স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জেনারেশন তৈরিতে এআই আইন গুরুত্বপূর্ণ : আইনমন্ত্রী

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৯:৩৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২৪

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জেনারেশন তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অত্যন্ত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভালো-মন্দ উভয় দিকই রয়েছে। এতে ভীত হওয়ার কিছু নেই। মন্দ দিকগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন, ২০২৪ এর খসড়া তৈরি নিয়ে অংশীজন সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা সভায় অংশ নেন।

আনিসুল হক বলেন, সরকারের আইন প্রণয়নের একটি কর্মপদ্ধতি আছে। যখনই কোনো আইন প্রণয়ন করা হয় তখন এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় এবং অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামত নেওয়া হয়। তাদের মতামত নিয়ে আইন করা হয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সুবিধা কাজে লাগিয়ে অসুবিধা দূর করতে এ আইন করতে হচ্ছে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তুলতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অত্যন্ত প্রয়োজন। অংশীজনদের নিয়েই আমরা এই খসড়া চূড়ান্ত করব। এআই আইন তৈরি করতে পলিসির সঙ্গে আইনের সমন্বয়ে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব। শিগগরিই একটি খসড়া প্রণয়ন করব। এরপর আবার অংশীজন সভা হবে। সেই খসড়ায় মতামত কতটা অন্তর্ভুক্ত হলো তা দেখা যাবে।

মন্ত্রী বলেন, এর আগে কোন আইনের একটি ড্রাফট (খসড়া) তৈরি করে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হতো। এখন অংশীজনদের মতামত নিয়ে আমরা ড্রাফট তৈরি করতে চাই। সে কারণেই এআই আইনের অংশীজনদের নিয়ে আজকের এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। আজ তাদের মতামত শোনা হলো। এরপর আবারও তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে এবং চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ আইনটির চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করা হবে।

আনিসুল হক বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে এবিষয়ে আইন না করে উপায় নেই। তবে প্রথম পর্যায়ে এ আইনে যথেষ্ট ফ্লেক্সিবিলিটি থাকতে হবে। শুধু যে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার হবে, সেখানে একটু শক্ত হতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন ও পলিসির মধ্যে একটি সমন্বয় থাকতে হবে। কারণ পলিসির বাইরে আইন করে লাভ নেই। আবার আইনের বাইরে পলিসি করা অর্থহীন।

Nagad

সভায় সভাপতির বক্তৃতায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি মোকাবেলা এবং সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্যই এআই অত্যন্ত প্রয়োজন।

এআইয়ের ঝুঁকি কতটুকু তার উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্কটি ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছিলেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে ফেক ফটো প্রচার করা হয়েছে। এভাবে ভয়েস ও ছবি ব্যবহার করে অনেক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে সাইবার জগতে।

সভায় বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ ফারুক, টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশাসহ প্রায় ২৬ জন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতারা এআই আইন নিয়ে নিজেদের মত তুলে ধরেন।