বাংলাদেশেও করোনার নতুন ধরন জেএন.১ শনাক্ত

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪

ভারতে দ্রুত সংকমণ ছড়ানো করোনাভাইরাসের অমিক্রন ধরনের নতুন উপধরন জেএন.১ বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় জেএন.১ উপধরন শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। শনাক্তদের তিনজন রাজধানী ঢাকার ও দুজন ঢাকার বাইরের।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, পাঁচটি নমুনায় জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার পর এই উপধরন শনাক্ত হয়েছে।

তাহমিনা শিরীন বলেন, পাঁচজনের কারও দেশের বাইরে থেকে আসার কোনো হিস্ট্রি নেই। তারা দেশেই ছিলেন। প্রত্যেকেই ভালো আছেন। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছুই নেই।

কিছুদিন আগে নতুন এই উপধরনটির কথা জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, নতুন এই উপধরন অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা আছে। তবে এতে রোগের লক্ষণে তীব্রতা কম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাসখানেক আগেই নতুন এই উপধরনের কথা বিশ্ববাসীকে জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, নতুন এই উপধরন অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা আছে। তবে, এতে রোগের লক্ষণে তীব্রতা কম। এদিকে, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ (তৃতীয় ও ৪র্থ ডোজ) বিতরণ এবং প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরিই কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। সারাবিশ্বে তাণ্ডব চালানো ভাইরাসটির নানা ধরন ও উপধরন মানুষকে আক্রান্ত করে। একটির চেয়ে আরেকটি এসেছে বেশি শক্তি নিয়ে। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

Nagad

দুই বছরের বেশি সময় ধরে করোনার সংক্রমণ অনেকটা কমে আসে। স্বল্প সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় মানুষ করোনার কথা প্রায় ভুলতে বসেছে। তবে হঠাৎ করে কোভিড-১৯–এর জেএন.১ নামে এক উপধরন আবারও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হওয়া করোনার জেএন.১ উপধরনটি ইতোমধ্যে অর্ধশতর মতো দেশে শনাক্ত হয়েছে। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বেশি আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনার এই ধরনটি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন ছিল বিএ২.৮৬ নামে একটি ধরন। আর সেখান থেকেই এসেছে জেএন.১ উপধরনটি। দ্রুত ছড়ানোয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’বা এর দিকে নজর রাখার মতো ধরন বলে। এমন ভীতির মধ্যে বাংলাদেশের করোনার ধরনটি শনাক্তের কথা জানাল আইইডিসিআর।