বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:১৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। নতুন এই অর্থায়ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার, বন্যা মোকাবিলা, বায়ুর গুণমান উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যখাতের মতো প্রকল্পগুলোতে ব্যয় করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে আব্দুলায়ে সেক বলেন, “আমরা আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব এবং যতটা সম্ভব সমর্থন করতে চাই।”

সংস্থাটি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক চাহিদা পূরণ করবে বলেও জানান সেক।

তিনি আরও বলেন, নতুন প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাংক প্রায় ১০০ কোটি ডলার অর্থায়ন বিদ্যমান প্রকল্পগুলো থেকে পুনর্বিন্যস্ত করবে। এই অতিরিক্ত অর্থায়নসহ বিশ্ব ব্যাংক এই অর্থবছরে বাংলাদেশকে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার সহজ ঋণ ও অনুদান দেবে, যা সংস্কার কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করবে। বাংলাদেশের জন্য এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে সেই ২০ লাখ মানুষের জন্য, যারা প্রতি বছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এ সময় আব্দুলায়ে সেককে বলেন, ১৫ বছরের ‘দুর্ব্যবস্থাপনা’ কাটিয়ে বাংলাদেশের জন্য সংস্কারগুলো অর্থায়নের ক্ষেত্রে এবং নতুন যাত্রা পুনরায় শুরু করতে বিশ্ব ব্যাংকের আরও নমনীয়তা থাকতে হবে।

Nagad

তিনি বলেন, “আমাদের এই ধ্বংসাবশেষের মধ্য থেকে নতুন কাঠামো গড়তে হবে। বড় উদ্যোগ নিতে হবে এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে প্রাধান্য দিতে হবে। আমি বলব, আমাদের সাহায্য করুন এবং আমাদের দলের অংশ হোন।”

শেখ হাসিনার ১৫ বছরের ‘একনায়কতন্ত্রের’ শাসনামলে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চুরি করা কোটি কোটি ডলার পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে বিশ্ব ব্যাংককে অনুরোধ জানান প্রধান উপদেষ্টা।

ইউনুস বলেন, “আপনাদের কাছে চুরি হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার প্রযুক্তি রয়েছে। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা প্রয়োজন।

বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চুরি হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পেরে খুশি। বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশে ডেটার স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা, কর সংগ্রহের ডিজিটাইজেশন এবং আর্থিক খাতের সংস্কারে সহায়তা করতে আগ্রহী।