‘বিএনপির সময়ে খাদ্য ঘাটতি ছিল, এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপির সময়ে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। খালেদা জিয়া বলেছিল, দেশের মানুষকে ডালভাত খাওয়াবে। সেই ডালভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল।’

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, যেসব পশু পালন হয়, এগুলো স্বাস্থ্যসম্মতভাবে লালনপালন করতে হবে। উৎপাদন প্রক্রিয়াকরণে আরও যত্নবান হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের হালাল মাংস পৃথিবীর অনেক দেশ নিতে চায়। সে সুযোগটা আমাদের নিতে হবে। সেজন্য লালনপালন, জবাই এবং প্রক্রিয়াকরণ নিয়ম অনুযায়ী করছি কি না, দেখতে হবে। যারা নিতে চায়, তাদের কতগুলো নিয়ম আছে, সেটা মানলে তারা নেবে। অনেক দেশ থেকে অনুরোধও পাই। অনেক জায়গায় আমাদের পশু জবাই স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হয় না। জবাইয়ের অস্ত্র-চুরি যাতে মরিচা ধরা না হয়। জবাই ও মাংস কাটায় যদি আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারি, তাহলে ভালো হয়। বিশেষ করে কোরবানির সময় রাস্তাঘাটে যত্রতত্র কোরবানি করে পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। একটা সমন্বয় করা দরকার। পশুর মাংসের বাইরে চামড়া, রক্ত, বর্জ্যসহ অনেক কিছুই কাজে লাগে। এগুলো সংরক্ষণ ও কাজে লাগাতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভ মানিও (অর্থ) তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজেদের ফসল নিজেরা উৎপাদন করব।’

Nagad

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়া দেশব্যাপী ৬৪টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এই প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব প্রদর্শনীতে স্ব স্ব উপজেলা থেকে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদিপশু যেমন—গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, সৌখিন পাখি, পোষা প্রাণি এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ইত্যাদি স্থান পেয়েছে।