আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট টেশিস গড়ে তুলতে চাই: পলক

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২৪

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক-বলেছেন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট টেশিস গড়ে তুলতে চাই এবং স্মার্ট টেশিসের স্মার্ট সম্পদ ব্যবস্থাপনাটাও আমরা করতে চাই।

তিনি বলেন- সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে, যেমন- মূলধনের ঘাটতি পূরণ করতে হবে, টেশিসকে আধুনিকায়ন করতে হবে, প্ল্যান্টে আধুনিক ইকুইপমেন্ট লাগবে, স্মার্ট আইওটি ডিভাইস লাগবে, বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে, পণ্য বিপণন বৃদ্ধি করতে হবে এবং বেদখলকৃত সম্পদ উদ্ধার করতে হবে। টেশিসের পরিচালক মহোদয়কে অনুরোধ করবো, গত ৫ বছরে আমাদের আয়ের ও ব্যয়ের খাতগুলোর একটা তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণ করে আগামী ৫ মাসের একটা পরিকল্পনা তৈরি করতে , যার ভিত্তিতে আমরা ৩০ জুনের মধ্যে টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গিতে টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) ডিজিটাল প্রযুক্তি পণ‌্যের উৎপাদন প্লান্টগুলো পরিদর্শন ও কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন।

এ সময় টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, অপচয়ের কারণে দোয়েল ল্যাপটপ উৎপাদন প্রকল্প ভেস্তে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, এভাবে চলতে পারে না। ৩০ জুনের মধ্যে টেশিসকে লাভজনক হতে হবে। না হলে ব্যয় কমাতে হবে।

তিনি বলেন- আমরা টেশিসের জন্য নতুন কোন মূলধন সরকারের কাছে চাইবোনা, আমরা আমাদের সম্পদের যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশি ও বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যদি সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে কাজ করি তাহলে বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতে গড়ে তোলা এই প্রতিষ্ঠান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারবো।

জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে দেশের মানুষের জন্য আমরা বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে চাই জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন- আজ আমি টেশিস এর প্রত্যেকটা ফ্লোর, অপারেশন্স রুম, অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট ঘুরে দেখেছি । আমি বুঝতে চেয়েছি, আমাদের সম্পদ ও সক্ষমতা কতটুকু আছে, সমস্যা ও সংকট কতটুকু আছে এবং সেই যায়গা থেকে আমরা সম্ভাবনার দিকে কতটুকু এগিয়ে যেতে পারি। আমার কাছে মনে হয়েছে- আমাদের মেধা, শ্রম ও অর্থের অপচয় রোধ করে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করলে সেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।

Nagad

আমি বিশ্বাস করি টেশিসের কর্মকর্তারা দেশের ও মানুষের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের টাকা অপচয় করবে না বা অলাভজনক খাতে বিনিয়োগ করবে না। আমরাও চাইবো একটা গর্বিত প্রতিষ্ঠানের সদস্য হতে, যারা দেশ ও মানুষের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারে। আমি যেটা উপলব্ধি করছি- আমাদের অপারেশন্স, ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাকশন, মার্কেটিং ও আফটার সেলস সার্ভিসিং এর জায়গাগুলোতে উন্নতি করতে না পারলে আমরা প্রোডাক্ট সেলস বা বিনিয়োগ বাড়াতে পারবো না-বলেও জানান তিনি।