দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮, বইছে ১৩ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ
তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহ বিস্তৃতি লাভ করেছে। দেশের সর্বনিম্ন তামমাত্রা এখন দিনাজপুরে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় এই জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। দিনাজপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ।
গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারী) জরুরি ভাবে ২০ হাজার শীতবস্ত্র চেয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ত্রনালয়ে ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) চার জেলার ওপর পর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহ বয়ে গেলেও আজ শনিবার তা ১৩ জেলায় ছড়িয়েছে।


ঘন কুয়াশায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এবং উত্তরের ঠান্ডা বাতাসের কারণে সারাদেশেই এখন তীব্র শীতের অনুভূতি। শীতে জবুথবু নগরবাসীও।
সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে তাকে বলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তাকে বলে অতিতীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
ঘন কুয়াশার কারণে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই দিনে সেভাবে সূর্যের দেখা মিলছে না। তাই দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সঙ্গে উত্তর দিক থেকে বইছে হিমেল বাতাস। তাই সারাদেশেই তীব্র শীতে জবুথবু অবস্থা।
শনিবার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ কুয়াশায় ঢাকা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল টেকনাফে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (৮ জেলা) ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
বজলুর রশিদ আরও জানান, এ সময়ে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
আগামী দুদিন (রবি ও সোমবার) ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারী) জরুরি ভাবে ২০ হাজার শীতবস্ত্র চেয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ত্রনালয়ে ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে।