পলিশ করা চকচকে চাল আর বাজারে থাকবে না: খাদ্যমন্ত্রী
চালের পুষ্টিমান ঠিক রাখতে পলিশ করা চকচকে চাল বাজারজাত বন্ধে আইন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, খুব শিগগির এটি বাস্তবায়ন করা হবে। পলিশ করা চাল আর বাজারে থাকবে না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পলিশ করা চাল বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি হয়েছে। বাজারে আমরা পলিশ করা যে চকচকে চাল পাই, সেটাতে কোনো পুষ্টিগুণ পাই না। এসব চাল বাজারজাত বন্ধে আইন হয়েছে। খুব শিগগির এর বাস্তবায়ন করা হবে। পলিশ করা চাল আর বাজারে থাকবে না।’
সোমবার (৮জুলাই) দুপুরে নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষিপ্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন, ঢেউ টিন বিতরণ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ- এমন দাবি করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত অর্থবছরে আমরা এক কেজি চালও আমদানি করিনি। বরং বেশ কিছু পরিমাণ সুগন্ধি চাল রপ্তানি করা হয়েছে। এখন আমরা পুষ্টির ওপর জোর দিচ্ছি।’
নতুন আইন অনুযায়ী ধান থেকে চাল করার সময় সর্বোচ্চ দুই ছাঁটাই দেওয়া যাবে বলে জানান মন্ত্রী। বেশি ছাটাইয়ের নেতিবাচক দিক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, চাল বেশি পরিমাণে ছাঁটাই করলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। বাড়তি উৎপাদন খরচের কারণে বাজারে চালের দাম বেশি পড়ে। আর ছাঁটাই কম হলে বিপুল পরিমাণে চাল বাঁচবে।
বর্তমান সরকার কৃষির যান্ত্রিকীকরণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আগে হাল দিয়ে জমি চাষ হতো, এরপর এল পাওয়ার টিলার। এখন ধান কাটা, মাড়াই মেশিনসহ আরও আধুনিক প্রযুক্তি এসেছে। সরকার কৃষি প্রণোদনা দিয়ে কৃষিকে সম্পূর্ণভাবে যান্ত্রিকীকরণ করার প্রয়াশ চালাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি কমাতেও কৃষির যান্ত্রিকীকরণ প্রয়োজন বলেও মন্তভ্য করেন তিনি।
পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ আদনানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ, পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক প্রমুখ।
