অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪

সংগৃহীত ছবি

পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে যেসব মজুতদার নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো বা বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করবেন সরকার তাদের ব্যাপারে কঠোর হতে একটুও পিছপা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনিব বলেন-যারা সৎভাবে ব্যবসা করবেন, তাদের সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু কেউ অবৈধভাবে কোনো পণ্য মজুদ ও ষড়যন্ত্র করে দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করলে, তাদের ব্যাপারে কঠোর হতে আমরা পিছ পা হব না।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে টিসিবির জানুয়ারি মাসের পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির মাধ্যমে আমরা রমজানে পাঁচটি পণ্য দেবো। এখন দিচ্ছি তেল, চিনি, ডাল, চাল- এই চারটি আইটেম। সারা বাংলাদেশে এক কোটি পরিবার এই চারটি আইটেম পাবে। প্রধানমন্ত্রী প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে আমাদের বলেছেন, ঢাকা শহর ও এর আশেপাশে যেসব শ্রমিক বসতি এলাকা আছে সেখানে যেন ফোকাস করা হয়।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে চালের বাজারে অস্থিরতা লক্ষ্য করছি। আমরা চালের বাজারে গিয়ে তাদের ব্যবস্থাপনা দেখব। মিল থেকে দোকান পর্যন্ত সাপ্লাই চেইনে যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে সেটি দূর করার উদ্যোগ নেব।

তিনি আরও বলেন, আমরা আগে টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু করেছিলাম ট্রাক দিয়ে। আমরা ট্রাক থেকে এখন দোকানে এসেছি। পরবর্তীতে এটা ন্যায্য মূল্যের দোকানের মতো দেওয়ার ব্যবস্থা করব। যাতে কর্মজীবীরা বিকেলে নিতে পারেন।

Nagad

তিনি বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষদের টিসিবির পণ্যের আওতায় আনতে চেষ্টা করবো। এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের একটা দায়িত্ব আছে। আমরা সাত হাজার ৭০০’র বেশি ডিলারের মাধ্যমে টিসিবির কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করি। তা না হলে এটি সম্ভব হতো না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে টিসিবির পণ্যের সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এক কোটি স্মার্ট কার্ড দেবো। ২০ লাখ কার্ড প্রস্তুত হয়ে গেছে। সেটি আমরা বিতরণ করবো। আগামীতে আমরা সবাইকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করবো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, টিসিবির মাধ্যমে প্রথমে আমরা তেল, চিনি ও ডাল বিক্রি শুরু করি। রমজানের সময় এর সঙ্গে ছোলা ও খেজুর যুক্ত হয়। আমাদের উপকারভোগীরা এর সঙ্গে চাল দেওয়ার দাবি জানায়। প্রধানমন্ত্রী এটি শোনার পর এই প্যাকেজের সঙ্গে চাল দেওয়ার নির্দেশনা দেন। গত বছরের জুলাই মাস থেকে আমরা ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি চাল দেওয়া শুরু করি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান প্রমুখ।