পেঁয়াজ আনা-নেওয়ার বিষয়ে আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:১৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০২৪

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, পেঁয়াজ আনা-নেওয়ার বিষয়ে আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। পেঁয়াজ আনা, দরদাম ঠিক করা প্রত্যেকটা জিনিসই কিন্তু আমরা নিজেরা বসে করেছি। পেঁয়াজের দাম যদি হঠাৎ করে কমে যেত, সেটার কিন্তু একটা সম্ভাবনা ছিল। তারপরও আমরা ঝুঁকিটা নিয়েছি। এই ঝুঁকি সাধারণ মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

এসময় তিনি বলেন, “অনেক ঝুঁকি নিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছে।”

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতীয় পেঁয়াজের মান ভালো বলে উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমি পেঁয়াজের মান নিয়ে সন্তুষ্ট। অন্তত এই পেঁয়াজ ১৫ দিন সংরক্ষণ করে বাজারে বিক্রি করা যায়। আমরা এই পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছি। এখন আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হলো। বাকি পেঁয়াজগুলো আনতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি কত সময়ে আমরা পেঁয়াজগুলো ভারত থেকে আনতে পারব।”

তিনি বলেন, “এখন ১৬৫০ টন পেঁয়াজ এসেছে। বাকি পেঁয়াজগুলো ধীরে ধীরে চলে আসবে। আমরা চাই না আমাদের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। ভারতের বাইরে আমাদের পেঁয়াজের জায়গা হচ্ছে মিশর ও তুর্কি। সেখান থেকে জাহাজে পেঁয়াজে আনতে হয় এবং এটা আনতে অনেক সময় লাগে। ভারতে নির্বাচন চলছে। তাদের ওখানে কৃষক আন্দোলন চলছে। এরপরও কিন্তু তারা তাদের কমিটমেন্ট রেখেছে। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে তারা তাদের কথা রেখেছে। তাদের ট্রেন আমাদের সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত এসে পেঁয়াজ দিয়ে গেছে।”

প্রসঙ্গত-দেশে পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ফেরাতে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ কিনছে সরকার, যার মধ্যে প্রথম লটে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার ৪০ টাকা কেজিতে এই পেঁয়াজের বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

Nagad

এসময় আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিদপ্তর মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান প্রমুখ।