ক্র্যাবের নতুন সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজ
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ভোরের কাগজের কামরুজ্জামান খান। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন যুগান্তরের সিরাজুল ইসলাম।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে দিনভর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নবনির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল।
ঘোষিত ফল অনুসারে, নির্বাচনে সভাপতি পদে কামরুজ্জামান খান পেয়েছেন ১৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দি নিউ ন্যাশনের ইসারফ হোসেন ইসা পেয়েছেন ১১৭ ভোট। আর সাধারণ সম্পাদক পদে সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম নুরুজ্জামান পেয়েছেন ৭৪ ভোট।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে ১২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শাহীন আবদুল বারী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উমর ফারুক আলহাদী পেয়েছেন ৬৬ ভোট। এই পদে আরও তিনজন প্রার্থী ছিলেন।
যুগ্ম-সম্পাদক পদে দিপন দেওয়ান ১৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়াজ আহমেদ লাবু ৮০ ভোট পেয়েছেন। অর্থ সম্পাদক পদে হরলাল রায় সাগর ১৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম ১২৮ ভোট পেয়েছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শহিদুল ইসলাম রাজী ১৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. তানভীর হাসান পেয়েছেন ৮৬ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে কামাল হোসেন তালুকদার ১৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. উজ্জ্বল হোসেন জিসান পেয়েছেন ১২৬ ভোট।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নিহাল হোসাইন ১৬১ ভোট, কল্যাণ সম্পাদক পদে ওয়াসিম সিদ্দিকী ১৭৬ ভোট এবং আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে শাহীন আলম ১৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রকিবুল ইসলাম মানিক এবং প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইসমাঈল হুসাইন ইমু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যনির্বাহী সদস্যের তিনটি পদে সর্বোচ্চ ১৯১ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের আলী আজম। ১৭০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় মো. আবু দাউদ খান ও ১১৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন শেখ কালিমউল্যাহ।
এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৩০০ জন। এর মধ্যে ২৮৯ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
