নরসিংদীতে ইউপি সদস্যকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা
নরসিংদীতে প্রকাশ্যে দিবালোকে রুবেল আহাম্মেদ (৩২) নামে এক ইউপি সদস্যকে ছয় রাউন্ডি গুলি করার পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া বাজারে এই হতাকাণ্ড ঘটে।
নিহত রুবেল আহাম্মেদ ওরফে বডি রুবেল আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য। সে ভৌয়ম গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে রুবেল আহাম্মেদ ওরফে বডি রুবেল পাকুড়িয়া বাজারে কাজ শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত প্রাইভেটকার যোগে এসে তাকে লক্ষ্য করে পরপর ৬ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে দুর্বৃত্তরা তার শরীরের ওপরে বসে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
প্রকাশ্যে দিবালোকে এমন হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ ভিড় জমায়। এ ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম মিঠু বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অতর্কিত হামলা চালিয়ে রুবেলকে গুলি ও জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ বা অন্য কোনো শত্রুতার কারণে এ হত্যাকাণ্ড কিনা তা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসবে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডেন দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
জানা গেছে, সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে রুবেল আহাম্মেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইমরুল নামে এক প্রার্থী। ওই সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে কেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়ে রুবেল বিজয়ী হন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমরুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত হয়। ইউপি নির্বাচনের সময় তৈরি হওয়া শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
মাধবদী থানার এসআই ফজলে রাব্বি হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে নিহত ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ।
