মানব পাচার মামলায় ভাই-বোন ভাগিনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৫:১৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০২৪

ঝিনাইদহে ভাই-বোন ও ভাগিনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

আজ বুধবার (২০ মার্চ) ঝিনাইদহ মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো মহেশপুর উপজেলার নলপাড়া গ্রামের মৃত: আলী কদর মণ্ডলের মেয়ে মোছা: রওশনারা বেগম ওরফে বুড়ি বেগম, তার ভাই মোঃ ছানোয়ার হোসেন ও তার ছেলে বাপ্পী।

আদালতের সংক্ষিপ্ত রায়ে জানা যায়, আসামীরা ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর লাবনী খাতুন অপুকে ভাল কাজ ও ভাল বেতন দেওয়ার কথা বলে নিয়ে আসে তার মা রহিমা খাতুনের নিকট থেকে। আসামীরা লাবনীর মাতার সাথে তিন মাস কোন যোগাযোগ করে না। তার মাতা কন্যাকে ফেরত চাইলে আসামিরা ঘুরাতে থাকেন। এরপর আসামিরা তার কন্যাকে ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। আসামিরা ফুসলিয়ে যোগসাজসে তার কন্যাকে যৌনকর্ম করার উদ্দেশ্যে দেশে অথবা বিদেশে পাচার করেন তার মেয়েকে। অবশেষে তার মাতা রহিমা খাতুন বাদী হয়ে ২০১২ সালের ১৩মে ৩জনকে সাক্ষী করে সদর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি এজাহার দায়ের করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত তিনজনকে মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনের ২০১২ এর ৭ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

একই সাথে পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী তিনজন বর্তমানে পলাতক রয়েছে।