ছয় প্রকল্পে চীনের কাছে আরও এক বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪

ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ছয়টি প্রকল্পে চীনের কাছে নতুন করে আরও এক বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ। এ ব্যপারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান- ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ছয়টি প্রকল্পে চীনের কাছে নতুন করে আরও এক বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ। এছাড়াও বাংলাদেশের আইসিটি ও টেলিকম খাতে যাতে চীন সরকার ও কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ বাড়ে, তা নিশ্চিত করতে চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনেরও আয়োজন করা হবে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি ।

পলক বলেন, গত ১০ বছরে আমরা লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে মোট পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। আমরা এখন ১ লাখ ৯ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভূমি অফিস, কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক, প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলের আওতায় সংযুক্ত করছি। তাছাড়া ৫৫৫টি স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার করছি। পাশাপাশি পূর্বাচলে একটি ৪১ তলা স্মার্ট টাওয়ার করছি। এসবগুলোই ইডিসি (চীনের ঋণ) প্রজেক্টের আওতায় হচ্ছে।

‘বিটিসিএলের যে মডার্নাইজেশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক, টেলিটকের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং এস্টাবলিশমেন্ট অব ডেটা সেন্টার, এই ছয়টা প্রজেক্টে কিন্তু গত ১০ বছরে এক বিলিয়ন ডলার আমরা চাইনিজ লাইন অফ ক্রেডিট থেকে ব্যবহার করেছি। সেখান থেকে আয় করে আমরা এখন ঋণটা ফেরতও দিচ্ছি।’ বলেন প্রতিমন্ত্রী পলক।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এখন যে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৪১ স্মার্ট বাংলাদেশ, সেই স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার- স্মার্ট সিটিজেন, ইকোনমি, গভার্নমেন্ট এবং সোসাইটি; সেখানে আমরা চাইনিজ সরকার, চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক এবং চাইনিজ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানির বিনিয়োগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানে আমরা ছয়টি প্রজেক্ট ইআরডির মাধ্যমে চাইনিজ সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। মডার্নাইজেশন অব আরবান অ্যান্ড রুরাল লাইফ, সেটা ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প। আর একটি আছে টেলিটকের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং আমাদের বিটিসিএল টেলিফোন শিল্প সংস্থা এবং কম্পিউটার কাউন্সিলের আরও প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের লাইন অব ক্রেডিট চেয়ে ছয়টি প্রজেক্ট আমরা জমা দিয়েছি।

Nagad

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসি মর্যদার দেন পলিটিক্যাল ডিপ্লোমেসি। সেখানে আমরা চাচ্ছি চায়না-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের যে ৫০ বছর, এটা ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে চাইনিজ সরকার এবং চাইনিজ কোম্পানিগুলো যাতে আইসিটি এবং টেলিকমকে তাদের বিনিয়োগের একটি সর্বোত্তম জায়গায় হিসেবে চিহ্নিত করে। এজন্য আমরা বাংলাদেশ-চায়না ইনভেস্টমেন্ট সামিট করবো। সেটার ব্যাপারেও কথা হয়েছে।’ যোগ করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটা স্মার্ট ইকোনোমি এবং ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজিক এমওইউ করবো। সেখানে আমাদের চারটি লক্ষ্য আছে- রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং গবেষণা ও উদ্ভাবন। এই চারটি এরিয়াতে বাংলাদেশ ও চীন একসঙ্গে কাজ করবে।

আগামী পাঁচ বছরে সরকারি বিনিয়োগ পাওয়ার আশাবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেই ক্ষেত্রগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। রাষ্ট্রদূত আমাকে কথা দিয়েছেন তিনি তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের পাশে আগামী পাঁচ বছর থাকবেন। যাতে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের একটি শক্ত ভিত্তি এই পাঁচ বছরে আমরা তৈরি করতে পারি। তার জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা, নলেজ, টেকনোলজি ট্রান্সফারে-প্রতিটি জায়গায় বাংলাদেশে-চীন একসাথে কাজ করবে।