এটা কোনো সাম্প্রদায়িক সমস্যা নয়, এটি রাজনৈতিক: ফখরুল
দীর্ঘ স্বৈর শাসনের পতন ঘটিয়ে ছাত্ররা যে মুক্তির পথ দেখিয়েছে, সে পথে সম্প্রীতির বন্ধনে থেকে চলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হিন্দু-মুসলমান মিলেমিশে থেকে একে অপরের বিপদে পাশে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান তিনি। ।
এ সময় তিনি বলেন-‘বিদেশি গণমাধ্যমগুলো আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে। আমরা স্পষ্ট বলেছি, যখন দীর্ঘদিন পর একটা স্বৈরাচার সরকারের পতন হয় তখন একটু সমস্যা হয়। এটা কোনো সাম্প্রদায়িক সমস্যা নয়। এটি রাজনৈতিক।’
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের না পালিয়ে আমার ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে আসতে চেয়েছিলেন। এখন তিনি কোথায় পালিয়ে আছেন। ফখরুল আরও বলেন, এখন ঠাকুরগাঁওয়ে আছি, আমি আপনাকে (ওবায়দুল কাদের) আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম, দেশে জনগণের ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে, পালানোর পথ থাকবে না। তাই হয়েছে। শেখ হাসিনাকে অবশেষে দিল্লিতে আশ্রয় নিতে হয়েছে। আমেরিকা, ব্রিটেন কেউ তাকে রাখতে চায় না। ভারতও অফিসিয়ালি এখনো কিছু বলেনি। আমরা জানি তিনি ভারতে আছেন। যখন সব পথ বন্ধ তখন হিন্দু ভাইদের এখন সামনে এগিয়ে দিচ্ছেন।
সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই। তারা সঠিক সময়ে মানুষের প্রয়োজনে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, এর আগে আমি বলতাম আমাদের দেশের সেই তরুণ-যুবকরা কই? যারা ভাষা আন্দোলনে, গণঅভ্যুত্থানে দেশকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিল। আপনারাই সেই ছাত্র, তরুণ-যুবক। এসময় মুগ্ধ ও সাঈদসহ অন্য নিহতদের কথা স্মরণ করে অশ্রুশিক্ত হতে দেখা গেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও হিন্দু সংগঠনের নেতারা।