‘মজুত রেখে দাম বাড়িয়ে দেওয়াদের গণধোলাই দেওয়া উচিত’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা পণ্য মজুত করে দাম বাড়ায় তাদের গণধোলাই দেওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিম লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো হয়। যারা সরকার উৎখাতের জন্য আন্দোলনকারী তাদের হাত রয়েছে এগুলোর পেছনে। এর আগে পেঁয়াজের খুব অভাব দেখা দেয়। পরে দেখা গেল বস্তা বস্তা পচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে ধরে গণধোলাই দেওয়া উচিত।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে জার্মানি সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।


তিনি বলেন, সরকার কিছু বললে মানুষ বলবে, সরকার এসব করেছে। তাই জনগণ যদি এগুলোর প্রতিকার করে তাহলে কেউ কিছু বলতে পারবে না। নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে একটি শ্রেণি চক্রান্ত করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে এজন্য এমন ষড়যন্ত্র আগেও ছিল, এখনও আছে।জার্মানির মিউনিখে তিন দিনের সফরের বিষয়ে শুক্রবার গণভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠনের পর এটা তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিউনিখে আমার এই ফলপ্রসূ সফরের ফলে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের শান্তি, সার্বভৌমত্ব ও সর্বাঙ্গীণ নিরাপত্তার প্রতি অঙ্গীকার বলিষ্ঠ রূপে প্রতিফলিত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের আকার নয় বরং নীতির শক্তিতেই যে মানবতার রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক মুক্তি, এবারের সম্মেলনে আমি এই বার্তাই বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছি।
‘পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসমূহের মাধ্যমে বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সাথে সম্পর্কের ধারাবাহিকতা আরও দৃঢ় হয়েছে এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে,’ বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। এতে অংশ নেন দেশের প্রথম সারির টেলিভিশন এবং মুদ্রিত ও অনলাইন সংবাদপত্রের সম্পাদকসহ প্রতিবেদকরা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়েন। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সভাপতির আমন্ত্রণে সেখানে যান তিনি।জার্মানিতে অবস্থানকালে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
তাদের মধ্যে ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন।
এ ছাড়াও সফরে জার্মানিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর শেষে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফিরে আসেন।