কালীগঞ্জ উপজেলা অডিটরিয়াম শহীদ তমিজউদ্দীনের নামে করার দাবি
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামের নাম বীর বিক্রম শহীদ ক্যাপ্টেন তমিজউদ্দীনের নামে করার দাবি ওঠেছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কালীগঞ্জের কলেজ শিক্ষক এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর এ নিয়ে একটি পোস্ট দেন। এসে সাড়া দিয়ে মন্তব্য করেছেন এলাকার অনেক নেটিজেনরা।
শিক্ষক তাবাসসুম উল্লেখ করেন, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়াম এখনো সাবেক এমপি নুরুজ্জামান আহমেদের বাবার নামে হয়েছে। অডিটরিয়ামটি কোনো ব্যক্তির নামে হলে, তা কালীগঞ্জের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন তমিজউদ্দীন বীর বিক্রম নামে কেন হয়নি? এমন প্রশ্ন তুলেন তিনি।
স্থানীয়রা বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবী গ্রামের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর বিক্রম শহীদ ক্যাপ্টেন তমিজউদ্দীন আহম্মেদের নামে আডিটরিয়ামটির নাম দেয়া হোক। অডিটরিমায়টিতে শুধু রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করা হয়েছে বিগত দিনে। এখন থেকে জনসাধারণরা জেন সামাজিক অনুষ্ঠানে এই অডিটরিয়ামে প্রোগ্রাম করতে পারে বলে দাবি তাদের।
জানা গেছে, ২০১২ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে জেলা পরিষদের অর্থায়নে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়। নামকরন করা হয় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) করিম উদ্দিন আহমেদ অডিটোরিয়াম। অডিটোরিয়ামটি নির্মাণের সময় তার ছেলে নুরুজ্জামান আহমেদ কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। পরে ২০১৪ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রথমে খাদ্য প্রতিমন্ত্রী, পরে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৮ এবং ২০২৪ সালেও একই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। মন্ত্রী থাকার সময় তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এমপি নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার ছেলে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাকিবুজ্জামান আহমেদ নিজস্ব বাসভবন ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। ওই রাতে তাদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ছাড়াও উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামের নামফলক থেকে সাবেক এমপির বাবার নাম মুছে ফেলেছে বিক্ষুব্ধ লোকজন।