অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে শুধু ভুটান নয়, কুড়িগ্রামের মানুষও উপকৃত হবে: রাষ্ট্রদূত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: ৪:২৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২৪

কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়নে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে দুদিনের সফরে এসেছেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল।

রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম সদরের ধরলা ব্রিজের পূর্ব পাশে প্রস্তাবিত অঞ্চলটি পরিদর্শন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল বলেন, ‘চুক্তিপত্রসহ আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করে আমরা কলকারখানা স্থাপন করতে পারলে শুধু ভুটান নয়, বাংলাদেশ বিশেষ করে কুড়িগ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। এখানে কর্মসংস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে এই এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি ঘটবে। এটি বাংলাদেশ-ভুটানের চলমান সুসম্পর্ককে আরও অর্থবহ, দৃঢ় ও মজবুত করবে। আমরা আশাবাদী এই উদ্যোগ উভয় রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত ভালো হবে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘আমরা ১৩৩ দশমিক ৯২ একর জমি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষর (বেজা) কাছে হস্তান্তর করেছি। আরও ৮৬ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব আছে। জেলায় সোনাহাট স্থলবন্দর, রৌমারী শুল্ক স্থলবন্দর, চিলমারী নৌবন্দর ও পাওয়ার স্টেশন কাছে থাকায় এটি মোটামুটি উপযুক্ত স্থান। সরকার আশা করছে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে শিক্ষা সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। আমরা এটির বাস্তবায়নে চেষ্টা করছি।’

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসে লন্ডনে ভুটানের রাজা ও রানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সভায় কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে কুড়িগ্রামে জিটুজি ভিত্তিক প্রস্তাবিত ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে ধরলা ব্রিজের পূর্বে কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের পূর্ব পাশে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জায়গা নির্ধারণ জেলা প্রশাসন ও বেজা।

পরিদর্শনের সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রি ভুটানের ডিজি চ্যামিটেসরিন, চিপ ট্রেড অফিসার কিনলে ইয়াংজন, ভুটানের ঢাকা এ্যম্বাসির কাউন্সিলর জিকরেল টাসরিন, বেজার মহাব্যবস্থাপক (অর্থ বাজেট) শেখ মো. যোবায়েদ হোসেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসফিকুল আলম হালিম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, ভোগডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান প্রমুখ।

Nagad

অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দল জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর পরিদর্শনে যান। দুই দিনের সফরে আসা দলটি সোমবার চিলমারী নৌবন্দর পরিদর্শন শেষে কুড়িগ্রাম ত্যাগ করবেন বলে সফরসূচি সূত্রে জানা গেছে।