নরসিংদীতে কাভার্ড ভ্যান-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নববধূসহ নিহত ৪
নরসিংদীতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে মাইক্রোবাস ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশু ও নারীসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। নিহতরা হলেন, রায়পুরা থানার চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের এমরান মিয়ার স্ত্রী তানজিনা জেরিন (২৪), আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী কামরুন নাহার (৩৫), তাঁর ছেলে সাজিদ (১২) ও সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে ছাবিহা (১৪)।
আহতরা হলেন, একই গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে এমরান (২৪), জাকির হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫), মজিবুর রহমানের মেয়ে মিতু (১৭) ও সাদ্দাম মিয়ার স্ত্রী লিপি বেগম (২৮)।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টায় মহাসড়কের নরসিংদীর দগরিয়া এলাকায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত ও নিহতদের স্বজনরা জানান, সদ্য বিয়ে করা ইমরান আহমেদ স্ব-পরিবারে স্ত্রী তানজিনার মিরপুরের বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। শনিবার রাতে মাইক্রোবাসযোগে নরসিংদীর রায়পুরায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন তারা। মাইক্রোবাসটি ঢাকা –সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর দগরিয়া এলাকার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে পৌঁছালে ইটাখোলা থেকে ঢাকামুখী একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে ঘটনাস্থলেই কামরুন নাহার, তানজিনা, ছাবিহা এবং সাজিদ নিহত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল মরদেহসহ গুরুতর আহত আরও চারজনকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের ইনচার্জ মো. রায়হান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে মাইক্রোবাসে আটকে থাকা অবস্থায় ড্রাইভার আনোয়ারকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকেসহ আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাকিব আসকারি জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৮ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।