এমপি আনার হত্যা তদন্তে ভারত যাচ্ছে ডিবি

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:২৯ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০২৪

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। পুরনো ছবি

ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনা তদন্তে ভারতের কলকাতায় যাচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)’র একটি দল। রোববার (২৬মে) সকালে ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে আব্দুল আহাদ এবং সাহেদুর রহমানসহ তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল কোলকাতার উদ্দেশ্য রওনা হবে।

আজ শনিবার (২৫মে) দুপুরে মিন্টো রোডের ডিবি কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ‘সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় বাংলাদেশে একটি মামলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এই ঘটনা তদন্তে কলকাতা পুলিশের চার সদস্যের একটি টিম বাংলাদেশে তদন্ত করছে। তাদের কাজ এখনো শেষ হয় নি। আজকেও তারা আসামিদের সঙ্গে কথা বলতে আসবে।’

হারুন আরও বলেন, ‘এই ঘটনা তদন্তে ডিবির পক্ষ থেকে একটি টিম কলকাতায় যাওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের অনুমতি পেয়েছি। আমিসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা আজ রাতে অথবা আগামীকাল সকালে রওনা দেবো।’

উল্লেখ্য, গত ১২ মে ঝিনাইদহর কালীগঞ্জ থেকে কলকাতায় যাওয়ার পরেরদিন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।গত ২২ মে সকালের দিকে তার খুনের খবর প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ বলছে, কলকাতার উপকণ্ঠে নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীভা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয়।খুনের আলামত মুছে ফেলতে দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। এরপর সুটকেস ও পলিথিনে ভরে ফেলে দেয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্যকে হত্যার পর মরদেহ ফেলার কাজে অংশ নেয়া সিয়াম নামে একজনকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। আর ঢাকায় ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হন হত্যাকাণ্ডের মূল সংঘটক আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।

Nagad

পুলিশ বলছে, পুরো হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী বা মাস্টারমাইন্ড হলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আখতারুজ্জামান শাহিন। এমপিকে হত্যার পর মরদেহের মাংস কিমা ও হাড় টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়া হয়। কয়েকজন হত্যাকারীকে নিয়ে এ কাজে নেতৃত্ব দেন শিমুল। তিনি পরিচয় গোপন করে আমানউল্লাহ আমান নামে পাসপোর্ট করে কলকাতা যান।এই খুনের ঘটনায় ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর চার সদস্যদের একটি দল ঢাকায় তদন্তে এসে গ্রেপ্তার আসামিদের স্বীকারোক্তি নিয়েছে।