বিভ্রান্তি থাকলে শিক্ষাক্রম সংশোধন হবে, অপরাজনীতি করবেন না: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৯:১৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে তা যথাযথভাবে সংশোধন করা যেতে পারে। তবে শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে কেউ যাতে অপরাজনীতির সুযোগ না পায় সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘স্বাধীনতা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ’র সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় নতুন শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে মাদরাসা শিক্ষকসহ সব পক্ষকে অপরাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন- ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে তা সংশোধন করা হবে। কিন্তু শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে কেউ অপরাজনীতি করবেন না।’

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বই লেখার কাজে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) মাদরাসা শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। এতে তারা মাদরাসার জন্য প্রণীত পাঠ্যবইয়ে তাদের মতামত দিয়ে অবদান রাখতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘উপমহাদেশে হাজার বছর ধরে বহমান ইসলামী ভাবধারা দেশের আলিয়া মাদরাসায় চর্চা করা হয়। ইসলাম শিক্ষার বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে মাদরাসায় নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। নতুন এ শিক্ষাক্রম দক্ষতামূলক শিক্ষা নিশ্চিত করবে, যা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বীনি শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। সরকার ১ হাজার ৮০০টি মাদরাসা ভবন নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া অসংখ্য মাদরাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

Nagad

মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী মাদরাসা শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি শোনেন। যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণে বিবেচনা করা হবে বলেও জানান।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জাতীয় পাঠ্যক্রমের বিষয় ছাড়াও ধর্মীয় বিষয় অধ্যয়ন করে। তাই মাদরাসা শিক্ষার্থীরা মূলধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

মতবিনিময়সভায় শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু বলেন, অতীতে মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠনের নামে কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন। তারা ইসলামের চর্চার চেয়ে স্বাধীনতাবিরোধী জামাতে ইসলামীর মতাদর্শ প্রচারে অধিক ব্যস্ত ছিলেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুর রশিদ।