‘মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪

কারাগারে নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। সিনিয়র নেতারা অসুস্থ হলেও মুক্তি নিয়ে টালবাহানা করে সরকার-বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন – কারাগারে রাজবন্দিদের নিকট থেকে মুক্তিপণ আদায়ের মতো দস্যুদের ন্যায় পরিবেশে তৈরি করার উদ্দেশ্য ছিল ‘আমরা আর মামুদের’ একতরফা নির্বাচন। আর সেটি বাস্তবায়ন করতে আপনি যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের মিছিল—সমাবেশে হামলা চালিয়ে, গুলি করে, মানুষ হত্যা করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ রাজনৈতিক নেতাদের কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে।

আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করার পরেও বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল নির্বাচনের ভিডিও ফুটেজসহ নানা অনিয়ম তুলে ধরেছে। ১০ বছরের শিশুর ভোট দেওয়া, কেন্দ্র দখল করে গণহারে সিল মারা এবং তারা নির্বাচনের পূর্বাপর নিজেরা নিজেরা খুনোখুনি, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ভাঙচুরের অসংখ্য ভিডিও ও স্থিরচিত্র ভাইরাল হয়েছে এবং গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। ভোটারবিহীন শূন্য ভোটকেন্দ্র তো সারাদিন দৃশ্যমান হয়েছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। জনগণ এই ভোট সর্বান্তকরণে বর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শুধু আপনিই ‘চোখ থাকিতে অন্ধ’।

রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে লুটপাটে মেতে উঠেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন চাল, ডাল, তেল, চিনি, শাকসবজি, মাছ—মাংসসহ সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে ঊর্ধ্বশ্বাসে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে মানুষ এখন মাছের কাঁটা কিনে খাচ্ছে। মুরগির বদলে মুরগির চামড়া ও ঠ্যাং কিনে খাচ্ছে। শুধুমাত্র সরকারি দলের সিন্ডিকেটের কারণে এই ভরা মৌসুমে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজির নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় না নিয়ে এর মধ্যে বেশ কয়েকবার বেআইনিভাবে বাড়ানো হয়েছে, গ্যাস—বিদ্যুৎ ও পানির দাম। আর বাড়িভাড়া বৃদ্ধি হচ্ছে জ্যামিতিক হারে। বাড়িভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোন নীতিমালা নেই। অথচ সচিবরা ডুপ্লেক্স বাড়িতে থাকেন মাসিক মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়ায়।

রিজভী আরও বলেন, এক দফার আন্দোলন চলছে, চলবে। বহু মৃতুঞ্জয়ী সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দল বিএনপি। জনগণের সংগ্রামী ঐক্য, সংকল্প ও বীরত্বকে সাথে নিয়ে দখলদার আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত করে এক দফার আন্দোলন বিজয়ের পথে ধাবিত হচ্ছে। যে রাজনৈতিক জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে সেটিকে শেখ হাসিনা দমিয়ে রাখতে পারবে না। জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইশারায় বিএনপিকে নির্মূল করতে প্রশাসন মাঠে নেমেছে। এ ছাড়া সারাদেশে নতুন করে নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক মামলায় জড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে।

Nagad