ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবিগুলো দ্রুতই সমাধান করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ চার দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তাদের আশ্বস্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন- ডাক্তারদের সম্পর্কে আমি ভালো করে জানি। তোমরা বাধ্য হয়েই আসছো। আমি গ্রাম থেকে উঠে আসছি, আমি জানি। সুতরাং যত দ্রুত তোমাদের সমস্যা সমাধান করা যায়, আমি দেখবো। এইটুকু আমি তোমাদের কথা দিলাম।

শনিবার (২৩ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় এ কথা বলেন তিনি। এর আগে সকাল ৯টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সামনে এই আন্দোলনে নামেন তারা।

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন জানান, সারাদেশের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসরা ঢাকায় এসেছেন। চার দফা দাবি আদায়ে বার্ন ইউনিটের সামনে থেকে সকাল ৯টায় আন্দোলন কর্মসূচিতে নামেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন- আমার কাছে খুব খারাপ লাগলো তোমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছ। আমিও চাই না, আমার কোনো ডাক্তার রাস্তায় নেমে এভাবে আসুক। বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা ও হাসপাতালের মূল তোমরা। তোমরা যদি ভালো করে কাজ না করো। সব সুনাম-দুর্নাম তোমাদের ওপর। তোমরা ছাড়া আমি উন্নতি করতে পারবো না। আমি তোমাদের দাবি দেখবো।

এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবিগুলো হলো:

* ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের (এফসিপিএস, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট) বকেয়া ভাতা প্রদান করতে হবে।

* ১২টি প্রাইভেট ইনস্টিটিউটের নন-রেসিডেন্ট ও রেসিডেন্টদের আকস্মিক ভাতা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ভাতা পুনর্বহাল করতে হবে।

* অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।

* দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরতরা।

এদিকে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সকাল ১১টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তাদের চার দফা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানান। তিনি দুয়েকদিন সময় চান আন্দোলনকারীদের কাছে বিষয়টি সমাধান করার জন্য।

এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম আন্দোলনরতদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের সময় ভাতা ছিল না। আমরা ভাতা চালু করেছি। স্যার যেহেতু কথা দিয়েছেন, তোমরা এইটুকু আস্থা রাখবে।