ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করছে পাকিস্তান

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যবসায়িক চুক্তি হওয়ায় বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি রয়েছে বলে হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এসব হুমকি হুমকি উপেক্ষা করে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করছে পাকিস্তান।

জানা যায়- দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) চূড়ান্তকরণ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে সহায়তা বৃদ্ধিসহ নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ ও তেহরান। ইরানি প্রেসিডেন্টের তিন দিনের পাকিস্তান সফর শেষে বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

এদিকে গতকাল এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছি, ইরানের সঙ্গে যদি কোন দেশ ব্যবসায়িক চুক্তি করে তাহলে তাদের ওপর ওয়াশিংটনের বড় ধরণের নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি আছে। ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে মন্তব্য করার সময় ওই মুখপাত্র বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের বৃহত্তম রফতানি বাজার এবং বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশের মধ্যে একটি।

এদিকে আজ ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাকিস্তান সফরকালে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ও বাণিজ্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত আটটি চুক্তি সই হয়েছে। তবে ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের এমন উষ্ণ সম্পর্ক ভালোভাবে নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি সই করায় পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের এ হুমকি দিয়েছে তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় দেশ সম্মিলিত সীমান্ত বাজার স্থাপন, অর্থনৈতিক মুক্ত অঞ্চল এবং নতুন সীমান্ত খোলাসহ যৌথ উন্নয়নমুখী অর্থনৈতিক প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের অভিন্ন সীমান্তকে ‘শান্তির সীমান্ত’ থেকে ‘সমৃদ্ধির সীমান্তে’ রূপান্তরিত করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তারা বিদ্যুৎ বাণিজ্য, পাওয়ার ট্রান্সমিশন লাইন এবং ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পসহ জ্বালানি খাতে সহযোগিতার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দুই দেশ।

Nagad

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কিছু দেশে ‘ইসলাবিদ্বেষের ক্রমবর্ধমান ঘটনা, পবিত্র কোরআন এবং পবিত্র প্রতীকের অবমাননার’ নিন্দা জানিয়েছে ইরান ও পাকিস্তান। তারা গত মার্চে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘ইসলাবিদ্বেষ মোকাবিলার ব্যবস্থা’ শীর্ষক প্রস্তাব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে।

এছাড়া, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন ও নৃশংসতার জন্য জোরালো ও দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা’ জানিয়েছে ইরান-পাকিস্তান। গাজায় অবিলম্বে ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি, সেইসঙ্গে ‘ইসরায়েলি সরকারের অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার’ আহ্বান জানিয়েছে তারা।

এসময় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাইসি। সূত্র: ডন, জিও নিউজ