে গরু আনতে পারছি। তাই কমে বিক্রি করছি। ৮ দিনের ব্যবধানে গরুর দাম বেড়ে গেছে। ভোট কোনো বিষয় না। যদি দাম কমে, আমরাও দাম কমিয়ে দেব।’গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বনানী, রামপুরা, মেরাদিয়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরেও দেখা যায়, ৬৫০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। মেরাদিয়ার মাংস বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে তিনি ৬৮০ টাকায় মাংস বিক্রি করেছেন। আর এই সপ্তাহে ৭০০ টাকায় বিক্রি করছেন। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

দেড় মাসে একমুঠো ধানও পায়নি সিরাজগঞ্জের তিন গুদাম

দেড় মাসে সিরাজগঞ্জের তিনটি সরকারি খাদ্য গুদামে একমুঠো ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পর্যন্ত উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও কামারখন্দ উপজেলা খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহ করতে না পারলেও খাদ্য বিভাগের দাবি, অন্য চারটি গুদামে ৬৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে তারা।এদিকে বাজারের চেয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য কম হওয়ায় বাজারে সরাসরি আমন ধান বিক্রি করছেন কৃষকরা। আর চালকল মালিকরা বলছেন, লোকসান গুনতে হলেও বাধ্য হয়ে খাদ্যগুদামে চাল দিতে হচ্ছে তাদের।জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ২৩ নভেম্বর আমন ধান ও চাল সংগ্রহের অভিযান শুরু হয়। এ অভিযান শেষ হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। এ জেলায় সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে দুই হাজার ৭৫১ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সরকার। অন্যদিকে চালকল মালিকদের কাছ থেকে ৭ হাজার ৩৬৭ মেট্রিক টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এতে চাল দিতে ২২৮ জন চালকল মালিক চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। গত দেড় মাসে ৪ হাজার ৯৩৬ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করতে পারলেও তিনটি গুদামে এক মুঠো ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। গুদামগুলো প্রতি কেজি চাল সংগ্রহ করে ৪৪ টাকা ও ধান ৩০ টাকা মূল্যে। সূত্র: জাগো নিউজ

 

জাতীয় পার্টি কি ভেঙে যাচ্ছে
কাজী ফিরোজ, সুনীল শুভকে অব্যাহতি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর জাতীয় পার্টিতে চলছে চরম পর্যায়ের অস্থিরতা। বিক্ষুব্ধ নেতারা বুধবার পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছেন। এরই মধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়কে দলের সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় পার্টি। বিক্ষুব্ধরা কাল ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বৈঠক ডেকেছেন এমন সংবাদ প্রকাশের পরপরই জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর আহ্বান ছাড়া অন্য কারও আহ্বানে দল সংশ্লিষ্ট ঢাকায় কোনো সভা, সমাবেশ কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করতে কেন্দ্রীয়, জেলা, মহানগর ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। এ অবস্থায় নেতা-কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠেছে জাতীয় পার্টি কি আবারও ভেঙে যাচ্ছে? জানা যায়, নানা নাটকীয়তার পর শেষ মুহূর্তে এবারের নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয় জাতীয় পার্টি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে দেন-দরবারের পর দলটি ২৬টি আসনে ছাড় পায়। এ ছাড়া ২৮৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দেয় জাপা। তবে, নির্বাচনের আগেই দলের ভঙ্গুর অবস্থার চিত্র সামনে আসতে থাকে। একে একে প্রার্থীরা ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

কাঠ-বাঁশের ঘর হওয়ায় দ্রুত ছড়ায় মোল্লাবাড়ি বস্তির আগুন: ফায়ার সার্ভিস

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার বিএফডিসি গেইটের পাশে মোল্লাবাড়ি বস্তিতে লাগা আগুনে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মোল্লাবাড়ি বস্তিতে কাঠ, বাঁশ আর টিনের তৈরি একতলা-দোতলা আনুমানিক তিনশ ঘরবাড়িতে বসবাস করতেন নিম্নআয়ের মানুষেরা। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতের আগুনে তাদের সবকিছু পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন লাগার কারণ তদন্ত শেষে জানা যাবে। তবে ঘরগুলোতে বেশি কাঠ-বাঁশ হওয়ার কারণে আগুনটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন জানান, আগুনে কাঠ, বাঁশ আর টিনের তৈরি একতলা-দোতলা আনুমানিক তিনশ ঘরবাড়ি পুড়েছে। বেশি কাঠ-বাঁশ হওয়ার কারণে আগুনটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত বস্তিতে শর্টসার্কিট বা গ্যাসের লাইন থেকে আগুন লাগে। কীভাবে এই আগুন লেগেছে সেটা আমরা তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তীতে জানাব। রাতের ওই আগুনে মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও একজন। আগুনে পুড়ে গেছে বস্তির অন্তত তিনশ ঝুপড়ি ঘর। গভীর ঘুমে থাকাবস্থায় আগুন লাগায় বেশিরভাগ বস্তিবাসীই পরনের কাপড় ছাড়া জিনিসপত্র কিছুই রক্ষা করতে পারেননি। সূত্র: ইত্তেফাক

মাসজুড়েই থাকবে শীত, আসছে শৈত্যপ্রবাহ

“শীত খুব অতিরিক্ত পড়ছে দুইদিন থিকা। শীতের মইদ্দে কাজকাম কম। প্যাসেঞ্জার কম, তাই আয়ও কম, সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে”, বলছিলেন চুয়াডাঙ্গার ভ্যানচালক ফরজ।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিয়ে শুক্রবার এই জেলাটিতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সঙ্গে ছিল কিশোরগঞ্জও।একইদিনে ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যথাক্রমে ২২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।কয়েকটি জেলা বাদে কোথাও শৈত্যপ্রবাহ না চললেও প্রচণ্ড শীতে ঢাকাসহ সারাদেশেই জনজীবন পর্যুদস্ত। আবহাওয়াবিদরা বলছেন পুরো জানুয়ারিজুড়েই শীতের প্রকোপ থাকবে।আবহাওয়ার পূর্বাভাস-আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকলেও আগামী তিনদিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।এসময় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, যা দুপুর পর্যন্তও থাকতে পারে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।