ভুরুঙ্গামারীতে সেতু ভেঙ্গে দূর্ভোগে ৪ গ্রামের মানুষ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: ৮:১০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের মানিককাজি গ্রামে ফুলকুমার নদের উপর নির্মিত সেতুটি ভেঙ্গে মাঝে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে সেতু দিয়ে চলাচলকারী ৪ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। নতুন সেতু নির্মাণের দাবী সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের মানিককাজি গ্রামে ফুলকুমার নদের উপর ১৯৯০-৯১ সালে প্রায় ৩৩ মিটার দৈর্ঘ্য ও আড়াই মিটার প্রস্থের একটি সরু সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটির মাঝ খানে ভেঙ্গে বড় এক গর্তের সৃষ্টি হয়। সাবধান, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু যানবাহন চলাচল নিষেধ’ লিখে একটি সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয় উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর। এত দিন এলাকাবাসি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করলেও যানবাহন ঢুকতে না পারায় কর্মজীবী মানুষ এবং এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে।

উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী এই সড়কটি ব্যবহার করেন ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের মানিককাজি, পূর্ব ও পশ্চিম ভোটহাট এবং জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বাউসমারি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রতিদিন চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে। সেতুটি ভেঙ্গে যে কোন মুহুর্তে যোগাযোগ ব‍্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মানিককাজি ঘাটপাড় বাজারের ব্যবসায়ী ওসমান, ময়নুল ও মোখলেছ জানান, সেতুটিতে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় কনজুমার প্রোডাক্টের মালামালের কোন কোম্পানির গাড়ী বাজারে ঢুকতে পারছেনা। তাই উপজেলা সদর থেকে ব্যবসায়িক মালামাল কিনতে হচ্ছে। তাতে দ্বিগুন পরিবহন খরচ হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতারা বাড়তি দামে পন্য কিনতে চাচ্ছে না। ফলে বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। তাই এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন একটি সেতু দ্রুত নির্মানের জন্য জোড় দাবি জানিয়েছেন।

ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে মেম্বার ইছাহাক আলী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটির বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে অনেক আগেই জানিয়েছি। কিন্তু এখনো কোন ব‍্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যে কোন মুহর্তে সেতুটি ভেঙ্গে যেতে পারে।

এ ব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রোজেন জানান, সেতুটি পুণঃ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছি।

Nagad

উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, ইতিমধ্যে সেতুটি নির্মাণের ব্যয় বিবরণী তৈরি করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই দরপত্র আহবান করে সেতুটির নির্মানকাজ শুরু করতে পারবো।